কাবা ও রওজার ছবিযুক্ত জায়নামায ব্যবহারের হুকুম কী?

প্রশ্ন

কা‘বা শরীফ ও রওজা শরীফ –এর
ছবিযুক্তজায়নামাজে নামাজ পরা যাবে কি?
উত্তর দিলে উপকৃত হবো।

উত্তর
ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ
কাবা ও মসজিদে নববী ইত্যাদির ছবিযুক্ত
জায়নামায পরিহার করা উচিত। কারণ এসবের
উপর পা রাখা হয় অনেক সময়। যদ্দারা এসবের
অপমান করা হয়। আর এসব ইসলামের
নিদর্শনাবলী। আর ইসলামের নিদর্শনাবলীকে
সম্মান করতে বলা হয়েছে। তাই এসব ছবিযুক্ত
জায়নামায পরিহার করা উচিত।
বাকি এর উপরে পা না রেখে বরং সেজদা
করলে নামায পড়াতে কোন সমস্যা নেই। মাকরূহ
হবে না।
ﺫَٰﻟِﻚَ ﻭَﻣَﻦ ﻳُﻌَﻈِّﻢْ ﺣُﺮُﻣَﺎﺕِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓَﻬُﻮَ ﺧَﻴْﺮٌ ﻟَّﻪُ ﻋِﻨﺪَ ﺭَﺑِّﻪِۗ ‏[ ٢٢ : ٣٠ ]
এটা শ্রবণযোগ্য। আর কেউ আল্লাহর
সম্মানযোগ্য বিধানাবলীর প্রতি সম্মান
প্রদর্শন করলে পালনকর্তার নিকট তা তার
জন্যে উত্তম। [সূরা হজ্ব-৩০]
ﺫَٰﻟِﻚَ ﻭَﻣَﻦ ﻳُﻌَﻈِّﻢْ ﺷَﻌَﺎﺋِﺮَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓَﺈِﻧَّﻬَﺎ ﻣِﻦ ﺗَﻘْﻮَﻯ ﺍﻟْﻘُﻠُﻮﺏِ ‏[ ٢٢ : ٣٢ ]
এটা শ্রবণযোগ্য কেউ আল্লাহর নামযুক্ত
বস্তুসমুহের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করলে তা
তো তার হৃদয়ের আল্লাহভীতি প্রসূত। [সূরা
হজ্ব-৩২]
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ ﻟَﺎ ﺗُﺤِﻠُّﻮﺍ ﺷَﻌَﺎﺋِﺮَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ‏[ ٥ : ٢ ]
হে মুমিনগণ! হালাল মনে করো না আল্লাহর
নিদর্শনসমূহ। [সূরা মায়িদা-২]
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ

উত্তর লিখনে

লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক -তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড
রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

সর্দি লাগা কাপড় পরিধান করে নামায পড়া যাবে কি?

প্রশ্ন

আসসালামু আলাইকুম,
জামার কোন এক কোনে ওজরবশত সর্দি
মোছা হলে অথবা সর্দির পর নাক
মোছা হলে
সেই জামায় কি সালাত আদায় করা
যাবে? সালাতের মাঝে হঠাৎ সর্দি
গড়িয়ে পড়লে
এবং যদি রুমাল না থাকে তখন জামার
হাতা বা কোন এক অংশ ব্যাবহারের
ব্যাপারে
হুকুম কি?
প্রশ্নকর্তা- মাহতাব।

