৭৮৬ লিখার দ্বারা কি বিসমিল্লাহ লিখার ফযীলত অর্জিত হয়?

প্রশ্ন

৭৮৬ লিখলে এর দ্বারা বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহীম এর সওয়াব লেখা হবে কি? আর এটি কেন
লেখা শুরু হয়? দয়া করে জানারে কৃতজ্ঞ থাকবো।
image

উত্তর
ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ
৭৮৬ মূলত বিসমিল্লাহ শব্দের সংখ্যা। বিসমিল্লাহের
সংখ্যা অনুপাতে তা লেখা হয়ে থাকে।
এটা লেখা দ্বারা বিসমিল্লাহ লেখার সওয়াব আদায়
হবে না। এটা পড়ার দ্বারাও বিসমিল্লাহ বলার
সওয়াব আদায় হবে না। যেমন পবিত্র কুরআনের আয়াতের
সংখ্যা বের করে কেউ তা পড়লে যেমন কুরআন পড়ার
সওয়াব হবে না, তেমনি বিসমিল্লাহ এর সংখ্যা ৭৮৬
লিখলে বা পড়লে সেই সওয়াব অর্জন হবে না।
তবে এটি কেন লেখা হয়? এটি একটি মৌলিক প্রশ্ন।
আমাদের অনেক আকাবীরগণ তাদের
চিঠিতে এটি লিখেছেন মর্মে আমরা জানতে পারি।
আসলে তারা এটি এজন্য লিখতেন যে, যেহেতু
চিঠি বা এমন পত্র যা অপমানজনক অবস্থায়
পড়তে পারে, মাটিতে ফেলা দেয়া হতে পারে এমন
বা চিঠিতে সরাসরি বিসমিল্লাহ লিখলে যদি এটির অপমান
করা হয়। বা মাটিতে ফেলে অবমাননা করা হয় এ
শংকায় তারা বিসমিল্লাহ এর দিকে ইংগিত করার জন্য
এ সংখ্যা লিখে দিতেন।
যারা দ্বারা যিনি লেখাটি পড়বেন। তিনি যেন এ
ইংগিতবহ সংখ্যা দেখে বিসমিল্লাহ
পড়ে পত্রটি বা চিঠিটি বা বইটি পড়া শুরু করে।
অর্থাৎ মূল বিসমিল্লাহ এটি নয়। কিন্তু বিসমিল্লাহ এর
প্রতি ইংগিতবহ। পাঠক এটি দেখে নিজে নিজে বিসমিল্লাহ
পড়ে নেবার প্রতি ইংগিত করা হয়ে থাকে এ
সংখ্যা দিয়ে। {আপকি মাসায়েল আওর
ইনকা হল-২/৫৭১, ফাতাওয়া মাহমুদিয়া-৩/৩৪০}
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ

যদি কোন ব্যক্তি জীবিত থাকা অবস্থায় তার দেহকে মেডিকেলে দান করার অসিয়ত করে তাহলে তার এই অসিয়ত পূর্ণ করা ওয়াজিব হবে কি ?

প্রশ্ন: যদি কোন ব্যক্তি জীবিত
থাকা অবস্থায় তার
দেহকে মেডিকেলে দান করার অসিয়ত
করে তাহলে তার এই অসিয়ত পূর্ণ
করা ওয়াজিব হবে কি ?

. ﺑﺴﻢ
ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ
জবাব:
কোন বস্তু অসিয়ত করা বৈধ
হবার জন্য শর্ত হল উক্ত বস্তু
ব্যক্তির মালিকানায় থাকা। আর
মানুষের দেহ যেহেতো মানুষ
নিজে মালিক নয় বরং মহান আল্লাহ
তায়ালা হলেন এর আসল মালিক।
তাই দেহদানের অসিয়ত বৈধ নয়,
এবং তা পরিপূর্ণ করাও জায়েজ
হবেনা। উপরন্তু মানুষ জীবিত হোক
বা মৃত হোক সর্ববস্থায়ই
সম্মানী হওয়ায় তার দেহের কোন
কিছুই ক্রয় বা বিক্রি করা জায়েজ
নয়। তবে একান্ত প্রয়োজনে রক্তদান
জায়েজ।
.
দলিল:
ﻓﻰ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﺍﻟﻜﺮﻳﻢ – ﻭَﻟَﻘَﺪْ ﻛَﺮَّﻣْﻨَﺎ ﺑَﻨِﻲ ﺁﺩَﻡَ
ﻭَﺣَﻤَﻠْﻨَﺎﻫُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺒَﺮِّ ﻭَﺍﻟْﺒَﺤْﺮِ ﻭَﺭَﺯَﻗْﻨَﺎﻫُﻢ ﻣِّﻦَ
ﺍﻟﻄَّﻴِّﺒَﺎﺕِ ﻭَﻓَﻀَّﻠْﻨَﺎﻫُﻢْ ﻋَﻠَﻰ ﻛَﺜِﻴﺮٍ ﻣِّﻤَّﻦْ ﺧَﻠَﻘْﻨَﺎ
ﺗَﻔْﻀِﻴﻼً ‏( ﺳﻮﺭﺓ ﺑﻨﻰ ﺍﺳﺮﺍﺋﻴﻞ – 70‏)
ﻭﻓﻰ ﺍﺑﻰ ﺩﺍﻭﺩ – ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ
– ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ – ﻗﺎﻝ ﻛﺴﺮ ﻋﻈﻢ
ﺍﻟﻤﻴﺖ ﻛﻜﺴﺮﻩ ﺣﻴﺎ ‏( ﺳﻨﻦ ﺍﺑﻰ
ﺩﺍﻭﺩ – 2 / 458 ‏)
ﻭﻓﻰ ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ ﺍﻟﻬﻨﺪﻳﺔ – ﺍﻻﻧﺘﻔﺎﻉ ﺑﺄﺟﺰﺍﺀ
ﺍﻵﺩﻣﻲ ﻟﻢ ﻳﺠﺰ ﻗﻴﻞ ﻟﻠﻨﺠﺎﺳﺔ ﻭﻗﻴﻞ
ﻟﻠﻜﺮﺍﻣﺔ ﻫﻮ ﺍﻟﺼﺤﻴﺢ ﻛﺬﺍ ﻓﻲ ﺟﻮﺍﻫﺮ
ﺍﻷﺧﻼﻃﻲ ‏( ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ ﺍﻟﻬﻨﺪﻳﺔ – 3 / 115 )
প্রামান্য গ্রন্থাবলী
১ . সূরা বনী ইসরাঈল – ৭০
২ . আবু দাউদ শরীফ – ২ / ৪৫৮
৩ .
ফাতওয়া হিন্দিয়া – ৩ / ১১৫ , ৫ / ৩৫৪ – ৩৫৫
৪ . ফাতওয়া কাযীখান
আলা হামিশীল হিন্দিয়া – ২ / ১৩৩
৫ . ফাতওয়ায়ে শামী – ৯ / ৫৫৮
৬ . বাদায়েউস সানায়ে ’ – ৪ / ৩৩৩
৭ . মাজমাউল আনহুর- ৪ / ১১৭
৮ . তাবয়ীনুল হাকায়েক – ৭ / ৭৪
৯ . ফাতহুল কাদীর – ৬ / ৩৮৯ – ৩৯১
১০.
ফাতাওয়ায়ে রহিমীয়্যাহ – ১০/ ২৫১
১১. জাওয়াহিরুল
ফিক্ব্হ- ২ / ৩৭ ,৪৯ ,৫০
১২. আপ কি মাসায়িল আওর
উনকা হল – ৪ / ১৭০ – ১৭৪
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ

