কুরবানী বিষয়ক জরুরী মাসায়েল ….

কুরবানী বিষয়ক জরুরী মাসায়েল   !!!!!!!!

কুরবানীর দিন
কুরবানীর জন্য তিন দিন
নির্ধারিত রয়েছে। যিলহজ্ব
মাসের ১০ তারিখ ঈদের
নামাজের পর থেকে ১২
তারিখের সূর্যাস্তের আগ
পর্যন্ত, এ তিন দিনের
যে কোন দিন
কুরবানী করা যাবে। এর
আগে বা পরে কুরবানী করলে হবে না
ﻭﻗﺖ ﺍﻷﺿﺤﻴﺔ ﺛﻼﺛﺔ ﺃﻳﺎﻡ ﺍﻟﻌﺎﺷﺮ ﻭﺍﻟﺤﺎﺩﻱ
ﻋﺸﺮ ﻭﺍﻟﺜﺎﻧﻲ ﻋﺸﺮ، ﺃﻭﻟﻬﺎﺃﻓﻀﻠﻬﺎ ﻭﺁﺧﺮﻫﺎ
ﺃﺩﻭﻧﻬﺎ ، ﻭﻳﺠﻮﺯ ﻓﻲ ﻧﻬﺎﺭﻫﺎ ﻭﻟﻴﻠﻬﺎ ﺑﻌﺪ
ﻃﻠﻮﻉ ﺍﻟﻔﺠﺮ ﻣﻦ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻨﺤﺮ ﺇﻟﻰ ﻏﺮﻭﺏ
ﺍﻟﺸﻤﺲ ﻣﻦ ﺍﻟﻴﻮﻡ ﺍﻟﺜﺎﻧﻲ ﻋﺸﺮ
( ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ ﺍﻟﻬﻨﺪﻳﺔ 5 / 295 ، ﺑﺪﺍﺋﻊ ﺍﻟﺼﻨﺎﺋﻊ
ﺯﻛﺮﻳﺎ – 4 / 198 ، ﺧﺎﻧﻴﺔ )
কোন দিন কুরবানী করা উত্তম
যদিও যিলহজ্ব মাসের ১০, ১১,
এবং ১২ তারিখের যে কোন
দিন কুরবানী করলে তা সহীহ
হয়ে যাবে , কিন্তু উত্তম হল
১০ই যিলহজ্ব অর্থাৎ ঈদের দিন
কুরবানী করা।
( ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻨﺤﺮ ﺇﻟﻰ ﺁﺧﺮ ﺃﻳﺎﻣﻪ‏) ﻭﻫﻲ ﺛﻼﺛﺔ
ﺃﻓﻀﻠﻬﺎ ﺃﻭﻟﻬﺎ . ﺛﻢ ﺍﻟﺜﺎﻧﻲ ﺛﻢ ﺍﻟﺜﺎﻟﺚ ﻛﻤﺎ ﻓﻲ
ﺍﻟﻘﻬﺴﺘﺎﻧﻲ ﻋﻦ ﺍﻟﺴﺮﺍﺟﻴﺔ
( ﺍﻟﺪﺭ ﺍﻟﻤﺨﺘﺎﺭ ﻣﻊ ﺍﻟﺸﺎﻣﻲ ﺯﻛﺮﻳﺎ – 9 / 458 ،
ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ ﺍﻟﺘﺎﺗﺎﺭ ﺧﺎﻧﻴﺔ – 1 / 416 ، ﺍﻟﺒﺤﺮ
ﺍﻟﺮﺍﺋﻖ 9 / 322 )
সুতরাং কোন
সমস্যা ছাড়া বিলম্ব করা ঠিক
নয়।
সম্পদশালী ব্যক্তি যদি কুরবানীর
দিনের পূর্বে গরীব হয়ে যায়
নেসাব পরিমান সম্পদের
মালিক এমন
ব্যক্তি যদি কুরবানীর
নিয়তে পশু ক্রয় করে অতঃপর
কুরবানীর দিন আসার আগেই
তা হারিয়ে যায়
বা মারা যায়। আর ঐ ব্যক্তিও
কোন বিপর্যয়ের