উত্তর
ﻭﻋﻠﻴﻜﻢ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻭﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺑﺮﻛﺎﺗﻪ
ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ
সর্দির কারণে নাক থেকে ঝরা পানি
নাপাক নয়। এ কারণেই এর দ্বারা অজু
ভেঙ্গে যায় না। সুতরাং সর্দি কোন
কাপড়ে লেগে থাকলে উক্ত কাপড়সহ
নামায পড়া জায়েজ আছে। কোন
সমস্যা নেই। তবে অধিক পরিচ্ছন্ন
কাপড় পরিধান করে নামায পড়া উত্তম
বটে।
ﻭﻟﻮ ﻧﺰﻝ ﻣﻦ ﺍﻟﺮﺃﺱ ﻓﻄﺎﻫﺮ ﺍﺗﻔﺎﻗﺎ، ﻭﻓﻰ ﺍﻟﺘﻨﺠﻴﺲ: ﺃﻧﻪ ﻃﺎﻫﺮ ﻛﻴﻔﻤﺎ
ﻛﺎﻥ ﻭﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﻔﺘﻮﻯ، ‏( ﺍﻟﺒﺤﺮ ﺍﻟﺮﺍﺋﻖ – 1/37
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ

উত্তর লিখনে

লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক -তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট
এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

গোসল করার পর নামায পড়ার জন্য নতুন করে অজু করা কি জরুরী?

প্রশ্ন

আসসালামু আলাইকুম
আধুনিক সময়ের বাথরুমে পুরোপুরি কাপড়
খুলে যদি গোসল করার পর কাপড় পরে
নিয়ে নামাজ পড়া জাবে কি? নাকি
পুনরায় অজু করতে হবে?
এ ব্যপারে জানালে বাধিত হব।
মাসুদুর রহমান। সিডনি। অসটেলিয়া
থেকে।

উত্তর

ﻭﻋﻠﻴﻜﻢ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻭﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺑﺮﻛﺎﺗﻪ
ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ
অজু শুদ্ধ হবার জন্য চারটি কাজ হল
ফরজ। যথা-
১-পূর্ণ মুখ ধৌত করা।
২-উভয় হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করা।
৩-মাথা মাসাহ করা।
৪-উভয় পা ধৌত করা।
যেহেতু গোসলের দ্বারা উক্ত চারটি
কাজই ভালভাবে সম্পন্ন হয়ে যায়। তাই
গোসল করার পর আলাদাভাবে অজু করার
প্রয়োজন নেই। গোসল করার দ্বারাই অজু
হয়ে যায়। তাই গোসল সম্পন্ন করার পর
নতুন করে ওজু না করে নামায পড়লে শুদ্ধ
হয়ে যাবে। কোন সমস্যা নেই।
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ ﺇِﺫَﺍ ﻗُﻤْﺘُﻢْ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓِ ﻓَﺎﻏْﺴِﻠُﻮﺍ ﻭُﺟُﻮﻫَﻜُﻢْ ﻭَﺃَﻳْﺪِﻳَﻜُﻢْ
ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟْﻤَﺮَﺍﻓِﻖِ ﻭَﺍﻣْﺴَﺤُﻮﺍ ﺑِﺮُﺀُﻭﺳِﻜُﻢْ ﻭَﺃَﺭْﺟُﻠَﻜُﻢْ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟْﻜَﻌْﺒَﻴْﻦِۚ ‏[ ٥: ٦ ]
হে মুমিনগণ, যখন তোমরা নামাযের
জন্যে উঠ, তখন স্বীয় মুখমন্ডল ও হস্তসমূহ
কনুই পর্যন্ত ধৌত কর এবং তোমাদের
মাথাকে মাসাহ কর। আর পদযুগল গিটসহ
ধৌত {সূরা মায়িদা-৬}
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ

উত্তর লিখনে

লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক -তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট
এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

ওজু ছাড়া কুরআন তিলাওয়াত করার হুকুম কি?

প্রশ্ন

assalamualikum,
হুজুর অজু ছাড়া কি কোন সূরা
তিলাওয়াত করা যাবে?

