রোযা অবস্থায় পেষ্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করার হুকুম কী ???

প্রশ্ন

assalamualikum . roja thaka kalin ki paste diya brush kora jabe ? Jodi kora na jai tahole keno jabe na ?

image

উত্তর

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاتهبسم الله الرحمن الرحي

রোযা রাখা অবস্থায় পেষ্ট দিয়ে ব্রাশ করা মাকরূহে তানজিহী। আর যদি পেষ্টের ফেনা গলার ভিতরে চলে যায়, তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।মাকরূহ হবার কারণ হল, পেষ্টের মাঝে এক প্রকার তীব্র ঝাঁজ থাকে, যা মুখের ভিতর স্বাভাবিকভাবে ব্রাশ করার সময় প্রবেশ করে থাকে। তাই এটি অপছন্দনীয়। কিন্তু ফেনা ভিতরে না গেলে রোযা ভাঙ্গবে না। কিন্তু ফেনা ভিতরে চলে গেলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। {ইমদাদুল ফাতাওয়া ২/১৪১; জাওয়াহিরুল ফিকহ ৩/৫১৮রদ্দুল মুহতার ২/৪১৫-৪১৬; ফাতাওয়া খানিয়া ১/২০৪; হিদায়া ১/২২০}

والله اعلم بالصواب

উত্তর লিখনে

লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।ইমেইল- ahlehaqmedia2014@gmail.comlutforfarazi@yahoo.com

রোযা রেখে আতর ব্যবহার করার হুকুম কী ???

প্রশ্ন

আস্সালামু আলাইকুম,আর রোযা রেখে আতর ব্যবহার করা যাবে কি না? দয়া করে তারাতারী জানালে উপকৃত হইব।

image

উত্তর

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاتهبسم الله الرحمن الرحي

হ্যাঁ, যাবে কোন সমস্যা নেই।وكذا اذا دخل الدخان أو الغبار أو ريح العطر أو الذباب حلقه، لا يفسد صومه، (فتاوى قاضى خان، كتاب الصوم، الفصلا الخامس فيما لا يفسد الصوم-1/208)والله اعلم بالصواب

উত্তর লিখনে

লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।ইমেইল- ahlehaqmedia2014@gmail.comlutforfarazi@yahoo.com

জুমআতুল বিদা নামে আলাদা কোন দিনের ফযীলত আছে কি ???

প্রশ্ন

জুমআতুল বিদা বলতে শরীয়তসম্মত কিছু কিআছে?হাদীস ও আছারের দলিল এবং এর তাহকীকদিয়ে উত্তর দিলে কৃতজ্ঞ থাকবো।

image

উত্তর
بسم الله الرحمن الرحي

রমজান মাস অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ মাস । এই মাসের শেষ দশকের গুরুত্ব আরো বেশী। শুক্রবার হিসেবে সেই দিনের গুরুত্ব আরো বেড়ে যায় । সব মিলে রমজানের এই শেষ জুমুআর দিনটি খ্বুই তাৎপর্যপূর্ণ। এর চেয়ে বেশী ফযিলত কুরআন –হাদীস সমর্থিতনয়। সুতরাং এ দিনকে কেন্দ্র করে নতুন কোন রুসম-রেওয়াজ বা বাঙতি ফযিলত সাব্যস্ত  করা ঠিক নয়হাদীসে রমজানের শেষ দশক ও শুধু শুক্রবারের ব্যাপারে বর্ণিত ফযীলত নিম্নরূপ–  عن أبي هريرة، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «خير يوم طلعت فيه الشمسيوم الجمعة، فيه خلق آدم، وفيه أهبط، وفيه تيب عليه، وفيه مات، وفيه تقوم الساعة، وما من دابة إلا وهي مسيخة يوم الجمعة، من حين تصبح حتى تطلع الشمس شفقا من الساعة، إلا الجن والإنس، وفيه ساعة لا يصادفها عبد مسلم وهو [ص:275] يصلي يسأل الله حاجة، إلاأعطاه إياها»،অর্থঃ হযরত আবু হুরায়রা রা হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে সকল দিবসে সূর্য উদিতহয় তার মাঝে উত্তম দিবস হচ্ছে জুমা’,সে দিন আদম আ কে সৃষ্টি করা হয়েছে । (সুনানে আবু দাউদ -১০৪৬ ,১/১৪৯-১৫০)عن أوس بن أوس، قال: قال رسول الله صلى اللهعليه وسلم: «إن من أفضل أيامكم يوم الجمعة، فيه خلق آدم، وفيه قبض، وفيه النفخة، وفيه الصعقة، فأكثروا علي من الصلاة فيه، فإن صلاتكم معروضة علي» قال: قالوا: يا رسول الله، وكيف تعرض صلاتنا عليك وقد أرمت – يقولون: بليت -؟ فقال: «إن الله عز وجل حرم على الأرض أجساد الأنبياء»অর্থঃ হযরত আউস বিন আউস হতে বর্ণিত , রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, নিশ্চয়ই তোমাদের দিবস সমূহের মাঝে উত্তম দিবস জমা’র দিন । সে দিন আদম আ কে সৃষ্টি করা হয়েছে ।(সুনানে আবু দাউদ -১০৪৭,১/১৫০)عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «إِذَا جَاءَ رَمَضَانُ فُتِّحَتْ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ، وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ النَّارِ، وَصُفِّدَتِ الشَّيَاطِينُ»অর্থঃ হযরত আবু হুরায়রা রা হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,যখন রমজান আসে তখন জান্নাতের দরজাসমুহ খুলে দেয়া হয়। ও জাহান্নামের দরজা সমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং শয়তান দের বেঁধে রাখা হয় ।(মুসলিম ১/৩৪৬, হাদীস নং ১০৭৯ )، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يُبَشِّرُ أَصْحَابَهُ: «قَدْ جَاءَكُمْ رَمَضَانُ، شَهْرٌ مُبَارَكٌ، افْتُرِضَ عَلَيْكُمْ صِيَامُهُ، تُفْتَحُ فِيهِ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ، أَوْ تُغْلَقُ فِيهِ أَبْوَابُ الْجَحِيمِ، وَتُغَلُّ فِيهِ الشَّيَاطِينُ، فِيهِ لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ شَهْرٍ مَنْ حُرِمَ خَيْرَهَا فَقَدْ حُرِمَ»অর্থঃহযরত আবু হুরায়রা রা হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,যখন তোমাদের মাঝে রমজান আসে, যা অত্যান্ত মুবারক মাস। তখন তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়। জান্নাতের দরজাসমুহ খুলে দেয়া হয়। ও জাহান্নামের দরজা সমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং শয়তান দের আটকে রাখা হয় । এ মাসের মাঝে রয়েছে লাইলাতুল কদর যা হাজার রাত হতে উত্তম ,যে এর কল্যাণ থেকেবঞ্চিত হলো সে পুরই বঞ্চিত হলো।মুছান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৮৮৬৭عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «تَحَرَّوْا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْعَشْرِ الْأَوَاخِرِ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ»অর্থঃ হযরত আয়শা রা হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন,তোমরা রমজানের শেষ দশকেলাইলাতুল কদর তালাশ কর।মুছান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৮৬৬০
والله اعلم بالصواب

