হাত-পা ও বুকের পশম কাটার হুকুম !!!

প্রশ্ন

হাত-পা ও বুকের পশম কাটার হুকুম কি? এসব কাটা কি জায়েজ?

উত্তর

ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ

এসব কাটা হারাম নয় তবে উত্তমও নয়।

ﻭﻓﻲ ﺣﻠﻖ ﺷﻌﺮ ﺍﻟﺼﺪﺭ ﻭﺍﻟﻈﻬﺮ ﺗﺮﻙ ﺍﻷﺩﺏ ‏( ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ، ﻛﺘﺎﺏ
ﺍﻟﺤﻈﺮ ﻭﺍﻻﺑﺎﺣﺔ، ﻓﺼﻞ ﻓﻰ ﺍﻟﺒﻴﻊ- 9/583، ﻃﺤﻄﺎﻭﻯ ﻋﻠﻰ
ﺍﻟﻤﺮﺍﻗﻰ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺼﻼﺓ، ﺑﺎﺏ ﺍﻟﺠﻤﻌﺔ 431- )
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ

উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক -তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড
রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

অযু ও নামাযের জন্য আরবীতে মুখে নিয়ত করা কি জরুরী ???

প্রশ্ন

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ ।নামাজ, অযু ইত্যাদির নিয়ত কি আরবিতেই “নাওয়াই তুওয়ান উসালি…” বলেই করা লাগবে? আর এসব নিয়ত এর কি কোনো দলিল আছে?

image

উত্তর

عليكم السلام ورحنة الله وبركاتهبسم الله الرحمن الرحي

নিয়ত মানে হল মনস্থির করা। কোন কাজটি করছি? কেন করছি? কার জন্য করছি? কি করছি? এসব বিষয় নির্ধারণ করার নাম হল নিয়ত।প্রতিটি কাজের সওয়াব পাবার জন্য নিয়ত থাকা আবশ্যক।নিয়ত বাংলায় বা আরবীতে বলা জরুরী নয়। আরবীতে যেসব নিয়ত আমাদের দেশে প্রচলিতএসব শব্দে কোন নিয়ত কুরআন ও হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়।তবে এসব নিয়তগুলো মূলত আমরা মনে মনে যে বিষয়গুলোর নিয়ত করে থাকি, তারই আরবীতে প্রকাশিত রূপ। এসব সুন্নাত মনে না করে এমনিতে পড়তে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু সুন্নত মনে করলে বিদআত হবে।মূল কথা, অযু ও নামাযের নিয়তের জন্য আরবীতে মুখে নিয়ত করার প্রমাণ নেই। মনে মনে নিয়ত করলেই যথেষ্ট।عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ عَلَى الْمِنْبَرِ يُخْبِرُ بِذَلِكَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّمَا الْأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ، وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى، فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى اللَّهِ وَرَسُولِهِ، فَهِجْرَتُهُ إِلَى اللَّهِوَرَسُولِهِ، وَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى دُنْيَا يُصِيبُهَا أَوْ إِلَى امْرَأَةٍ يَنْكِحُهَا، فَهِجْرَتُهُ إِلَى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ (مسند الحميدى، رقم الحديث-28والله اعلم بالصوابĺ

উত্তর লিখনে

লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।ইমেইল- ahlehaqmedia2014@gmail.comlutforfarazi@yahoo.com

ফরজ গোসলের জন্য অযু করা কি জরুরী ??? গোসল ফরজ থাকা অবস্থায় কোন কিছু ধরলে কি তা নাপাক হয়ে যায় ???