উত্তর

ﻭﻋﻠﻴﻜﻢ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻭﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺑﺮﻛﺎﺗﻪ
ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ
গোসল ওয়াজিব না হয়, বরং শুধু ওজু না
থাকে, তাহলে এমতাবস্থায় মুখে মুখে
কুরআন তিলাওয়াত করা জায়েজ। কিন্তু
কুরআন স্পর্শ করা জায়েজ নয়।
ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﺃَﺑِﻲ ﺑَﻜْﺮِ ﺑْﻦِ ﺣَﺰْﻣٍﺄَﻥَّ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻜِﺘَﺎﺏِ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻛَﺘَﺒَﻪُ ﺭَﺳُﻮﻝُ
ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻟِﻌَﻤْﺮِﻭ ﺑْﻦِ ﺣَﺰْﻡٍ ﺃَﻥْ ﻟَﺎ ﻳَﻤَﺲَّ ﺍﻟْﻘُﺮْﺁﻥَ ﺇِﻟَّﺎ
ﻃَﺎﻫِﺮٌ
হযরত আব্দুল্লাহ বিন আবু বকর বিন হাযম
বলেনঃ রাসূল সাঃ আমর বিন হাযম এর
কাছে এই মর্মে চিঠি লিখেছিলেন যে,
পবিত্র হওয়া ছাড়া কুরআন কেউ স্পর্শ
করবে না”। {মুয়াত্তা মালিক, হাদীস
নং-৬৮০, কানযুল উম্মাল, হাদীস
নং-২৮৩০, মারেফাতুস সুনান ওয়াল
আসার, হাদীস নং-২০৯, আল মুজামুল
কাবীর, হাদীস নং-১৩২১৭, আল মুজামুস
সাগীর, হাদীস নং-১১৬২, মিশকাতুল
মাসাবীহ, হাদীস নং-৪৬৫, সুনানে
দারেমী, হাদীস নং-২২৬৬}
ﻋَﻦِ ﺍﺑْﻦِ ﻋُﻤَﺮَ ﻋَﻦْ ﺭَﺳُﻮﻝِ ﺍﻟﻠَّﻪِ -ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ- ﻗَﺎﻝَ : ‏« ﻻَ
ﺗَﻘْﺮَﺃُ ﺍﻟْﺤَﺎﺋِﺾُ ﻭَﻻَ ﺍﻟْﺠُﻨُﺐُ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻘُﺮْﺁﻥِ »
হযরত ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত।
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ হায়েজা
এবং গোসল ওয়াজিব হওয়া ব্যক্তি
কুরআন তিলাওয়াত করবে না। {সুনানে
কুবরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-১৫৩৫,
সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১৩১,
সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১৯০০,
মুসনান্না ইবনে আবী শাইবা, হাদীস
নং-১০৯৮}
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ

উত্তর লিখনে

লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক -তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট
এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

অজু করার অঙ্গসমূহে ক্ষত থাকলে কিভাবে অজু করবে?

প্রশ্ন

অজুর অঙ্গসমূহে ক্ষত থাকলে কিভাবে
অজু করবে?

উত্তর

ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ
শুধু ক্ষত থাকলেই তায়াম্মুম করা
আবশ্যক হয়ে যায় না। বরং যেখানে
ক্ষত রয়েছে এছাড়া বাকি অঙ্গ ধৌত
করবে। আর যেখানে ক্ষত রয়েছে
তাতেও যদি পানি পৌছালে সমস্যা না
হয়, তাহলে সেখানেও পানি পৌছাবে।
আর যদি পানি পৌছালে সমস্যা হয়ে
থাকে, তাহলে মাসাহ করলে সমস্যা না
হলে ক্ষতের উপর মাসাহ করবে।যদি
মাসাহ করলে সমস্যা ডাক্তার বলে
থাকেন, তাহলে উক্ত অঙ্গে মাসাহ
করবে না। এমনিতেই অজু হয়ে যাবে।
আর যদি প্লাষ্টার করা থাকে, তাহলে
প্লাষ্টারের উপর মাসাহ করবে। এছাড়া
বাকি অঙ্গ ধৌত করে নিবে।
ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮْﻁِ ﺟَﻮَﺍﺯِ ﺍﻟْﻤَﺴْﺢِ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﺠَﺒِﻴﺮَﺓِ ﺃَﻳْﻀًﺎ ﺃَﻥْ ﻳَﻜُﻮﻥَ ﺍﻟْﻤَﺴْﺢُ ﻋَﻠَﻰ
ﻋَﻴْﻦِ ﺍﻟْﺠِﺮَﺍﺣَﺔِ ﻣِﻤَّﺎ ﻳَﻀُﺮُّ ﺑِﻬَﺎ، ﻓَﺈِﻥْ ﻛَﺎﻥَ ﻟَﺎ ﻳَﻀُﺮُّ ﺑِﻬَﺎ ﻟَﺎ ﻳَﺠُﻮﺯُ ﺍﻟْﻤَﺴْﺢُ
ﺇﻟَّﺎ ﻋَﻠَﻰ ﻧَﻔْﺲِ ﺍﻟْﺠِﺮَﺍﺣَﺔِ، ﻭَﻟَﺎ ﻳَﺠُﻮﺯُ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﺠَﺒِﻴﺮَﺓ،ِ ﻛَﺬَﺍ ﺫَﻛَﺮَﻩُ ﺍﻟْﺤَﺴَﻦُ
ﺑْﻦُ ﺯِﻳَﺎﺩٍ؛ ﻟِﺄَﻥَّ ﺍﻟْﺠَﻮَﺍﺯَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﺠَﺒِﻴﺮَﺓِ ﻟِﻠْﻌُﺬْﺭِ، ﻭَﻟَﺎ ﻋُﺬْﺭَ. ‏(ﺑﺪﺍﺋﻊ
ﺍﻟﺼﻨﺎﺋﻊ- 1/90 )
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ

উত্তর লিখনে

লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক -তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট
এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

অজু করার পর উলঙ্গ হয়ে গেলে কি অজু ভেঙ্গে যায়? কিংবা লজ্জাস্থানে হাত দিলে হুকুম কী?

প্রশ্ন

ওজু করার পর উলঙ্গ হয়ে গেলে কি অজু
ভেঙ্গে যায়? কিংবা লজ্জাস্থানে
হাত দিলে হুকুম কী? অজু ভেঙ্গে যাবে?
দয়া করে জানালে ভাল হয়।

উত্তর
ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ

উলঙ্গ হওয়া অজু ভঙ্গের কোন কারণের
অন্তর্ভূক্ত নয়। তাই সতর খুলে ফেলার
দ্বারা অজু ভঙ্গ হবে না। তেমনিভাবে
লজ্জাস্থানে হাত দেবার দ্বারাও অজু
নষ্ট হয় না। তবে হাতটি ধুয়ে নেয়া
উত্তম।
ﻋﺸﺮﺓ ﺃﺷﻴﺎﺀ ﻻ ﺗﻨﻘﺾ ﺍﻟﻮﺿﻮﺀ، ﻣﻨﻬﺎ ‏(ﺍﻟﻰ ﺍﻥ ﻗﺎﻝ ‏) ﻭﻣﻨﻬﺎ ﻣﺲ ﺫﻛﺮ
ﻭﺩﺑﺮ ﻭﻓﺮﺝ ﻣﻄﻠﻘﺎ، ‏( ﺣﺎﺷﻴﺔ ﺍﻟﻄﺤﻄﺎﻭﻯ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻤﺮﺍﻗﻰ ﺍﻟﻔﻼﺡ، ﻛﺘﺎﺏ
ﺍﻟﻄﻬﺎﺭﺓ، ﻓﺼﻞ ﻋﺸﺮﺓ ﺃﺷﻴﺎﺀ ﻻ ﺗﻨﻘﺾ ﺍﻟﻮﺿﻮﺀ 93- )
ﺃﻳﻀﺎ ﻻ ﻳﻨﻘﺾ ﻣﺲ ﺫﻛﺮ ﻟﻜﻦ ﻳﻐﺴﻞ ﻳﺪﻩ ﻧﺪﺑﺎ ﻭﺇﻣﺮﺃﺓ ﻭﺃﻣﺮﺩ ﻟﻜﻦ
ﻳﻨﺪﺏ ﻟﻠﺨﺮﻭﺝ ﻣﻦ ﺍﻟﺨﻼﻑ ﻻ ﺳﻴﻤﺎ ﻟﻺﻣﺎﻡ )
ﻭﻓﻰ ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ، ﻗﻮﻟﻪ ﻟﻜﻦ ﻳﻐﺴﻞ ﻳﺪﻩ ﻧﺪﺑﺎ ﻟﺤﺪﻳﺚ ﻣﻦ ﻣﺲ ﺫﻛﺮ
ﻓﻠﻴﺘﻮﺿﺄ ﺃﻯ ﻟﻴﻐﺴﻞ ﻳﺪﻩ ﺟﻤﻌﺎ ﺑﻴﻨﻪ ﻭﺑﻴﻦ ﻗﻮﻟﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ
ﻭﺳﻠﻢ ﻫﻞ ﻫﻮ ﺇﻻ ﺑﻀﻌﺔ ﻣﻨﻚ، ﺣﻴﻦ ﺳﺌﻞ ﻋﻦ ﺍﻟﺮﺟﻞ ﻳﻤﺲ ﺫﻛﺮﻩ
ﺑﻌﺪ ﻣﺎ ﺗﻮﺿﺄ ‏( ﺍﻟﺪﺭ ﺍﻟﻤﺨﺘﺎﺭ، ﻣﻊ ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ، ﻣﻄﻠﺐ ﻧﻮﻡ ﺍﻷﻧﺒﻴﺎﺅ
ﻏﻴﺮ ﻧﺎﻗﺾ- 1/147
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ

উত্তর লিখনে

লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক -তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট
এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

হাটুর উপর কাপড় থাকলে কি অজু শুদ্ধ হয় না?

প্রশ্ন

জনাব,
মনে করুন আমি ফরজ গোছলেরর জন্য গোছল
খানায়, গোছলের আগে ওজু করব, কিন্তু আমার
প্যন্ট হাটুর উপরে, এমত অবস্থায় ওজু এবং গোছল
ছহি হবে কি?… নাকি পুর ছতর ডেকে ওজু করে
গোছল করতে হবে।।।

উত্তর
ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ

ওজুর সাথে সতর ঢাকার কোন সম্পর্ক নেই। সতর
খোলা থাকা অবস্থায়ও অজু করলে শুদ্ধ হয়
যাবে। এতে অজুর কোন ব্যাঘাত হবে না।
অজুর জন্য মুখ, হাত ও পায়ে গোড়ালীসহ ধৌত
করা ও মাথা মাসাহ করা আবশ্যক। এ চারটি
কর্ম দ্বারাই অজু পূর্ণতা লাভ করে। এর জন্য সতর
ঢাকার কোন শর্ত নেই।
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ ﺇِﺫَﺍ ﻗُﻤْﺘُﻢْ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓِ ﻓَﺎﻏْﺴِﻠُﻮﺍ ﻭُﺟُﻮﻫَﻜُﻢْ ﻭَﺃَﻳْﺪِﻳَﻜُﻢْ
ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟْﻤَﺮَﺍﻓِﻖِ ﻭَﺍﻣْﺴَﺤُﻮﺍ ﺑِﺮُﺀُﻭﺳِﻜُﻢْ ﻭَﺃَﺭْﺟُﻠَﻜُﻢْ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟْﻜَﻌْﺒَﻴْﻦِۚ ﻭَﺇِﻥ ﻛُﻨﺘُﻢْ
ﺟُﻨُﺒًﺎ ﻓَﺎﻃَّﻬَّﺮُﻭﺍۚ ‏[ ٥: ٦ ]
হে মুমিনগণ, যখন তোমরা নামাযের জন্যে উঠ,
তখন স্বীয় মুখমন্ডল ও হস্তসমূহ কনুই পর্যন্ত ধৌত
কর এবং তোমাদের মাথা মাসাহ কর, এবং
পদযুগল গিটসহ ধৌত কর। যদি তোমরা অপবিত্র
হও তবে সারা দেহ পবিত্র করে নাও {সূরা
মায়িদা-৬}
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ

উত্তর লিখনে

লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক -তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড
রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।