উত্তর লিখনে

লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।ইমেইল- ahlehaqmedia2014@gmail.comlutforfarazi@yahoo.com

জিনা করার পর উক্ত মেয়েকে বিয়ে করা বিষয়!!!

প্রশ্ন

আমি বিয়ে করেছি আজ ১ বছর হলো।
সম্পর্ক করে আমরা বিয়ে করেছি কিন্তু
আমরা বিয়ের পূর্বে সহবাস করেছি।
জানি এটা অত্যন্ত একটা গুনাহর কাজ
এবং কবিরা গুনাহ। এটা আমরা ঠিক
করিনি। আমরাতো বিয়ে করেছি
তারপরও কি এটা গুনাহ হবে? এরকম
একটা গুনাহ থেকে আল্লাহর কাছে মাপ
পাওয়ার জন্য কি তওবা করতে হবে?
জানলে খুব উপকৃত হব…….
নাম প্রকাশে অনিচ্ছক।

উত্তর

ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ
বিয়ের পূর্বে জিনা করার দরূন
আপনাদের অবশ্যই গোনাহ হয়েছে।
যদিও উক্ত মেয়েকেই বিয়ে করা
হয়েছে। তাই বিয়ে পূর্বের জিনার জন্য
তওবা করতে হবে।
তওবা করার পদ্ধতি হল,
১-পূর্ব গোনাহের জন্য অনুতপ্ত হওয়া।
২-ভবিষ্যতে আর কখনো এমন গোনাহ না করার সংকল্প করা।
৩- উক্ত গোনাহটি ছেড়ে দেয়া।
ﺍﻧَّﻤَﺎ ﺍﻟﺘَّﻮْﺑَﺔُ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻟِﻠَّﺬِﻳﻦَ ﻳَﻌْﻤَﻠُﻮﻥَ ﺍﻟﺴُّﻮﺀَ ﺑِﺠَﻬَﺎﻟَﺔٍ ﺛُﻢَّ ﻳَﺘُﻮﺑُﻮﻥَ ﻣِﻦْ
ﻗَﺮِﻳﺐٍ ﻓَﺄُﻭﻟَٰﺌِﻚَ ﻳَﺘُﻮﺏُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ ۗ ﻭَﻛَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠِﻴﻤًﺎ ﺣَﻜِﻴﻤًﺎ
‏[ ٤: ١٧ ‏]ﻭَﻟَﻴْﺴَﺖِ ﺍﻟﺘَّﻮْﺑَﺔُ ﻟِﻠَّﺬِﻳﻦَ ﻳَﻌْﻤَﻠُﻮﻥَ ﺍﻟﺴَّﻴِّﺌَﺎﺕِ ﺣَﺘَّﻰٰ ﺇِﺫَﺍ ﺣَﻀَﺮَ
ﺃَﺣَﺪَﻫُﻢُ ﺍﻟْﻤَﻮْﺕُ ﻗَﺎﻝَ ﺇِﻧِّﻲ ﺗُﺒْﺖُ ﺍﻟْﺂﻥَ ﻭَﻟَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳَﻤُﻮﺗُﻮﻥَ ﻭَﻫُﻢْ ﻛُﻔَّﺎﺭٌ ۚ
ﺃُﻭﻟَٰﺌِﻚَ ﺃَﻋْﺘَﺪْﻧَﺎ ﻟَﻬُﻢْ ﻋَﺬَﺍﺑًﺎ ﺃَﻟِﻴﻤًﺎ ‏[ ٤: ١٨
অবশ্যই আল্লাহ তাদের তওবা কবুল
করবেন,যারা ভূলবশতঃ মন্দ কাজ
করে,অতঃপর অনতিবিলম্বে তওবা করে;
এরাই হল সেসব লোক যাদেরকে আল্লাহ
ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী,
রহস্যবিদ।আর এমন লোকদের জন্য কোন ক্ষমা নেই,
যারা মন্দ কাজ করতেই থাকে,এমন কি
যখন তাদের কারো মাথার উপর মৃত্যু
উপস্থিত হয়, তখন বলতে থাকেঃ আমি
এখন তওবা করছি। আর তওবা নেই
তাদের জন্য, যারা কুফরী অবস্থায়
মৃত্যুবরণ করে। আমি তাদের জন্য
যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে
রেখেছি। {সূরা নিসা-১৭-১৮}
তাছাড়া আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের
কাছে এ জন্য কায়মানোবাক্যে ক্ষমা
চান। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তাআলা
আপনাদের গোনাহকে মাফ করে
দিবেন। আপনার সংসার সুখময় ও
ইবাদতময় হোক এ দুআই করছি।
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻋُﺒَﻴْﺪَﺓَ ﺑْﻦِ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ، ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ
ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ: ‏«ﺍﻟﺘَّﺎﺋِﺐُ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺬَّﻧْﺐِ، ﻛَﻤَﻦْ ﻟَﺎ ﺫَﻧْﺐَ ﻟَﻪُ
হযরত আব্দুল্লা বিন মাসঈদ রাঃ থেকে
বর্ণিত। রাসল সাঃ ইরশাদ করেছেন,
গুনাহ থেকে তওবাকারী সেই ব্যক্তির
মত যার কোন গোনাহ নেই। {সুনানে
ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৪২৫০}
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﻗﺎﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻻ
ﻳﻠﺞ ﺍﻟﻨﺎﺭ ﺭﺟﻞ ﺑﻜﻲ ﻣﻦ ﺧﺸﻴﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﺣﺘﻰ ﻳﻌﻮﺩ ﺍﻟﻠﺒﻦ ﻓﻲ ﺍﻟﻀﺮﻉ
ﻭﻻ ﻳﺠﺘﻤﻊ ﻏﺒﺎﺭ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺩﺧﺎﻥ ﺟﻨﻬﻢ
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত।
রাসূল সা. ইরশাদ করেছেন-“যে ব্যক্তি
আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করে সে
ব্যক্তিকে (জাহান্নামের) অগ্নি স্পর্শ
করা সম্ভব নয় যদিও দোহনকৃত দুধ উলানে ফিরানো সম্ভব হয়। আর জাহান্নামের
ধোঁয়া এবং আল্লাহর পথে (চলার
কারণে) উড়ন্ত ধুলি কখনো একসাথে
হতে পারেনা। (নাসায়ী শরীফ, হাদিস
নং-৩১০৮, সুনানে তিরমিযী, হাদিস
নং-১৬৩৩, ২৩১১, সুনানে আবু দাউদ,
হাদিস নং-৪২৭)
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ

উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক -তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট
এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
ইমেইল- ahlehaqmedia2014@gmail.com
lutforfarazi@yahoo.com

প্রেম ও বিয়েঃ শরয়ী

প্রশ্ন

আমি ইয়াছিন শরিফ,আমার বয়স ১৮।
ভাই আমার একটা সম্পর্ক আছে,সেও সম
বয়স এর।
এখন আমার বিয়ে করার দরকার,শরীয়ত
অনুযায়ী আমি তারে সহজে বিয়ে
করতে চাই।তবে এই সম্পর্কে এখন
আমারা পরিবার কে জানাতে পারবো
না।
এখন আমি কী করি?

উত্তর
ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ
বিয়ের পূর্বে বেগানা ছেলে মেয়ের
পরস্পর দেখা সাক্ষাৎ, অপ্রয়োজনীয়
কথা বলার সবই হারাম। তাই এসব থেকে বিরত থাকতে হবে। বিয়ের প্রয়োজন বোধ করলে পারিবারিকভাবে বিয়ে করাই সবচে’ উত্তম। যাতে করে পরবর্তীতে কোন প্রকার সমস্যা না হয়। সেই সাথে সম্পর্কটি ভেঙ্গে না যায়।
আপনাদের বয়স কম হওয়ায় নিজে নিজে
সিদ্ধান্ত নিতে গেলে হয়তো সঠিক
সিদ্ধান্তটি নিতে পারবেন না।
অভিজ্ঞতা না থাকায় ভুল সিদ্ধান্তও
গ্রহণ করতে পারেন। যা আপনার বাকি
জীবনের জন্য শুধু আফসোসেরই কারণ
হয়ে থাকবে। তাই চিন্তা ভাবনা করে,
মুরুব্বীদের সাথে আলোচনা করে এসব
বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত।
তবে যদি এমতাবস্থায়ও আপনারা
পরিবারকে না জানিয়ে লুকিয়ে বিয়ে
করতে ফেলতে চান, তাহলে অবশ্যই তা
কাজী অফিসে করবেন। সেই সাথে
রেজিষ্ট্রার করিয়ে রাখবেন। এটি
শরীয়তে আবশ্যক নয়। কিন্তু সামাজিক
হিসেবে এটি জরুরী। কারণ যেন, দু’দিন
পর স্ত্রীকে ভাল না লাগলে বিয়ে
রেজিষ্টার হয়নি বলে ছেড়ে দেবার
ছুতো না বের করা যায়। যদিও দুইজন
স্বাক্ষীর সামনে প্রস্তাব ও কবুল বলার
দ্বারাই বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যায়। কিন্তু
পারিপার্শিক খারাবী থেকে
বিয়েকে রক্ষা করার জন্য বর্তমানে
রেজিষ্টার করিয়ে নেয়া জরুরী।
বাকি সিদ্ধান্ত আপনার হাতে।
জাযাকাল্লাহ।
ﻓﻰ ﺍﻟﺪﺭ ﺍﻟﻤﺨﺘﺎﺭ – ‏( ﻭ ‏) ﺷﺮﻁ ‏( ﺣﻀﻮﺭ ‏) ﺷﺎﻫﺪﻳﻦ ‏( ﺣﺮﻳﻦ ‏) ﺃﻭ
ﺣﺮ ﻭﺣﺮﺗﻴﻦ ‏( ﻣﻜﻠﻔﻴﻦ ﺳﺎﻣﻌﻴﻦ ﻗﻮﻟﻬﻤﺎ ﻣﻌﺎ ‏) ‏( ﺍﻟﺪﺭ ﺍﻟﻤﺨﺘﺎﺭ ،
ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻨﻜﺎﺡ، – 3/9 )
অনুবাদ-বিবাহ সহীহ হওয়ার শর্ত হল
শরীয়তের মুকাল্লাফ [যাদের উপর
শরীয়তের বিধান আরোপিত হয়] এমন
দুইজন আযাদ পুরুষ সাক্ষি বা একজন
আযাদ পুরুষ ও দুইজন মহিলা সাক্ষি হতে
হবে, যারা প্রস্তাবনা ও কবুল বলার
উভয় বক্তব্য স্বকর্ণে উপস্থিত থেকে
শুনতে পায়। {আদ দুররুল মুখতার-৩/৯,
ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৬৮}
ﻗُﻞْ ﻟِﻠْﻤُﺆْﻣِﻨِﻴﻦَ ﻳَﻐُﻀُّﻮﺍ ﻣِﻦْ ﺃَﺑْﺼَﺎﺭِﻫِﻢْ ﻭَﻳَﺤْﻔَﻈُﻮﺍ ﻓُﺮُﻭﺟَﻬُﻢْ ﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺯْﻛَﻰ
ﻟَﻬُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺧَﺒِﻴﺮٌ ﺑِﻤَﺎ ﻳَﺼْﻨَﻌُﻮﻥَ ‏(30 ‏) ﻭَﻗُﻞْ ﻟِﻠْﻤُﺆْﻣِﻨَﺎﺕِ ﻳَﻐْﻀُﻀْﻦَ ﻣِﻦْ
ﺃَﺑْﺼَﺎﺭِﻫِﻦَّ ﻭَﻳَﺤْﻔَﻈْﻦَ ﻓُﺮُﻭﺟَﻬُﻦَّ ﺍﻟﺦ
কুরআনে কারীমে ইরশাদ
হয়েছে-“মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন
তাদের চক্ষুকে অবনত রাখে এবং
তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে।
এটাই তাদের জন্য পবিত্রতম পন্থা।
তারা যা করে নিশ্চয় আল্লাহ সে
বিষয়ে সম্যক অবহিত। আর মুমিন
নারীদের বলুন তারা যেন তাদের
চক্ষুকে অবনত রাখে ও তাদের
লজ্জাস্থানকে হিফাযত করে। {সূরা
নূর-৩০,৩১}
ﻳَﺎ ﻧِﺴَﺎﺀَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﻟَﺴْﺘُﻦَّ ﻛَﺄَﺣَﺪٍ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀِ ﺇِﻥِ ﺍﺗَّﻘَﻴْﺘُﻦَّ ﻓَﻠَﺎ ﺗَﺨْﻀَﻌْﻦَ
ﺑِﺎﻟْﻘَﻮْﻝِ ﻓَﻴَﻄْﻤَﻊَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻓِﻲ ﻗَﻠْﺒِﻪِ ﻣَﺮَﺽٌ ﻭَﻗُﻠْﻦَ ﻗَﻮْﻟًﺎ ﻣَﻌْﺮُﻭﻓًﺎ ‏( 32 ‏)
ﻭَﻗَﺮْﻥَ ﻓِﻲ ﺑُﻴُﻮﺗِﻜُﻦَّ ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺒَﺮَّﺟْﻦَ ﺗَﺒَﺮُّﺝَ ﺍﻟْﺠَﺎﻫِﻠِﻴَّﺔِ ﺍﻟْﺄُﻭﻟَﻰ
হে নবীর স্ত্রীগণ! তোমরা অন্য
নারীদের মত নও [ইহুদী খৃষ্টান)।
তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় পাও তবে
বিনম্র হয়ে কথা বলনা, যাতে যাদের
মাঝে পৌরষত্ব আছে তারা তোমাদের
প্রতি আকৃষ্ট হয়। বরং তোমরা
স্বাভাবিক কথা বল। এবং তোমরা
অবস্থান কর স্বীয় বসবাসের গৃহে। {সূরা
আহযাব-৩২}
ﻋﻦ ﻋﻘﺒﺔ ﺑﻦ ﻋﺎﻣﺮ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ
‏( ﺇﻳﺎﻛﻢ ﻭﺍﻟﺪﺧﻮﻝ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻨﺴﺎﺀ ‏) . ﻓﻘﺎﻝ ﺭﺟﻞ ﻣﻦ ﺍﻷﻧﺼﺎﺭ ﻳﺎ
ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺃﻓﺮﺃﻳﺖ ﺍﻟﺤﻤﻮ ؟ ﻗﺎﻝ ‏( ﺍﻟﺤﻤﻮ ﺍﻟﻤﻮﺕ )
হযরত ওকবা বিন আমের রাঃ থেকে
বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ
করেছেন-“তোমরা মহিলাদের নিকট
[একাকি] প্রবেশ করা থেকে বিরত
থাক। আনসারদের মধ্যে এক ব্যক্তি
বলল-‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! দেবরের
ব্যাপারে কি নির্দেশ?’ তিনি
বললেন-‘দেবরতো মৃত্যুতুল্য’”। {সহীহ
বুখারী, হাদিস নং-৪৯৩৪, সহীহ
মুসলিম, হাদিস নং-৫৮০৩, আল মুজামুল
কাবীর, হাদীস নং-৭৩৬, সুনানে
বায়হাকী, হাদীস নং-১৩২৯৬, সুনানে
তিরমিযী, হাদীস নং-১১৭১, সুনানে
দারেমী, হাদীস নং-২৬৪২, সুনানে
নাসায়ী, হাদীস নং-৯২১৬, সহীহ ইবনে
হিব্বান, হাদীস নং-৫৫৮৮, মুসনাদে
আবি আওয়ানা, হাদীস নং-৪০৩২,
মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৭৩৯৬,
মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস
নং-১৭৯৫৪}
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﻗﺎﻝ : ﺧﻄﺒﻨﺎ ﻋﻤﺮ ﺑﺎﻟﺠﺎﺑﻴﺔ ﺍﻟﺦ ﺃﻻ ﻻ ﻳﺨﻠﻮﻥ ﺭﺟﻞ
ﺑﺎﻣﺮﺃﺓ ﺇﻻ ﻛﺎﻥ ﺛﺎﻟﺜﻬﻤﺎ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ
হযরত ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল
সাঃ ইরশাদ করেছেন-যখনই কোন পুরুষ
পর নারীর সাথে নির্জনে দেখা করে
তখনই শয়তান সেখানে তৃতীয় ব্যক্তি
হিসেবে উপস্থিত হয়। {সুনানে
তিরমিযী, হাদিস নং-২১৬৫, সহীহ
ইবনে হিব্বান, হাদিস নং-৫৫৮৬}

ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ

উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক -তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট
এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
ইমেইল- ahlehaqmedia2014@gmail.com
lutforfarazi@yahoo.com

পরকীয়ায় লিপ্ত স্ত্রীর ???