যে কোন মেসেজ পেলেই কি তা সবার মাঝে প্রচার করা যাবে?

প্রশ্ন :

কিছুদিন ধরে মোবাইলে কিছু
মেসেজ আসছে l মেসেজ গুলোর ধরন
এমন :
“ মদিনা শরীফে ১ লাখ
হাজী স্বপ্নে দেখেছেন হযরত
মুহাম্মদ (স ) বলেছেন , আমার
উম্মতদের বলে দিও , তারা যেন
কোরআন তেলাওয়াত
করে এবং নামাজের তাগিদ দেয় l এই
sms টি যারা ২০ জন কে দিবে
তারা ৯ দিনের মধ্যে খুশির সংবাদ
পাব l আর না দিলে ১৫ বছরেও কোন
খুশির সংবাদ পাবেনা l এটা সত্য
l ”
(আমার বন্ধুরা sms টির প্রতি
উৎসাহিত হয়ে সবাইকে send করছে l )
আমার প্রশ্ন হছে এরুপ sms
কি প্রচার করা যাবে? আর না
গেলে আশা করি এর বিপক্ষে যথাযথ
ব্যবস্থা নিবেন l

উত্তর:
কুরআন তেলাওয়াত করা ও
নামাজে তাগিদ
দেয়া নিঃসন্দেহে অত্যান্ত সয়াবের
কাজ। এবং অন্যদেরকে উৎসাহ
করা অনেক ভাল কাজ। কেউ
যদি উৎসাহিত হয়ে এসকল কাজ
করে তাহলে আল্লাহর কাছে উত্তম
প্রতিদান পাবে। কিন্তু এই
মেসেজে যে ঘটনার
বর্ণনা দেয়া হয়েছে তা কতটুকু নির্ভর
যোগ্য সেটা বিবেচনার বিষয়।
এবং তা কোন
মাধ্যমে এসেছে তা তদন্ত
করে দেখতে হবে। কেননা আল্লাহ
তাআলা ইরশাদ করেন ,
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ ﺇِﻥْ ﺟَﺎﺀَﻛُﻢْ ﻓَﺎﺳِﻖٌ ﺑِﻨَﺒَﺈٍ
ﻓَﺘَﺒَﻴَّﻨُﻮﺍ ﺃَﻥْ ﺗُﺼِﻴﺒُﻮﺍ ﻗَﻮْﻣًﺎ ﺑِﺠَﻬَﺎﻟَﺔٍ ﻓَﺘُﺼْﺒِﺤُﻮﺍ
ﻋَﻠَﻰ ﻣَﺎ ﻓَﻌَﻠْﺘُﻢْ ﻧَﺎﺩِﻣِﻴﻦَ ‏( 6
অর্থঃ হে মুমিনগন ! কোন ফাসেক
ব্যক্তি যদি তোমাদের কোন সংবাদ
নিয়ে আসে , তবে ভাল্ভাবে যাচাই
করে দেখবে ;
যাতে তোমরা অজ্ঞতাবশত কোন
সম্প্রদায়ের ক্ষতি নাকরে বস।
ফলে নিজেদের কুকর্মের
কারণে তোমাদের অনুতপ্ত হতে হয়।
( সূরা হুজরাত- ৬ )
হাদিসে এসেছে,
ﻋﻦ ﺃﺑﻰ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ
ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻛﻔﻰ ﺑﺎﻟﻤﺮﺀ ﻛﺬﺑﺎ ﺃﻥ
ﻳﺤﺪﺙ ﺑﻜﻞ ﻣﺎ ﺳﻤﻊ ﻋﻦ ﺃﺑﻰ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﻗﺎﻝ
অর্থঃ আবু হুরায়রা রা .
হতা বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন ,
কোন ব্যক্তি মিথ্যাবাদী হবার জন্য
এটুকুই যথেষ্ট যে , সে যা শুনে তাই
বলে বেড়ায়”( মুকাদ্দামা সহীহ
মুসলিম, হাদীস নং- ৫ )।
এমন
ঘটনা আদৌ ঘটেছে কিনা তা দেখতে হবে।
সাধারনত এমন
ঘটনা ঘটে থাকলে মেসেজ ছাড়াও
পত্র পত্রিকায়
এবং যারা সমপ্রতি মদীনা যিয়ারত
করে এসেছেন তাদের মুখেও শুনা যেত।