প্রশ্ন

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ ।কারো যদি গোসল ফরজ হয় (স্বপ্ন দোষ) তখন সে যা কিছু স্পর্শ করে সেই সব কিছু কি নাপাক হয়ে যায়?আর ফরজ গোসল করার আগে কি অযু করতেই হবে?শুধু ফরজ ৩ টা আদায় করলেইতো গোসল হয়ে যাবে?

image

উত্তর

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاتهبسم الله الرحمن الرحي

গোসল ফরজ অবস্থায় কোন কিছু স্পর্শ করলে উক্ত বস্তু নাপাক হবে না। হ্যাঁ, যদি হাতে নাপাক লেগে থাকে, আর উক্ত নাপাকীসহ কোথাও ধরা হয়, আর উক্ত স্থানে নাপাক লেগে যায়, তাহলেই কেবল উক্ত স্থানটি হবে।ফরজ গোসলের আগে অযু করা সুন্নাহ। ফরজ নয়। তাই অযু না করলেও গোসল হয়ে যাবে। তবে শর্ত হল নাকে ও গলার ভিতরে পানি প্রবেশ করাতে হবে। নাক ও গলার ভিতরসহ সারা শরীরের কোন এক স্থানেও যদি পানি না পৌঁছে, তাহলে ফরজ গোসল আদায় হবে না।তাই সতর্কতা স্বরূপ আগে গোসল করে নেয়া উত্তম। তবে জরুরী নয়।يتوضأ وضوئه للصلاة ثم يفيض على رأسه وسائر جسده ثلاثا (الفتاوى الهندية، كتاب الطهارة، الفصل الثانى فى سنن الغسل-1/14، البحر الرائق-1/49-50/ النهر الفائق-1/62)ولا يكره طبخها ولا استعمال ما مسته من عجين أو ماء أو نحوهما الا اذا توضأت بقصد القربة، (ردالمحتار-1/486، طحطاوى على مراقى الفلاح-116)قَالَتْ مَيْمُونَةُ: «وَضَعْتُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غُسْلًا، فَسَتَرْتُهُ بِثَوْبٍ، وَصَبَّ عَلَى يَدَيْهِ،فَغَسَلَهُمَا، ثُمَّ صَبَّ بِيَمِينِهِ عَلَى شِمَالِهِ، فَغَسَلَ فَرْجَهُ، فَضَرَبَ بِيَدِهِ الأَرْضَ، فَمَسَحَهَا، ثُمَّ غَسَلَهَا،فَمَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ، وَغَسَلَ وَجْهَهُ وَذِرَاعَيْهِ، ثُمَّ صَبَّ عَلَى رَأْسِهِ وَأَفَاضَ عَلَى جَسَدِهِ، ثُمَّ تَنَحَّى، فَغَسَلَ قَدَمَيْهِ، فَنَاوَلْتُهُ ثَوْبًا فَلَمْ يَأْخُذْهُ، فَانْطَلَقَ وَهُوَ يَنْفُضُ يَدَيْهِ (صحيح البخارى، رقمالحديث-276، 272

والله اعلم بالصواب

উত্তর লিখনে

লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।ইমেইল- ahlehaqmedia2014@gmail.comlutforfarazi@yahoo.com

স্ত্রীকে স্পর্শ করতেই বীর্য বেরহয়ে গেলে রোযার হুকুম কী ???

প্রশ্ন

স্ত্রীকে স্পর্শ করতেই বীর্য বের হয়ে গেলে রোযার হুকুম কী?

image

উত্তর

بسم الله الرحمن الرحيم

রোযা ভেঙ্গে যাবে। কাযা আবশ্যক। কাফফারা নয়।ফাতাওয়া শামী-২/৪০৪, ৪০৬।হেদায়া-১/২১৭।মারাকিল ফালাহ-৬৭৬।মুহিতুল বুরহানী-২/৫৫৮।
والله اعلم بالصواب

উত্তর লিখনে

লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।ইমেইল- ahlehaqmedia2014@gmail.comlutforfarazi@yahoo.com

রমজান মাসে হায়েজ শুরু হলে কী করবে? ওষুধ খেয়ে হায়েজ বন্ধ করে দিবে ???