প্রশ্ন

আমার স্ত্রী অন্য পুরুষের সাথে ফোনে
কথা বলে ও দেখা সাক্ষাত করে। ঔ
ছেলের সাথে আলিঙ্গন ও চুম্বন হয়
কিন্তু সহবাস হয়নি সে কোরআন স্পর্শ
করে বলেছে। এখন আমি তাকে কি গ্রহণ
করতে পারি? আর পারলে শরিয়ত
অনুযায়ী আমার করণীয় কি?
প্রশ্নকর্তা-নাম ঠিকানা প্রকাশে
অনিচ্ছুক

উত্তর

ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ
আপনার স্ত্রী যদি সাচ্চা দিলে তওবা
করে তাহলে আপনি আপনার স্ত্রীকে
গ্রহণ করতে পারেন। এতে কোন সমস্যা
নেই। তওবা বলা হয় তিন জিনিসকে।
যথা
ক) গোনাহের কাজটি ছেড়ে দেয়া।
খ)গোনাহটির জন্য লজ্জিত হওয়া।
গ) ভবিষ্যতে কখনোই উক্ত পাপকর্ম না
করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করা।
যদি আপনার স্ত্রী তওবা করতে সম্মত
না হয়, তাহলে পারিবারিকভাবে
বিষয়টির সুরাহা করতে চেষ্টা করুন।
আপনার স্ত্রী কী চায়? সেকি আপনার
সাথে থাকতে চায়? সেকি এ অপকর্ম
ছেড়ে দিবে কি না? এসব বিষয়ে
পারিবারিকভাবে মিটমাট করতে
চেষ্টা করুন। যদি এতেও সক্ষম না হোন
তাহলে তাকে এক তালাক প্রদান করে
আলাদা করে দিন। তিন তালাক
কিছুতেই প্রদান করবেন না। যেহেতু এক
তালাক দ্বারাই বিচ্ছেদের
প্রয়োজনীয়তা পূর্ণ হয়ে যায়, তাই
একাধিক তালাক দেয়া অর্থহীন কর্ম
ছাড়া আর কিছু নয়। যেন ভবিষ্যতে
মিলমিশ হয়ে গেলে আবার একত্রে
বসবাসের সুযোগ বাকি থাকে।
ﺍﻧَّﻤَﺎ ﺍﻟﺘَّﻮْﺑَﺔُ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻟِﻠَّﺬِﻳﻦَ ﻳَﻌْﻤَﻠُﻮﻥَ ﺍﻟﺴُّﻮﺀَ ﺑِﺠَﻬَﺎﻟَﺔٍ ﺛُﻢَّ ﻳَﺘُﻮﺑُﻮﻥَ ﻣِﻦْ
ﻗَﺮِﻳﺐٍ ﻓَﺄُﻭﻟَٰﺌِﻚَ ﻳَﺘُﻮﺏُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ ۗ ﻭَﻛَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠِﻴﻤًﺎ ﺣَﻜِﻴﻤًﺎ
‏[ ٤: ١٧ ‏]ﻭَﻟَﻴْﺴَﺖِ ﺍﻟﺘَّﻮْﺑَﺔُ ﻟِﻠَّﺬِﻳﻦَ ﻳَﻌْﻤَﻠُﻮﻥَ ﺍﻟﺴَّﻴِّﺌَﺎﺕِ ﺣَﺘَّﻰٰ ﺇِﺫَﺍ ﺣَﻀَﺮَ
ﺃَﺣَﺪَﻫُﻢُ ﺍﻟْﻤَﻮْﺕُ ﻗَﺎﻝَ ﺇِﻧِّﻲ ﺗُﺒْﺖُ ﺍﻟْﺂﻥَ ﻭَﻟَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳَﻤُﻮﺗُﻮﻥَ ﻭَﻫُﻢْ ﻛُﻔَّﺎﺭٌ ۚ
ﺃُﻭﻟَٰﺌِﻚَ ﺃَﻋْﺘَﺪْﻧَﺎ ﻟَﻬُﻢْ ﻋَﺬَﺍﺑًﺎ ﺃَﻟِﻴﻤًﺎ ‏[ ٤: ١٨
অবশ্যই আল্লাহ তাদের তওবা কবুল
করবেন,যারা ভূলবশতঃ মন্দ কাজ
করে,অতঃপর অনতিবিলম্বে তওবা করে;
এরাই হল সেসব লোক যাদেরকে আল্লাহ
ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী,
রহস্যবিদ।
আর এমন লোকদের জন্য কোন ক্ষমা নেই,
যারা মন্দ কাজ করতেই থাকে,এমন কি
যখন তাদের কারো মাথার উপর মৃত্যু
উপস্থিত হয়, তখন বলতে থাকেঃ আমি
এখন তওবা করছি। আর তওবা নেই
তাদের জন্য, যারা কুফরী অবস্থায়
মৃত্যুবরণ করে। আমি তাদের জন্য
যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে
রেখেছি। {সূরা নিসা-১৭-১৮}
ﺍﻟﻄَّﻠَﺎﻕُ ﻣَﺮَّﺗَﺎﻥِ ۖ ﻓَﺈِﻣْﺴَﺎﻙٌ ﺑِﻤَﻌْﺮُﻭﻑٍ ﺃَﻭْ ﺗَﺴْﺮِﻳﺢٌ ﺑِﺈِﺣْﺴَﺎﻥٍ ۗ ﻭَﻟَﺎ ﻳَﺤِﻞُّ ﻟَﻜُﻢْ