আর একলাখ হাজী যে দেখেছেন
তাদের গণনাটা কোন
প্রতিষ্ঠা করল ? কাজেই ঘটনা সত্য
না হলে হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী
মিথ্যাবাদি হতে হবে। আর
মিথ্যা বলা ও প্রচার অনেক বড়
গোনাহ। এছাড়া এ ঘটনা যদি সত্য
হয়ে থাকে তবুও অন্যদের জন্য মেসেজ
না পাঠালে ১৫ বছরেও খুশির
সংবাদ পাবেনা , এমনটা প্রচার
করা উচিৎ না। আর নবীগন
ছাড়া অন্য কারো স্বপ্ন অন্যদের
জন্য দলীল হয়না, ইমাম
শাতিবী রহ . আল- ইতিসাম
কিতাবে লিখেছেন ,
ﺍﻟﺮﻭﻳﺎ ﻣﻦ ﻏﻴﺮ ﺍﻷﻧﺒﻴﺎﺀ ﻻ ﻳﺤﻜﻢ ﺑﻬﺎ ﺷﺮﻋﺎ
ﻋﻠﻰ ﺣﺎﻝ ﺇﻻ ﺃﻥ ﺗﻌﺮﺽ ﻋﻠﻰ ﻣﺎ ﻓﻲ ﺃﻳﺪﻳﻨﺎ
ﻣﻦ ﺍﻷﺣﻜﺎﻡ ﺍﻟﺸﺮﻋﻴﺔ ﻓﺈﻥ ﺳﻮﻏﺘﻬﺎ ﻋﻤﻞ
ﺑﻤﻘﺘﻀﺎﻫﺎ ﻭﺇﻻ ﻭﺟﺐ ﺗﺮﻛﻬﺎ ﻭﺍﻹﻋﺮﺍﺽ
ﻋﻨﻬﺎ ﻭﺇﻧﻤﺎ ﻓﺎﺋﺪﺗﻬﺎ ﺍﻟﺒﺸﺎﺭﺓ ﺃﻭ ﺍﻟﻨﺬﺍﺭﺓ
ﺧﺎﺻﺔ ﻭﺃﻣﺎ ﺍﺳﺘﻔﺎﺩﺓ ﺍﻷﺣﻜﺎﻡ ﻓﻼ
সুতরাং এমনিতে উত্তম কাজের
প্রতি উৎসাহিত করা যেতে পারে ,
কিন্তু ১লাখ হাজির
স্বপ্ন, ২০জনকে দিলে খুশির সংবাদ
পাওয়া ও না দিলে ১৫ বছরেও
না পাওয়া ইত্যাদি প্রচার কাজ
কোন ভাবেই বৈধনা। সকল সৎকাজের
সুসংবাদের কথাতো কুরআন হাদিসেই
বলা আছে। আর নতুন কোন সুসংবাদ
পেলে তা পরকালে আল্লাহর কাছেই
পাবে।
.
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ

হানাফী মাযহাব কি হানীফা নামের একটি মেয়ের দিকে নিসবত করা মাযহাব?

Question,,,,,

Assalamu Alaikum.
Humare yahan Gair-Muqallid/Ahle-Hadis kehte hain,,,
IMAM MALIK K MANNE WALE MALKI
IMAM SHAFAI OR AHMAD BIN HUMBAL K MANNE WALE
SHAFAI OR HUMBLI KEHLATE HAI LEKIN NOMAN BIN
SABIT K MANNE WALE APNE KO HANFI Q KEHTE YE
HANIFA KON HAI JISKI TARAF MANSOOB KERKE HANFI
KEHLATE HAIN YE LOG KEYA INHON NE AURTON KO
APNA IMAM BANA LIYA HAI…
Ye bat kinta Sach hain ???
Kindly Reference k Sath Jawab Dijiyega !!
উর্দু থেকে বাংলা অনুবাদ
আসসালামু আলাইকুম!
আমাদের এখানকার গায়রে মুকাল্লিদ
আহলে হাদীসরা বলে থাকে, ইমাম
মালিককে মান্যকারীদের মালিকী, ইমাম
শাফীকে ও আহমাদ বিন
হাম্বলকে মান্যকারীদের
শাফেয়ী এবং হাম্বলী বলা হয়। কিন্তু নুমান
বিন সাবেতকে মান্যকারীদের
আপনারা কেন হানাফী বলে থাকেন?
এ হানাফী কে? যারা দিকে নিসবত
করে নিজেদের হানাফী বলে থাকেন?
আপনারা কি নিজেদের মহিলাকে নিজের
ইমাম বানিয়ে নিয়েছেন?
একথাগুলো কতটুকু সত্য?
দয়া করে রেফারেন্সসহ জবাব জানাবেন।