প্রশ্ন

প্রিয় হুজুর,প্রথমে আমার সালাম নিবেন। আমার স্ত্রীর হঠাৎ গতরাতে মাসিক শুরু হয়েছে। এখন তার রোজা পালন এবং কোরআন পড়া আজ সবই বন্ধ। কিন্তু একটি উপায় আছেঅনেকেই উপায়টি গ্রহণ করে।  সেই উপায়টি হলো ঔষধ সেবন। ঔষুধ আজ সেবন করলে আজই মাসিক ২০/২৫ দিনের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে।এই উপায় অবলম্বন করে কাল থেকে রোজা রাখতে চাচ্ছে আমার স্ত্রী। এখন হুজুর সেটা কি ইসলামে গ্রহন যোগ্য হবে বা রোজা আদায় হবে। হজ্বেও অনেক মহিলা এই পদ্ধতি গহেন করে। দ্রুত সমাধান দিলে হুজুর আপনার নিকট কৃতাথ থাকিব।ধন্যবাদ,

image

উত্তর

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاتهبسم الله الرحمن الرحي

প্রতি মাসে মহিলাদের হায়েজ হওয়াটা স্বাভাবিক প্রাকৃতিক বিষয়। এটা আল্লাহ তাআলার নেজাম। রমজানে এটাকে বন্ধ করে রাখাটা উচিত হবে না। এতে শারিরীকভাবে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।আল্লাহ তাআলা যেহেতু হায়েজের কারণে রোযা না রাখার অনুমতি প্রদান করেছেন, তাই সে সময় হায়েজ স্বাভাবিক রেখে রোযা না রাখলে কোন সমস্যা নেই। পরে তা কাযা করে নিবে। ইনশাআল্লাহ এতে সওয়াব হবে বেশি। কারণ রমজানে সবার সাথে রোযা রাখা সহজ। কিন্তু রমজানের পর একা একা রোযা রাখাটা কঠিন। আর যে ইবাদত পালন যতকষ্টকর, তার সওয়াবও তত বেশি।তবে যদি কোন মহিলা রমজান আসার আগেই এবংহায়েজ শুরু হওয়ার আগে ওষুধ খেয়ে তা বন্ধ করে দেয়, তাহলে তার জন্য রোযা রাখতে হবে। কারণ, এতে করে তার উপর রোযা না রাখার কোন কারণ বিদ্যমান থাকছে না। তাই তার জন্য রোযা রাখা আবশ্যক হবে।কিন্তু যদি রমজান চলে আসে, আর রক্ত জারিহয়ে যাওয়ার পর ওষুধ খেয়ে বন্ধ করে দেয়, তাহলে হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা কমপক্ষে ৩ দিন পর্যন্ত রোযা রাখতে পারবে না। এর পর থেকে রোযা রাখা আবশ্যক। যেহেতু হায়েজ শুরু হয়ে গিয়েছিল। আর হায়েজ শুরু হলে এর সর্বনি¤œ সময়সীমা হল তিন দিন। তাই হায়েজ শুরু হতেই ওষুধ খেয়ে বন্ধ করে ফেললেও ধরা হবে হায়েজ জারী আছে তিনদিন পর্যন্ত। তিন দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেলেহায়েজ বন্ধ হয়ে গেছে হিসেবে রোযা রাখা আবশ্যক।  {কিতাবুল ফাতওয়া-৩/৪০৫}فى خلاصة الفتاوى- اعلم بان الصوم هو الكف عن المفطرات شرعا فى وقته بنية، يشرط من اهله، واهله العاقل البالغ المسلم, و فى المرأة الطهارة من الحيض النفاس (خلاصة الفتاوى، كتاب الصوم، الفصل الثانى-1/251)وفى الهداية- أَقَلُّ الْحَيْضِ ثَلَاثَةُ أَيَّامٍ وَلَيَالِيهَا، وَمَا نَقَصَ مِنْ ذَلِكَ فَهُوَ اسْتِحَاضَةٌ، (هداية، كتاب الطهارة، باب الحيض والاستحاضة-1/62، رد المحتار، كتاب الطهارة، باب الحيض-1/476، البحر الرائق، كتاب الطهارة، باب الحيض-1/191  والله اعلم بالصواب

উত্তর লিখনে

লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।ইমেইল- ahlehaqmedia2014@gmail.comlutforfarazi@yahoo.com

রোযা অবস্থায় স্ত্রীকে চুম্বন করা বা স্ত্রীর সাথে কাপড় দিয়ে সহবাস করলে রোযা ভাঙ্গবে কি ???