ﺃَﻥ ﺗَﺄْﺧُﺬُﻭﺍ ﻣِﻤَّﺎ ﺁﺗَﻴْﺘُﻤُﻮﻫُﻦَّ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﺇِﻟَّﺎ ﺃَﻥ ﻳَﺨَﺎﻓَﺎ ﺃَﻟَّﺎ ﻳُﻘِﻴﻤَﺎ ﺣُﺪُﻭﺩَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۖ
ﻓَﺈِﻥْ ﺧِﻔْﺘُﻢْ ﺃَﻟَّﺎ ﻳُﻘِﻴﻤَﺎ ﺣُﺪُﻭﺩَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓَﻠَﺎ ﺟُﻨَﺎﺡَ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻤَﺎ ﻓِﻴﻤَﺎ ﺍﻓْﺘَﺪَﺕْ ﺑِﻪِ ۗ
ﺗِﻠْﻚَ ﺣُﺪُﻭﺩُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓَﻠَﺎ ﺗَﻌْﺘَﺪُﻭﻫَﺎ ۚ ﻭَﻣَﻦ ﻳَﺘَﻌَﺪَّ ﺣُﺪُﻭﺩَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓَﺄُﻭﻟَٰﺌِﻚَ ﻫُﻢُ
ﺍﻟﻈَّﺎﻟِﻤُﻮﻥَ ‏[ ٢: ٢٢٩ ]
তালাকে-‘রাজঈ’ হ’ল দুবার পর্যন্ত
তারপর হয় নিয়মানুযায়ী রাখবে,না হয়
সহৃদয়তার সঙ্গে বর্জন করবে। আর
নিজের দেয়া সম্পদ থেকে কিছু
ফিরিয়ে নেয়া তোমাদের জন্য
জায়েয নয় তাদের কাছ থেকে। কিন্তু
যে ক্ষেত্রে স্বামী ও স্ত্রী উভয়েই এ
ব্যাপারে ভয় করে যে, তারা আল্লাহর
নির্দেশ বজায় রাখতে পারবে না,
অতঃপর যদি তোমাদের ভয় হয় যে,
তারা উভয়েই আল্লাহর নির্দেশ বজায়
রাখতে পারবে না, তাহলে সেক্ষেত্রে
স্ত্রী যদি বিনিময় দিয়ে অব্যাহতি
নিয়ে নেয়, তবে উভয়ের মধ্যে কারোরই
কোন পাপ নেই। এই হলো আল্লাহ
কর্তৃক নির্ধারিত সীমা। কাজেই একে
অতিক্রম করো না। বস্তুতঃ যারা
আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা লঙ্ঘন
করবে,তারাই জালেম। {বাকারা-২৩০}
ﻓَﺎﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻠﻪَ ﻓِﻲ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀِ، ﻓَﺈِﻧَّﻜُﻢْ ﺃَﺧَﺬْﺗُﻤُﻮﻫُﻦَّ ﺑِﺄَﻣَﺎﻥِ ﺍﻟﻠﻪِ، ﻭَﺍﺳْﺘَﺤْﻠَﻠْﺘُﻢْ
ﻓُﺮُﻭﺟَﻬُﻦَّ ﺑِﻜَﻠِﻤَﺔِ ﺍﻟﻠﻪِ، ﻭَﻟَﻜُﻢْ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻦَّ ﺃَﻥْ ﻟَﺎ ﻳُﻮﻃِﺌْﻦَ ﻓُﺮُﺷَﻜُﻢْ ﺃَﺣَﺪًﺍ
ﺗَﻜْﺮَﻫُﻮﻧَﻪ،ُ ﻓَﺈِﻥْ ﻓَﻌَﻠْﻦَ ﺫَﻟِﻚَ ﻓَﺎﺿْﺮِﺑُﻮﻫُﻦَّ ﺿَﺮْﺑًﺎ ﻏَﻴْﺮَ ﻣُﺒَﺮِّﺡٍ، ﻭَﻟَﻬُﻦَّ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ
ﺭِﺯْﻗُﻬُﻦَّ ﻭَﻛِﺴْﻮَﺗُﻬُﻦَّ ﺑِﺎﻟْﻤَﻌْﺮُﻭﻑِ ،
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তোমরা
নারীদের ব্যাপারে আল্লাহ
তাআলাকে ভয় কর। কেননা, তোমরা
তাদেরকে গ্রহণ করেছো আল্লাহর
জামানত এবং আল্লাহর নির্দেশে
তাদের যৌনাঙ্গকে করেছো হালাল।
তাদের প্রতি তোমাদের অধিকার হল,
তোমরা যাকে অপছন্দ কর তারা যেন
তোমাদের বিছানায় আসতে না দেয়,
[অর্থাৎ তোমাদের সন্তুষ্টি ছাড়া
কাউকে যেন তোমাদের গৃহে আসতে না
দেয়। চাই সে পুরুষ হোক বা নারী]। যদি
তারা এটা করে [অর্থাৎ অপছন্দের
ব্যক্তিকে আসতে দেয়] তবে তাদের মৃদু
প্রহার কর। আর তোমাদের উপর তাদের
অধিকার, তোমরা ন্যায়সঙ্গতভাবে
তাদের অন্ন ও বস্ত্রের ব্যবস্থা করবে।
{সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১২১৮ নং
হাদীসের অংশ বিশেষ}
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ

উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক -তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট
এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
ইমেইল- ahlehaqmedia2014@gmail.com
lutforfarazi@yahoo.com

ওরাল সেক্সের হুকুম কী ???

প্রশ্ন

Assalamualaikum,
I want to know that oral sex is right or
wrong in islam.

উত্তর
ﻭﻋﻠﻴﻜﻢ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻭﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺑﺮﻛﺎﺗﻪ
ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ

স্বামী বা স্ত্রী পরস্পর যৌনাঙ্গে মুখ
দেয়া নোংরামী এবং পশুত্বের
নিদর্শন। এমনটি করা মাকরুহে
তাহরীমী। [ফাতওয়ায়ে
মাহমুদিয়া-২৯/১৪২}
ﻓﻰ ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ ﺍﻟﻬﻨﺪﻳﺔ – ﺇﺫﺍ ﺃﺩﺧﻞ ﺍﻟﺮﺟﻞ ﺫﻛﺮﻩ ﻓﻲ ﻓﻢ ﺍﻣﺮﺃﺗﻪ ﻗﺪ
ﻗﻴﻞ ﻳﻜﺮﻩ ، ‏(ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ ﺍﻟﻬﻨﺪﻳﺔ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻜﺮﺍﻫﻴﺔ، ﺍﻟﺒﺎﺏ ﺍﻟﺜﻼﺛﻮﻥ ﻓﻰ
ﺍﻟﻤﺘﻔﺮﻗﺎﺕ – 5/372
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ

উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক -তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট
এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
ইমেইল- ahlehaqmedia2014@gmail.com
lutforfarazi@yahoo.com

হাদীসের বই দেখে নিজে নিজে হাদীসের হুকুম আরোপ করে দেয়া যাবে কি ???