উত্তর
ﻭﻋﻠﻴﻜﻢ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻭﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺑﺮﻛﺎﺗﻪ
ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ
প্রশ্নটি করা হয়েছে উর্দুতে। যদিও
ইংরেজী অক্ষর দিয়ে লেখা হয়েছে।
যেহেতু উর্দুতে প্রশ্নটি করা হয়েছে। তাই
প্রথমে উর্দুতে উত্তর প্রদান করা হয়েছে।
তারপর বাংলাভাষাভাষীদের জন্য
বাংলায় আলাদা উত্তর প্রদান করা হয়েছে।
ﺗﺤﻘﯿﻘﯽ ﺟﻮﺍﺏ
ﺍﺱ ﻛﻮ ﻛﮩﺘﺎ ﮨﮯ ﺟﺎﮨﻞ ﻣﺮﮐﺐ، ﺟﻮ ﺟﺎﻧﺘﺎ ﮨﯽ ﻧﮩﯿﮟ ﮐﮧ ﻭﮦ ﻧﮩﯿﮟ
ﺟﺎﻧﺘﺎ، ﺁﭖ ﮐﮯ ﻋﻼﻗﻮﮞ ﮐﺎ ﻏﯿﺮ ﻣﻘﻠﺪﯾﻦ ﮐﺎ ﺣﺎﻟﺖ ﯾﮩﯽ ﮨﮯ ،
ﻧﻌﻤﺎﻥ ﺑﻦ ﺛﺎﺑﺖ ﺍﻣﺎﻡ ﺍﺑﻮ ﺣﻨﯿﻔﮧ ﮐﺎ ﺍﺻﻠﯽ ﻧﺎﻡ ﮨﮯ، ﺍﻭﺭ ﺍﺑﻮ ﺣﻨﯿﻔﮧ
ﺍﺱ ﮐﺎ ﺻﻔﺘﯽ ﻧﺎﻡ ﮨﮯ، ﺍﺱ ﺻﻔﺘﯽ ﻧﺎﻡ ﮐﯽ ﻃﺮﻑ ﻧﺴﺒﺖ ﮐﺮﮐﮯ
ﺣﻨﻔﯽ ﮐﮩﺎ ﺟﺎﺗﺎ ﮨﮯ ،
ﺍﯾﮏ ﮨﻮﺗﺎ ﮨﮯ ﺁﺩﻣﯽ ﮐﺎ ﻧﺎﻡ، ﺍﻭﺭ ﺍﯾﮏ ﮨﻮﺗﺎ ﮨﮯ ﮐﺎﻡ، ﺁﮔﺮ ﮐﺎﻡ ﺳﮯ
ﺁﺩﻣﯽ ﮐﺎ ﺷﮩﺮﺕ ﭘﺎﻳﺎ ﺟﺎ ﯾﮱ ﺗﻮ ﻟﻮﮒ ﻧﺎﻡ ﺑﮭﻮﻝ ﺟﺎﺗﺎ ﮨﮯ، ﮐﺎﻡ ﻭﺍﻟﯽ
ﺻﻔﺘﯽ ﻧﺎﻡ ﯾﺎﺩ ﺭﺍﮐﮩﺘﺎ ﮨﮯ ،
ﺟﯿﺴﺎ ﮐﮧ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﮧ ﺑﻦ ﮐﮭﺎﻓﮧ ﺍﺻﻠﯽ ﻧﺎﻡ، ﺍﻭﺭ ﺍﺑﻮ ﺑﮑﺮ ﺻﻔﺘﯽ ﻧﺎﻡ
ﮨﮯ، ﺟﻮ ﮨﺮ ﺩﯾﻨﯽ ﮐﺎﻡ ﻣﯿﮟ ﭘﮩﻠﮯ ﻗﺪﻡ ﺑﮍﮨﺎﺗﺎ ﮨﮯ ﺍﺳﮯ ﺍﺑﻮ ﺑﮑﺮ
ﮐﮩﺘﺎﮨﮯ، ﺍﺑﻮ ﺑﮑﺮ ﮐﮯ ﻣﻌﻨﯽ ﺑﮑﺮ ﮐﯽ ﺑﺎﭖ ﻧﮩﯿﮟ ﮨﮯ ،
ﺍﯾﺴﺎﮨﯽ ﺍﺑﻮ ﺣﻨﯿﻔﮧ ﮐﮯ ﻣﻌﻨﯽ ﺣﻨﯿﻔﮧ ﮐﮯ ﺑﺎﭖ ﻧﮩﯿﮟ ﮨﮯ، ﺑﻠﮑﮧ ﺩﯾﻦ
ﺣﻨﯿﻒ ﻭﺍﻟﮯ، ﻧﻌﻤﺎﻥ ﺑﻦ ﺛﺎﺑﺖ ﺟﺴﻨﮯ ﺩﯾﻦ ﺣﻨﯿﻒ ﮐﻮ ﺟﻤﻊ ﮐﯿﺎ
ﺍﺳﻠﯿﮱ ﺍﺱ ﮐﻮ ﺍﺑﻮ ﺣﻨﯿﻔﮧ ﯾﻌﻨﯽ ﺩﯾﻦ ﺣﻨﯿﻒ ﻭﺍﻟﮯ ﮐﮩﺎ ﺟﺎﺗﺎ ﮨﮯ ،
ﺍﻟﺰﺍﻣﯽ ﺟﻮﺍﺏ
1
ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﮧ ﺑﻦ ﺻﺨﺮ ﮐﻮ ﺍﺑﻮ ﮬﺮﯾﺮۃ ﮐﮩﺎ ﺟﺎﺗﺎ ﮨﮯ، ﮐﯿﺎ ﺍﺑﻮ ﮬﺮﯾﺮۃ ﮐﺎ
ﻣﻌﻨﯽ ﺑﻠﯽ ﮐﺎ ﺑﺎﭖ ﮨﮯ؟
2
ﺣﻀﺮﺕ ﻋﻠﯽ ﮐﻮ ﺭﺳﻮﻝ ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻠﯿﮧ ﻭﺳﻠﻢ ﻧﮯ ﺍﺑﻮ ﺗﺮﺍﺏ ﮐﮩﺎ
ﮨﮯ، ﮐﯿﺎ ﺍﺑﻮ ﺗﺮﺍﺏ ﮐﺎ ﻣﻌﻨﯽ ﻣﭩﯽ ﮐﺎ ﺑﺎﭖ ﮨﮯ؟
ﺍﮔﺮ ﻧﮩﯿﮟ ﺗﻮ ﯾﮩﺎﮞ ﮐﯿﻮﮞ ﺍﺑﻮ ﺣﻨﯿﻔﮧ ﮐﻮ ﺣﻨﯿﻔﮧ ﮐﺎ ﺑﺎﭖ ﺑﻨﺎ ﺩﯾﺎ
ﺍﺱ ﻇﺎﻟﻢ ﻧﮯ؟
বাংলাভাষাভাষীদের জন্য বাংলায়
উত্তর দেয়া হল
একেই বলে জাহিলে মুরাক্কাব।
যে জানে না, আবার জানে না যে,
সেটিও জানে না, তাকেই
বলে জাহিলে মুরাক্কাব। আপনাদের
এলাকার গায়রে মুকাল্লিদদের হালাতও
তাই।
নুমান বিন সাবিত হল ইমাম আবু
হানীফা রহঃ এর আসল নাম। আর তার গুণবাচক
নাম হল আবু হানীফা। আর এ গুণবাচক নামের
দিকে নিসবত
করে ফিক্বহে হানাফী অনুপাতে দ্বীনে শরীয়তের
উপর আমলকারীকে বলা হয় হানাফী।
ইলজামী জবাব!
আপনি তাদের পাল্টা প্রশ্ন করুন!