প্রশ

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
কাপড়েৱ উপর দিয়ে মেলামেশা অর্থাৎ(স্বামীৱ পুরুসাঙ্গ কাপড়েৱ উপর দিয়ে স্ত্রীৱ যৌনাঙ্গে প্রবেশ) করালে  গোসল ফৱজ হবে কি না ?# ৱোযা অবস্হায় এরুপ করলে ৱোযাৱ কোন ক্ষতি হবে কি না?# ৱোযা অবস্হায় স্বামী স্ত্রী কে জড়িয়ে ধরলে বা চুম্বন কৱলে অদী ও মযী বেৱ হলে ৱোযাৱ কোন ক্ষতি হবে কি না ৷

image

উত্তর

وعليكم السلام  الله وبركاتهبسم الله الرحمن الرحي

স্ত্রীর যৌনাঙ্গে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করার সাথে সাথেই গোসল ফরজ হয়ে যাবে এবংরোযা ভেঙ্গে যাবে। চাই কোন কিছু পেঁচিয়ে প্রবেশ করানো হোক বা সরাসরি। বীর্যপাত হোক বা না হোক। উভয় অবস্থার হুকুম একই। রোযা অবস্থায় একাজ করলে রোযা ভাঙ্গার সাথে সাথে কাযা ও কাফফারা ও উভয়ই আবশ্যক হবে।রোযা রাখা অবস্থায় স্ত্রীকে চুম্বন করার দ্বারা মযী বা অদী বের হবার দ্বারা রোযা ভঙ্গ হবে না। তবে বীর্য বের হলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।او جومع وتواترت الحشفة فى احد السبيلين انزل او لا الخ قضى وكفر الخ (الدر المختار على هامش رد المحتار، كتاب الصوم، باب ما يفسد الصوم ومالا يفسد-2/147، 149)وتكلم المشائخ فى الافطار فى اقبال النساء منهم من قال هو على هذا الاختلاف، ومنهم من قال:يفسد الصوم بلا خلاف كالحقنة وهو الصحيح، (فتاوى تاتارخانية، كتاب الصوم، الفصل الرابع ما يفسد الصوم-2/365، وكذا فى الجوهرة النيرة-1/174، خلاصة الفتاوى-1/253)سُئِلَ جَابِرُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْرَجُلٍ نَظَرَإِلَى امْرَأَتِهِ فِي رَمَضَانَ فَأَمْنَى مِنْ شَهْوَتِهَا، هَلْ يُفْطِرُ؟ قَالَ: «لَا، وَيُتِمُّ صَوْمَهُ» (المصنف لابن ابى شيبة، رقم الحديث-9480)عَنِ الْحَسَنِ، قَالَ: «إِذَا قَبَّلَ أَوْ لَمَسَ وَهُوَ صَائِمٌ فَأَمْنَى فَهُوَ بِمَنْزِلَةِ الْمُجَامِعِ» (المصنف لابن ابى شيبة، رقم الحديث-9479

والله اعلم بالصواب

উত্তর লিখনে

লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।ইমেইল- ahlehaqmedia2014@gmail.comlutforfarazi@yahoo.com

রোযা রেখে নখ চুল কাটলে রোযার ক্ষতি হবে কি ???