প্রশ্ন

আসসালামু আলাইকুম,
বুলুগুল মারামে দেখলাম বিভিন্ন যইফ হাদীস আনা হয়েছে। অবশ্য কিছু হাদীসের শাহেদ হাদীস রয়েছে। কিন্তু যেগুলোর ব্যাপারে শাহেদ হাদীস নেই বরং টীকাতে আরো দলিল দেখিয়ে ” যইফ ” সাব্যস্ত করা হয়েছে সে সকল
হাদীসের ক্ষেত্রে কি করবো? সেগুলোর উপরে আমল করব নাকি করবো না? আবার অনেক যইফ হাদীস নিয়ে মতভেদ হয়েছে কেউ বলছে সহীহ
আবার কেউ যইফ। কোনটা গ্রহণ করব ???

উত্তর

ﻭﻋﻠﻴﻜﻢ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻭﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺑﺮﻛﺎﺗﻪ
ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ
ডাক্তারী বই পড়ে ডাক্তারী করার অধিকার যেমন সবার নেই। তেমনি হাদীসের বই পড়ে
হুকুম আরোপ করে দেয়ার অধিকারও সবার নেই। ডাক্তারী বই পড়ে বিধান আরোপ করার ক্ষমতা যেমন কেবলি বিজ্ঞ ডাক্তারের। কোন হাতুড়ি
ডাক্তার বা সাধারণ ব্যক্তি ডাক্তারী বইয়ের আলোকে চিকিৎসা শুরু করে দিলে যেমন রুগীর মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাবে। তেমনি বিধান সম্বলিত আয়াত ও হাদীস দেখেই অনভিজ্ঞ গায়রে আলেম ও গায়রে মুহাদ্দিসরা হুকুম আরোপ করতে থাকলে পুরো দ্বীনটাই মৃতপ্রায় হয়ে যাবে। তাই যার কাছে তাকেই করতে দেয়া উচিত। কোন হাদীস গ্রহণ করবেন? কোন হাদীস বর্জন করবেন? এটি হাদীস সম্পর্কে বিজ্ঞ ও প্রাজ্ঞ মুহাদ্দিসদের কাছ থেকে জেনে নিন। একজন মুহাদ্দিসের সহীহ জঈফ বলা দেখেই হুকুম করে দেয়া এক বই পড়েই ডাক্তারী করে ফেলার মত আহমকী হবে। তাই এক্ষেত্রে আমভাবে শুধু বুলুগুল মারাম নয়, যে কোন হাদীস গ্রন্থের ক্ষেত্রেই বিজ্ঞ ব্যক্তিদের পরামর্শ ও দিক
নির্দেশনা বিধান সম্বলিত হাদীসের হুকুম
বলে দেয়া যাবে না। বরং উক্ত হাদীসটি
বিষয়ে বিজ্ঞ ব্যক্তির শরণাপন্ন হতে হবে। সে হাদীসটির সনদ দেখতে হবে। মুহাদ্দিসীনে
কেরামের কালাম দেখতে হবে। কারা কারা এ
হাদীসকে গ্রহণযোগ্য বলেছেন? কারা এটিকে
অগ্রণযোগ্য বলেছেন? এবং কেন বলেছেন? সব কিছু পর্যালোনার পর সেই হাদীসটির
ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে।
আমভাবে সহীহ জঈফ দেখে অন্তত বিধান
সম্বলিত হাদীসকে আমল করা ও বর্জন করা
সাধারণ শিক্ষিত ব্যক্তির এক ডাক্তারী বই
দেখে চিকিৎসা শুরু করে দেয়ার মতই বিপদজনক ও ভয়ানক।
তাই এক্ষেত্রে বিজ্ঞ আলেমদের শরণাপন্ন না হয়ে আমভাবে কোন হুকুম আরোপ করা যাবে না।
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ

উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক -তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড
রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

আল্লাহ তাআলাকে খোদা বলে ডাকা জায়েজ নয় ???

প্রশ্ন

কিছু ভাই বলেন যে, আমরা যে আল্লাহ
তাআলাকে খোদা বলে ডাকি, তা নাকি
জায়েজ নয়। এ ব্যাপারে আপনাদের মতামত জানতে চাচ্ছি।