আবু বকর সিদ্দীককে কেন আবু বকর
[সর্বকাজে অগ্রগামী] বলা হয়? তার
নামতো আবু বকর নয়। তার নাম হল আব্দুল্লাহ
বিন আবু কুহাফা।

আব্দুল্লাহ বিন সাখার রাঃ কে কেন আবূ
হুরায়রা [বিড়ালওয়ালা] বলা হয়? তার
নামতো আবু হুরায়রা নয়।

হযরত আলী রাঃ কেন নবীজী আবু তুরাব
[মাটিওয়ালা] বলেছেন? তার নামতো আবু
তুরাব ছিল না।
তাহকীকী জবাব
আবু বকর মানে কি বকরের পিতা?
আবু হুরায়রা মানে কি বিড়ালের পিতা?
আবু তুরাব মানে কি মাটির পিতা?
যদি না হয়, তাহলে আবু
হানীফা মানে হানীফার পিতা কেন
বলা হচ্ছে?
এসব ক্ষেত্রে যেমন সবাই বলে বকর
বলে এখানে উদ্দেশ্য হল অগ্রগামী। যেহেতু
আব্দুল্লাহ বিন
আবি কুহাফা রাঃ সর্বকাজে অগ্রগামী ছিলেন,
তাই তার সিফাতী নাম প্রসিদ্ধ
হয়ে গেছে আবু বকর নামে। তথা অগ্রগামী।
এখানে আবুন মানে পিতা নয়।
তেমনি আবু হুরায়রা মানে বিড়ালের
পিতা নয়,
বরং বিড়ালকে নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন,
বিড়ালকে ভালবাসতেন, তাই তার
সিফাতী নাম হয়ে গেছে বিড়ালওয়ালা।
বিড়ালের পিতা নয়।
তেমনি মাটিতে শুয়ে থাকার কারণে হযরত
আলী রাঃ কে রাসূল সাঃ আবু তুরাব
বলেছেন মানে মাটিওয়ালা। এর
মানে মাটির পিতা নয়।
তেমনি নুমান বিন সাবিত রহঃ যেহেতু
খালিস দ্বীনকে খাইরুল কুরুনে সর্বপ্রথম
একত্রিত করেছেন তাই তাকে বলা হয় আবু
হানীফা।
তথা দ্বীনে হানীফকে একত্রকারী।
তাহলে আবু হানীফা মানে হল
দ্বীনে হানীফ তথা খালেস দ্বীন
একত্রকারী। এ হানীফা শব্দটি হল নুমান বিন
সাবিতের গুণবাচক নাম। তাই আবু
হানীফা মানে দ্বীনে হানীফওয়ালা।
হানীফা মেয়ের পিতা নয়।
আরেকটি জবাব
এক হল ব্যক্তির মিশন আরেক হল ব্যক্তির নাম।
ব্যক্তি যখন স্বীয় মিশনে চূড়ান্ত চূড়ায়
পৌঁছে যায়, তখন মানুষ তার নাম ভুলে যায়।
কিন্তু গুণবাচক নামটি মনে রাখে।
যেমন আবু বকর মানে হল সকল
কাজে অগ্রগামী। আব্দুল্লাহ বিন আবু
কুহাফা রাঃ এর নামতো ছিল আব্দুল্লাহ। আর
তার মিশন ছিল দ্বীনের সকল
কাজে অগ্রগামী হওয়া।
তিনি তার মিশনে এতটাই চূড়ান্ত
শিখরে পৌঁছেছেন যে, তার আসল নাম
অধিকাংশ মানুষই জানে না,
মনে রেখেছে তার
মিশনওয়ালা সিফাতি নাম। সেটি হল আবু
বকর।
ঠিক তেমনি নুমান বিন সাবিত হল নাম। আর
তার কাজ বা মিশন ছিল
দ্বীনে হানীফকে একত্র করা। এ
মিশনে তিনি এতটাই শিখরে পৌঁছেন যে,
মানুষ তার আসল নাম ভুলে গেছে,
মিশনওয়ালা নাম তথা আবু
হানীফা নামে পরিচিত হয়ে গেছেন।
এ হাকীকত যিনি জানেন তিনি কিছুতেই
এমন আহমকী প্রশ্ন করতে পারে না যে,
হানাফী মাযহাব নুমান বিন সাবিতের
মেয়ের দিকে নিসবত করা বা কোন মেয়ের
দিকে নিসবত করা মাযহাব এটি।
আল্লাহ তাআলা এসব মিথ্যুকদের মিথ্যাচার
থেকে উম্মতকে হিফাযত করুন। আমীন।
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ

ঈদের নামাযের পর দুই খুতবা দেয়ার কোন প্রমাণ আছে কি?