প্রশ্ন

আসসালামু আলাইকুম ,চুল কাটা, নখ কাটা, অবান্ছিত লোম শেভ করলে কি রোজা নষ্ট হয়ে যাই? আমি কোনো ভাবেই রোজা নষ্ট করতে চাইনা। রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওসাল্লাম ও সাহাবা কি করতেন এটা রোজা থাকা অবস্থায়? (রাতে তারাবি পড়তে হই তাই সময় থাকেনা.)

image

উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاتهبسم الله الرحمن الرحي
রোযা ভঙ্গের সাথে চুল, নখ ও অবাঞ্ছিত লোম কাটার সাথে কোন সম্পর্ক নেই। রোযা নষ্ট হবার সম্পর্ক হল পানাহার ও সহবাসের সাথে। [মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক, হাদীস : ৭৪৬৮]সুতরাং ঘাবড়াবার কিছু নেই।
والله اعلم بالصواب

উত্তর লিখনে

লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।ইমেইল- ahlehaqmedia2014@gmail.comlutforfarazi@yahoo.com

রোযা অবস্থায় পেষ্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করার হুকুম কী ???

প্রশ্ন

assalamualikum . roja thaka kalin ki paste diya brush kora jabe ? Jodi kora na jai tahole keno jabe na ?

image

উত্তর

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاتهبسم الله الرحمن الرحي

রোযা রাখা অবস্থায় পেষ্ট দিয়ে ব্রাশ করা মাকরূহে তানজিহী। আর যদি পেষ্টের ফেনা গলার ভিতরে চলে যায়, তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।মাকরূহ হবার কারণ হল, পেষ্টের মাঝে এক প্রকার তীব্র ঝাঁজ থাকে, যা মুখের ভিতর স্বাভাবিকভাবে ব্রাশ করার সময় প্রবেশ করে থাকে। তাই এটি অপছন্দনীয়। কিন্তু ফেনা ভিতরে না গেলে রোযা ভাঙ্গবে না। কিন্তু ফেনা ভিতরে চলে গেলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। {ইমদাদুল ফাতাওয়া ২/১৪১; জাওয়াহিরুল ফিকহ ৩/৫১৮রদ্দুল মুহতার ২/৪১৫-৪১৬; ফাতাওয়া খানিয়া ১/২০৪; হিদায়া ১/২২০}

والله اعلم بالصواب

উত্তর লিখনে

লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।ইমেইল- ahlehaqmedia2014@gmail.comlutforfarazi@yahoo.com

রোযা রেখে আতর ব্যবহার করার হুকুম কী ???

প্রশ্ন

আস্সালামু আলাইকুম,আর রোযা রেখে আতর ব্যবহার করা যাবে কি না? দয়া করে তারাতারী জানালে উপকৃত হইব।

image

উত্তর

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاتهبسم الله الرحمن الرحي

হ্যাঁ, যাবে কোন সমস্যা নেই।وكذا اذا دخل الدخان أو الغبار أو ريح العطر أو الذباب حلقه، لا يفسد صومه، (فتاوى قاضى خان، كتاب الصوم، الفصلا الخامس فيما لا يفسد الصوم-1/208)والله اعلم بالصواب

উত্তর লিখনে

লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।ইমেইল- ahlehaqmedia2014@gmail.comlutforfarazi@yahoo.com

জুমআতুল বিদা নামে আলাদা কোন দিনের ফযীলত আছে কি ???

প্রশ্ন

জুমআতুল বিদা বলতে শরীয়তসম্মত কিছু কিআছে?হাদীস ও আছারের দলিল এবং এর তাহকীকদিয়ে উত্তর দিলে কৃতজ্ঞ থাকবো।