উত্তর
ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ

আল্লাহ তাআলাকে অন্য ভাষায় এমন শব্দে ডাকা জায়েজ, যে শব্দে আর কাউকে ডাকা হয় না। সেই সাথে এটা অন্য কোন ধর্মের ধর্মীয় কোন নাম নয়। (আল ইয়াওয়াক্বীত ওয়াল
জাওয়াহীর-৭৮, ফাতওয়া আলমগীরী-৬/৪৪৬}
এ মূলনীতির আলোকে খোদা শব্দটি আল্লাহ
তাআলার নাম হিসেবে বাংলা, উর্দু,
হিন্দিতে অনুবাদ হিসেবে বলাতে কোন
সমস্যা নেই। কারণ খোদা শব্দটি ইসলাম ধর্ম
ছাড়া অন্য কোন ধর্মের কোন ধর্মীয় শব্দ নয়। সেই সাথে এর দ্বারা আমরা কেবল
আল্লাহকেই বুঝে থাকি। অন্য কোন সত্বাকে
বুঝি না। পক্ষান্তরে বিষ্ণু অর্থ রব, এবং
ব্রাহ্মণ অর্থ সৃষ্টিকর্তা হলেও এটা ইসলামি
কোন শব্দ নয়। সেই সাথে এ শব্দ দু’টি
হিন্দুদের ধর্মীয় প্রতিক। তাই এ শব্দে
আল্লাহকে ডাকা জায়েজ নয়। পক্ষান্তরে
খোদা শব্দটি। এটা নিরেট ইসলামি শব্দ। এর দ্বারা অন্য কোন ধর্মকে বুঝায় না। বুঝায় না আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন সত্বাকেও। তাই খোদা বলে আল্লাহকে বুঝাতে কোন সমস্যা নেই।
প্রথম দলিল ও তার খন্ডন
যারা খোদা বলা না জায়েজ বলে থাকেন
তাদের দলিল হল-আল্লাহ আরবী শব্দ, তাই
একে বাংলা উর্দুতে অনুবাদ করে খোদা বলা জায়েজ হবে না।
এর জবাব হল-যদি আরবী আল্লাহ শব্দকে অনুবাদ করে খোদা বলা না জায়েজ হয়, তাহলে আরবী সালাত শব্দকে বাংলা উর্দু- ফার্সিতে নামায বলা কিভাবে জায়েজ?
আরবী সওম শব্দকে বাংলা উর্দতে রোযা বলা জায়েজ কিভাবে?
যদি এসব জায়েজ হয়, তাহলে আল্লাহ শব্দের অনুবাদ খোদা বলাও জায়েজ।
দ্বিতীয় দলিল ও তার খন্ডন
তাদের আরেকটি দলিল হল-আল্লাহ শব্দের কোন বহুবচন নেই। নেই আল্লাহ সত্বারও কোন
বহুবচন। অথচ খোদা শব্দটির বহুবচন হল
খোদাওন্দ। তাই খোদা বলার মাধ্যমে আল্লাহ
তাআলাকে বহুবচন সাব্যস্ত করা হচ্ছে, তাই আল্লাহ শব্দের অনুবাদ খোদা শব্দ দিয়ে করা জায়েজ নয়।
এ যুক্তিটিও একটি অগ্রহণীয় যুক্তি। কারণ যদি
তাই হয়, তাহলে রব শব্দ দিয়ে আল্লাহকে
ডাকা জায়েজ হবে না। কারণ “রব” শব্দের বহুবচন“আরবাব” আছে। আল্লাহ তাআলাকে রহীম শব্দেও ডাকা জায়েজ হবে না, কারণ রহীম শব্দের বহুবচন “রুহামা” আছে, তেমনি আল্লাহ তাআলাকে ইলাহ ডাকাও জায়েজ হবে
না, কারণ “ইলাহ” এর বহুবচন“আলিহাহ” আছে।
এসব কথা বলা যেমন বোকামীসূলভ বক্তব্য হবে
তেমনি খোদা শব্দের বহুবচন খোদাওয়ান্দ হওয়ায়, তা আল্লাহ শব্দের অনুবাদ হিসেবে
হারাম হওয়ার ফাতওয়া দেয়াও বোকামী বৈ
কিছু নয়।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সত্য সত্য হিসেবে
বুঝার, ও মিথ্যাকে মিথ্যা হিসেবে বুঝার
তৌফিক দান করুন। আমীন।
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ

উত্তর লিখনে

লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক -তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড
রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

“দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ” আর “মন ভাঙ্গা মসজিদ ভাঙ্গার সমান” বক্তব্য দু’টি কি হাদীস ???

প্রশ্ন :

নিচের দুইটি কথা প্রায়ই শোনা যায় ।

১. দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ
২. মন ভাঙ্গা আর মসজিদ ভাঙ্গা সমান
এই দুইটি কথার কোন ভিত্তি বা দলিল আছে কি?

জবাব:
ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ

দেশ প্রেম ঈমানের অঙ্গ কথাটি হাদীস নয়
জন্মভূমির মোহাব্বত, জন্মভূমির প্রতি মনের টান, হৃদয়ের আকর্ষণ মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। একটি মহৎগুণ। অন্তরে জন্মভূমির প্রতি ভালবাসা, মায়া মোহাব্বত, তার দিকে আগ্রহ থাকা ঈমান পরিপন্থী কিছু নয়। কিন্তু ঈমান ও
দেশের প্রশ্নে ঈমানকেই প্রাধান্য দিতে হবে। তবে দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ কথাটি রাসূল সাঃ এর হাদীস নয়। এটি হয়তো কোন মনীষীর উক্তি। দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ কথাটিকে আল্লামা
হাসান বিন মুহাম্মদ সাগানী রহঃ জাল
হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। {রিজালাতুল
মাওযুয়াত-৭)
মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ এ সম্পর্কে বলেন-
ﻻ ﺍﺻﻞ ﻟﻪ ﻋﻨﺪ ﺍﻟﺤﻔﺎﻅ
হাফেযে হাদীস মুহাদ্দিসীনদের নিকট এর
কোন ভিত্তি নেই। {আল মাসনু’-৯১}

আরো দ্রষ্টব্যঃ
আল মাকাসিদুল হাসানা-২১৮
তাযকিরাতুল মাওযুয়াত-১১
আদ্দুরারুল মুনতাসিয়া-১১০
মিরকাতুল মাফাতীহ-৪/৫
আল মাওযূয়াতুল কুবরা-৬১
আল লুউলুউল মারসু-৩৩
প্রচলিত জাল হাদীস-১৪৩-১৪৪

মন ভাঙ্গা আর মসজিদ ভাঙ্গা সমান কথাটি
হাদীসের কিতাবে নেই
মানুষকে কষ্ট দেয়া গোনাহের কাজ। এটি খুবই
গর্হিত কাজ। অন্যায়ভাবে কাউকে কষ্ট দিলে
এর শাস্তি আখেরাতে হবে। “কিন্তু মন ভাঙ্গা
মসজিদ ভাঙ্গা সমান অপরাধ” এ কথাটি
হাদীসের কিতাবে আমাদের তাহকীক
অনুযায়ী পাওয়া যায়নি। তাই রেফারেন্স
ছাড়া এটাকে হাদীস বলাটা উচিত হবে না।
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ

উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক -তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড
রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।