প্রশ্ন

আসসালামু আলাইকুম।
হুজুর, আমি জানতে চাই যে,
আমি হানাফী মাসলাক মানি। কিন্তু প্রশ্ন
হল,
ঈদের দুই খুতবার ব্যাপারে সহীহ হাদীস
থাকলে সনদের আলোচনাসহ জানাবেন।

উত্তর
ﻭﻋﻠﻴﻜﻢ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻭﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺑﺮﻛﺎﺗﻪ
ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ
রাসূল সাঃ ঈদের নামাযের পর
দাঁড়িয়ে খুতবা দিতেন। [বুখারী-১/১৩১]
ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠﻪِ: ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ: ‏«ﻛَﺎﻥَ
ﻳَﺨْﻄُﺐُ ﺍﻟْﺨُﻄْﺒَﺘَﻴْﻦ،ِ ﻭَﻫُﻮَ ﻗَﺎﺋِﻢٌ، ﻭَﻛَﺎﻥَ ﻳَﻔْﺼِﻞُ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻤَﺎ ﺑِﺠُﻠُﻮﺱٍ »
[ ﺍﻟﺘﻌﻠﻴﻖ ‏] 1446 – ﻗﺎﻝ ﺍﻷﻋﻈﻤﻲ : ﺇﺳﻨﺎﺩﻩ ﺻﺤﻴﺢ
হযরত আব্দুল্লাহ রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল
সাঃ দাঁড়িয়ে দুই খুতবা দিতেন এবং দুই
খুতবার মাঝে বসতেন।
সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী, হাদীস
নং-১৭২৩।
সুনানে নাসায়ী কুবরা, হদীস নং-১৭৩৪।
সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-১৪১৬।
সহীহ ইবনে খুজাইমা-১/৭০০, হাদীস নং-১৪৪৬।
সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১৬৩০।
হাদীসটির সনদ সহীহ।
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ

“সমগ্র আসমান জমিন এক পাল্লায় রেখে কালিমায় শাহাদাত আরেক পাল্লায় রাখলে কালিমার পাল্লা ভারি হবে’ মর্মের হাদীসটির ভিত্তি আছে কি?

প্রশ্ন

আস্সালামু আলাইকুম
ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতু
প্রশ্ন : তাবলীগ জামাতী ভাইদের নীচের
কথাটি কি দলিল ভিত্তিক?
নাকি মনগড়া জানালে খ্বুই উপকৃত হব। উত্তর
যথা সম্ভব দ্রুত দেয়ার জন্য
বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো-
যদি সমগ্র আসমান-জমীন ও এর মাঝে যা কিছু
আছে এক পাল্লায় রাখা হয় আর
কামেলা শাহাদাত অপর পাল্লায় রাখা হয়
তবে কালেমার পাল্লাই
ভারী হয়ে যাবে।