image

উত্তর
بسم الله الرحمن الرحي

রমজান মাস অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ মাস । এই মাসের শেষ দশকের গুরুত্ব আরো বেশী। শুক্রবার হিসেবে সেই দিনের গুরুত্ব আরো বেড়ে যায় । সব মিলে রমজানের এই শেষ জুমুআর দিনটি খ্বুই তাৎপর্যপূর্ণ। এর চেয়ে বেশী ফযিলত কুরআন –হাদীস সমর্থিতনয়। সুতরাং এ দিনকে কেন্দ্র করে নতুন কোন রুসম-রেওয়াজ বা বাঙতি ফযিলত সাব্যস্ত  করা ঠিক নয়হাদীসে রমজানের শেষ দশক ও শুধু শুক্রবারের ব্যাপারে বর্ণিত ফযীলত নিম্নরূপ–  عن أبي هريرة، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «خير يوم طلعت فيه الشمسيوم الجمعة، فيه خلق آدم، وفيه أهبط، وفيه تيب عليه، وفيه مات، وفيه تقوم الساعة، وما من دابة إلا وهي مسيخة يوم الجمعة، من حين تصبح حتى تطلع الشمس شفقا من الساعة، إلا الجن والإنس، وفيه ساعة لا يصادفها عبد مسلم وهو [ص:275] يصلي يسأل الله حاجة، إلاأعطاه إياها»،অর্থঃ হযরত আবু হুরায়রা রা হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে সকল দিবসে সূর্য উদিতহয় তার মাঝে উত্তম দিবস হচ্ছে জুমা’,সে দিন আদম আ কে সৃষ্টি করা হয়েছে । (সুনানে আবু দাউদ -১০৪৬ ,১/১৪৯-১৫০)عن أوس بن أوس، قال: قال رسول الله صلى اللهعليه وسلم: «إن من أفضل أيامكم يوم الجمعة، فيه خلق آدم، وفيه قبض، وفيه النفخة، وفيه الصعقة، فأكثروا علي من الصلاة فيه، فإن صلاتكم معروضة علي» قال: قالوا: يا رسول الله، وكيف تعرض صلاتنا عليك وقد أرمت – يقولون: بليت -؟ فقال: «إن الله عز وجل حرم على الأرض أجساد الأنبياء»অর্থঃ হযরত আউস বিন আউস হতে বর্ণিত , রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, নিশ্চয়ই তোমাদের দিবস সমূহের মাঝে উত্তম দিবস জমা’র দিন । সে দিন আদম আ কে সৃষ্টি করা হয়েছে ।(সুনানে আবু দাউদ -১০৪৭,১/১৫০)عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «إِذَا جَاءَ رَمَضَانُ فُتِّحَتْ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ، وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ النَّارِ، وَصُفِّدَتِ الشَّيَاطِينُ»অর্থঃ হযরত আবু হুরায়রা রা হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,যখন রমজান আসে তখন জান্নাতের দরজাসমুহ খুলে দেয়া হয়। ও জাহান্নামের দরজা সমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং শয়তান দের বেঁধে রাখা হয় ।(মুসলিম ১/৩৪৬, হাদীস নং ১০৭৯ )، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يُبَشِّرُ أَصْحَابَهُ: «قَدْ جَاءَكُمْ رَمَضَانُ، شَهْرٌ مُبَارَكٌ، افْتُرِضَ عَلَيْكُمْ صِيَامُهُ، تُفْتَحُ فِيهِ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ، أَوْ تُغْلَقُ فِيهِ أَبْوَابُ الْجَحِيمِ، وَتُغَلُّ فِيهِ الشَّيَاطِينُ، فِيهِ لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ شَهْرٍ مَنْ حُرِمَ خَيْرَهَا فَقَدْ حُرِمَ»অর্থঃহযরত আবু হুরায়রা রা হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,যখন তোমাদের মাঝে রমজান আসে, যা অত্যান্ত মুবারক মাস। তখন তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়। জান্নাতের দরজাসমুহ খুলে দেয়া হয়। ও জাহান্নামের দরজা সমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং শয়তান দের আটকে রাখা হয় । এ মাসের মাঝে রয়েছে লাইলাতুল কদর যা হাজার রাত হতে উত্তম ,যে এর কল্যাণ থেকেবঞ্চিত হলো সে পুরই বঞ্চিত হলো।মুছান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৮৮৬৭عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «تَحَرَّوْا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْعَشْرِ الْأَوَاخِرِ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ»অর্থঃ হযরত আয়শা রা হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন,তোমরা রমজানের শেষ দশকেলাইলাতুল কদর তালাশ কর।মুছান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৮৬৬০
والله اعلم بالصواب

উত্তর লিখনে

লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।ইমেইল- ahlehaqmedia2014@gmail.comlutforfarazi@yahoo.com