উত্তর
ﻭﻋﻠﻴﻜﻢ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻭﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺑﺮﻛﺎﺗﻪ
ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ
এটি সহীহ হাদীসের উপর ভিত্তি করেই
বলা হয়।
হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমর রাঃ থেকে বর্ণিত।
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-
” ﺇِﻥَّ ﻧُﻮﺣًﺎ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺍﻟﺴَّﻠَﺎﻡُ ﻟَﻤَّﺎ ﺣَﻀَﺮَﺗْﻪُ ﺍﻟْﻮَﻓَﺎﺓُ، ﺩَﻋَﺎ ﺍﺑْﻨَﻴْﻪِ، ﻓَﻘَﺎﻝَ:
ﺇِﻧِّﻲ ﻗَﺎﺻِﺮٌ ‏( 1 ‏) ﻋَﻠَﻴْﻜُﻤَﺎ ﺍﻟْﻮَﺻِﻴَّﺔَ، ﺁﻣُﺮُﻛُﻤَﺎ ﺑِﺎﺛْﻨَﺘَﻴْﻦِ، ﻭَﺃَﻧْﻬَﺎﻛُﻤَﺎ ﻋَﻦِ
ﺍﺛْﻨَﺘَﻴْﻦِ، ﺃَﻧْﻬَﺎﻛُﻤَﺎ ﻋَﻦِ ﺍﻟﺸِّﺮْﻙِ ﻭَﺍﻟْﻜِﺒْﺮِ، ﻭَﺁﻣُﺮُﻛُﻤَﺎ ﺑِﻠَﺎ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠﻪُ، ﻓَﺈِﻥَّ
ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽَ ﻭَﻣَﺎ ﻓِﻴﻬِﻤَﺎ ﻟَﻮْ ﻭُﺿِﻌَﺖْ ﻓِﻲ ﻛِﻔَّﺔِ ﺍﻟْﻤِﻴﺰَﺍﻥِ،
ﻭَﻭُﺿِﻌَﺖْ ﻟَﺎ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠﻪُ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻜِﻔَّﺔِ ﺍﻟْﺄُﺧْﺮَﻯ، ﻛَﺎﻧَﺖْ ﺃَﺭْﺟَﺢَ، ﻭَﻟَﻮْ ﺃَﻥَّ
ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽَ ﻛَﺎﻧَﺘَﺎ ﺣَﻠْﻘَﺔً، ﻓَﻮُﺿِﻌَﺖْ ﻟَﺎ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻬﻤَﺎ،
ﻟَﻔَﺼَﻤَﺘْﻬَﺎ، ﺃَﻭْ ﻟَﻘَﺼَﻤَﺘْﻬَﺎ، ﻭَﺁﻣُﺮُﻛُﻤَﺎ ﺑِﺴُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠﻪِ ﻭَﺑِﺤَﻤْﺪِﻩِ، ﻓَﺈِﻧَّﻬَﺎ
ﺻَﻠَﺎﺓُ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ،، ﻭَﺑِﻬَﺎ ﻳُﺮْﺯَﻕُ ﻛُﻞُّ ﺷَﻲْﺀٍ “
ﺇﺳﻨﺎﺩﻩ ﺻﺤﻴﺢ. ﺍﻟﺼﻘﻌﺐ ﺑﻦ ﺯﻫﻴﺮ: ﺭﻭﻯ ﻋﻨﻪ ﺟﻤﻊ، ﻭﻭﺛﻘﻪ ﺃﺑﻮ
ﺯﺭﻋﺔ، ﻭﺫﻛﺮﻩ ﺍﺑﻦ ﺣﺒﺎﻥ ﻓﻲ “ ﺍﻟﺜﻘﺎﺕ” ، ﻭﻗﺎﻝ ﺃﺑﻮ ﺣﺎﺗﻢ: ﺷﻴﺦ
ﻟﻴﺲ ﺑﺎﻟﻤﺸﻬﻮﺭ . ﻭﺑﺎﻗﻲ ﺭﺟﺎﻟﻪ ﺛﻘﺎﺕ ﺭﺟﺎﻝ ﺍﻟﺸﻴﺨﻴﻦ. ﺟﺮﻳﺮ ﻭﺍﻟﺪ
ﻭﻫﺐ: ﻫﻮ ﺍﺑﻦ ﺣﺎﺯﻡ .
ﻭﺳﻠﻒ ﺑﺮﻗﻢ ‏( 6583 ‏) ﻣﻦ ﻃﺮﻳﻖ ﺣﻤﺎﺩ ﺑﻦ ﺯﻳﺪ، ﻋﻦ ﺍﻟﺼﻘﻌﺐ، ﺑﻪ .
হযরত নূহ আঃ যখন মৃতুশয্যায় তখন তিনি স্বীয়
ছেলে ডাকলেন। তারপর বললেন, আমি মুমুর্ষ
হালাতে আছি।
আমি তোমাকে দু’টি অসিয়ত করছি।
দু’টি বিষয়ের আদেশ করছি আর দু’টি বিষয়
থেকে নিষেধ করছি। নিষেধ করছি শিরক ও
কবিরা গুনাহ করা থেকে। আর আদেশ
করছি “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ পড়তে।
কেননা, যদি এ কালিমা এক পাল্লায়
রাখা হয়, আর অপর পাল্লায় সমস্ত আসমান ও
জমিন রাখা হয়, তবে কালিমার
পাল্লা ঝুঁকে যাবে। আর যদি সমস্ত আসমান
জমিন একটি বৃত্তে পরিণত হয়ে যায়, তবু এ
কালিমা সে বৃত্তকে ভেঙ্গে আল্লাহ
তাআলার কাছে পৌঁছে যাবে। আর
তোমাদের আদেশ
করছি “সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহী”
পড়তে। কেননা, এটিই সমস্ত বস্তুর ইবাদত এর
দ্বারাই সমস্ত বস্তুকে রিযিক দেয়া হয়।
হাদীসটির সনদ সহীহ।
মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৭১০১
মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস নং-১৫৪
গায়াতুল মাকসাদ, হাদীস নং-৪৫৮৭
মাজমাউজ যাওয়ায়েদ, হাদীস নং-৭১২৪
আলমুসনাদুল জামে, হাদীস নং-৮৩২৩
মুন্তাখাব হাদীস, ঈমান অধ্যায়-২৪-২৫
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ

মহিলা ডাক্তার না থাকা অবস্থায় প্রয়োজনে পুরুষ ডাক্তারের সামনে নারীদের সতর খোলার হুকুম কি?

প্রশ্ন

হাসপাতাল ও diagnostic clinic
গুলোতে মহিলা doctor ও technitian খুব অপ্রতুল।
পুরুষ ডাক্তার বা টেকনেশিয়ানের
সামনে চিকিৎসা প্রয়োজনে সতর খোলার
হুকুম কি?

উত্তর
ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ
যদি কোন উপায় না থাকে,
তাহলে যা না হলে নয় এতটুকু সতর
খোলা জায়েজ। তবে এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ
চেষ্টা করতে হবে যেন নারীদের জন্য
নারী ডাক্তারের ব্যবস্থা করা।
যদি এটি একেবারেই সম্ভব না হয়,
তাহলে চেষ্টা করবে বয়স্ক ডাক্তারের।
যদি এটিও সম্ভব না হয়, তাহলে অপারগ
অবস্থায় যতটুকু সম্ভব
পর্দা রক্ষা করে প্রয়োজনীয় অংশ
খোলা জায়েজ আছে।
ﻭَﻳﺤﺮﻡ ﺍﻟﻨّﻈﺮ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟْﻌَﻮْﺭَﺓ ﺇﻻَّ ﻋِﻨْﺪ ﺍﻟﻀَّﺮُﻭﺭَﺓ ﻛﺎﻟﻄﺒﻴﺐ ‏(ﻣﻠﺘﻘﻰ
ﺍﻷﺑﺤﺮ ﻣﻊ ﻣﺠﻤﻊ ﺍﻻﻧﻬﺮ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻜﺮﺍﻫﻴﺔ، ﻓﺼﻞ ﻓﻰ
ﺍﻟﻨﻈﺮ- 4/199 ، ﺗﺒﻴﻴﻦ ﺍﻟﺤﻘﺎﺋﻖ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻜﺮﺍﻫﻴﺔ، ﻓﺼﻞ ﻓﻰ ﺍﻟﻨﻈﺮ
ﻭﺍﻟﻠﻤﺲ- 7/38 ، ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ ﺍﻟﺴﺮﺍﺟﻴﺔ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻜﺮﺍﻫﻴﺔ، ﺑﺎﺏ ﺍﻟﻨﻈﺮ
ﻭﺍﻟﻠﻤﺲ 73- ، ﺣﺎﺷﻴﺔ ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻯ – 1/403 )
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ

কুরবানীর দিনে মুরগী জবাই করা জায়েজ কী?

প্রশ্ন:

কুরবানীর দিনে মুরগী জবাই
করা জায়েজ কী?

জবাব:
ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ
কুরবানীর নিয়তে কুরবানীর
দিনে মুরগী জবাই করা মাকরুহ।
তবে খাওয়ার নিয়তে জবাই করতে কোন
অসুবিধা নেই।
দলিল:
ﻓﻰ ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ- ‏( ﻓﻴﻜﺮﻩ ﺫﺑﺢ ﺩﺟﺎﺟﺔ ﻭﺩﻳﻚ ﺍﻟﺦ ‏) ﺍﻯ ﺑﻨﻴﺔ
ﺍﻷﺿﺤﻴﺔ ﻭﺍﻟﻜﺮﺍﻫﺔ ﺗﺤﺮﻳﻤﺔ ﻛﻤﺎ ﻳﺪﻝ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺘﻌﻠﻴﻞ ‏( ﺍﻟﻔﺘﻮﻯ
ﺍﻟﺸﺎﻣﻴﺔ – 9/454 )
প্রামান্য গ্রন্থাবলী:
১. ফাতওয়ায়ে শামী-৯/৪৫৪
২. আল বাহরুর রায়েক-৮/৩২৪
৩. ফাতওয়ায়ে আলমগীরী-৫/৩০০
৪. ফাতওয়ায়ে খানিয়া আলা হামিশিল
হিন্দিয়া-৩/৩৪৭
৫. খোলাসাতুল ফাতওয়া-৩/৩১৪
৬. হেদায়া-৪/৪৩২
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ

পশু জবাই করার সময় পশুকে কোন দিকে ফিরিয়ে জবাই করতে হবে?

প্রশ্ন:

পশু জবাই করার সময় পশুকে কোন
দিকে ফিরিয়ে জবাই করতে হবে?

জবাব:
ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ
কেবলার দিকে মুখ করে জবাই করবে।
এটা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। কোন ওজর
ছাড়া এর উল্টো করা খেলাফে সুন্নত।
তবে অন্য দিকে ফিরিয়ে জবাই
করলে জবাই শুদ্ধ হয়ে যাবে।
দলিল:
ﻭﻓﻰ ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ- ‏(ﻭ ‏) ﻛﺮﻩ ‏( ﺗﺮﻙ ﺍﻟﺘﻮﺟﻪ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﻘﺒﻠﺔ ‏) ﻟﻤﺨﺎﻟﻔﺔ
ﺍﻟﺴﻨﺔ ﺍﻯ ﺍﻟﻤﺆﻛﺪﺓ ﻷﻧﻪ ﺗﻮﺍﺭﺛﻪ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﻓﻴﻜﺮﻩ ﺗﺮﻛﻪ ﺑﻼ ﻋﺬﺭ
‏( ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ ﺍﻟﺸﺎﻣﻴﺔ- 9/427 )
ﻭﻓﻰ ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ ﺍﻟﻬﻨﺪﻳﺔ – ﻭﺍﺫﺍ ﺫﺑﺤﻬﺎ ﺑﻐﻴﺮ ﺗﻮﺟﻪ ﺍﻟﻘﺒﻠﺔ ﺣﻠﺖ ﻭﻟﻜﻦ
ﻳﻜﺮﻩ ‏( ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ ﺍﻟﻬﻨﺪﻳﺔ – 5/288 )
প্রামান্য গ্রন্থাবলী:
১. ফাতওয়ায়ে শামী-৯/৪২৭
২. ফাতওয়ায়ে আলমগীরী-৫/২৮৭-২৮৮
৩. খোলাসাতুল ফাতওয়া-৩/৩০৮
৪. বাদায়েউস সানায়ে’-৪/১৮৯
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ

পশু জবাই করতে গিয়ে গর্দান আলাদা হয়ে গেলে হুকুম কি?

প্রশ্ন

আমি আজকে মুরগী জবাই করার সময় মাথাসহ
আলাদা করে ফেলেছি।
এটা ইচ্ছা করে করিনি। তবে আল্লা্হর
নামেই জবাই করেছি। এটা খাওয়াতে কোন
অসুবিধা হবে?

জবাব
ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ
ইচ্ছাকৃত গর্দান
আলাদা করে ফেলা মাকরুহে তাহরীমী।
অনিচ্ছাকৃত হলে কোন সমস্যা নেই।
মুরগী খাওয়াতে কোন গোনাহ ও
হবে না এবং তা হারামও হবে না।
{ হেদায়া-৪/৪২২,
ফাতওয়ায়ে রহিমিয়া-১০/৬৯, কিতাবুল
ফাতওয়া-৪/১৯৩}
দলিল
ﻓﻰ ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ – ‏( ﻭ ‏) ﻛﺮﻩ ﻛﻞ ﺗﻌﺬﻳﺐ ﺑﻼ ﻓﺎﺋﺪﺓ ﻣﺜﻞ ‏( ﻗﻄﻊ
ﺍﻟﺮﺃﺱ ﻭﺍﻟﺴﻠﺦ ﻗﺒﻞ ﺃﻥ ﺗﺒﺮﺩ ‏) ‏(ﺍﻟﻔﺘﻮﻯ ﺍﻟﺸﺎﻣﻴﺔ- 9/427 )
প্রামান্য গ্রন্থাবলী
১- ফাতওয়ায়ে শামী-৯/৪২৭
২-ফাতওয়ায়ে আলমগীরী-৫/২৮৬
৩- আল বাহরুর রায়েক-৮/১৭০
৪-হেদায়া-৪/৪২২
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