কারণে নেসাব শূন্য হয়ে যায়।
তাহলে তার উপর কুরবানীর
আরেক্ টি পশু ক্রয় করা আবশ্যক
নয়। কেননা সময় হওয়ার পূর্বেই
সে গরীব হয়ে গেছে।
ﻭﻟﻮ ﺍﺷﺘﺮﻯ ﺍﻟﻤﻮﺳﺮ ﺷﺎﺓ ﻟﻸﺿﺤﻴﺔ
ﻓﻀﺎﻋﺖ ﺣﺘﻰ ﺍﻧﺘﻘﺺ ﻧﺼﺎﺑﻪ ﻭﺻﺎﺭ ﻓﻘﻴﺮﺍ
ﻓﺠﺎﺀﺕ ﺃﻳﺎﻡ ﺍﻟﻨﺤﺮ ﻓﻠﻴﺲ ﻋﻠﻴﻪ ﺃﻥ ﻳﺸﺘﺮﻱ
ﺷﺎﺓ ﺃﺧﺮﻯ ،‏( ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ ﺍﻟﻬﻨﺪﻳﺔ – 5 / 337 )
কুরবানীর দিনে কেউ
যদি ধনী হয়ে যায়
কুরবানীর দিন আসার
পূর্বে কোন ব্যক্তি গরীব ছিল ,
তার কাছে নেসাব পরিমান
সম্পদ ছিল না। কিন্তু
কুরবানীর তিন দিনের
যে কোন দিন যদি নেসাব
পরিমান সম্পদের মালিক
হয়ে যায়। এমনকি শেষ সময়েও
যদি সম্পদশালী হয়। তাহলেও
তার উপর কুরবানী ওয়াজিব
হবে।
ﻭﻻ ﻳﺸﺘﺮﻁ ﺃﻥ ﻳﻜﻮﻥ ﻏﻨﻴﺎ ﻓﻲ ﺟﻤﻴﻊ
ﺍﻟﻮﻗﺖ ﺣﺘﻰ ﻟﻮ ﻛﺎﻥ ﻓﻘﻴﺮﺍ ﻓﻲ ﺃﻭﻝ
ﺍﻟﻮﻗﺖ ، ﺛﻢ ﺃﻳﺴﺮ ﻓﻲ ﺁﺧﺮﻩ ﺗﺠﺐ ﻋﻠﻴﻪ ،
‏( ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ ﺍﻟﻬﻨﺪﻳﺔ – 5 / 337 )
ﻭﻋﻠﻴﻪ ﻳﺘﺨﺮﺝ ﻣﺎ ﺇﺫﺍ ﺻﺎﺭ ﺃﻫﻼ ﻟﻠﻮﺟﻮﺏ
ﻓﻲ ﺁﺧﺮﻩ ، ﺑﺄﻥ ﺃﺳﻠﻢ ﺃﻭ ﺃﻋﺘﻖ ﺃﻭ ﺃﻳﺴﺮ ﺃﻭ
ﺃﻗﺎﻡ ﺗﻠﺰﻣﻪ ‏( ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ – 9 / 458 )
কুরবানী করার পর যদি গরীব
ব্যক্তি ধনী হয়ে যায়
কোন গরীব
ব্যক্তি যদি নিজেই কোন
ব্যবস্থা করে কুরবানী দিয়ে ফেলে,
অতপরঃ কুরবানীর তৃতীয় দিন
সম্পদশালী হয়ে যায় ,
তাহলে তাকে দ্বিতীয়বার
কুরবানী করতে হবে। আর
প্রথমটি নফল কুরবানী হবে।
ﻭﻟﻮ ﺿﺤﻰ ﺍﻟﻔﻘﻴﺮ ﺛﻢ ﺃﻳﺴﺮ ﻓﻲ ﺁﺧﺮﻩ ﻋﻠﻴﻪ
ﺍﻹﻋﺎﺩﺓ ﻓﻲ ﺍﻟﺼﺤﻴﺢ ﻷﻧﻪ ﺗﺒﻴﻦ ﺃﻥ ﺍﻷﻭﻟﻰ
ﺗﻄﻮﻉ ﺑﺪﺍﺋﻊ ﻣﻠﺨﺼﺎ ‏( ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ – 9 / 458 )
ধনী ব্যক্তির কুরবানীর পশু
হারিয়ে গেলে
যার উপর কুরবানী ওয়াজিব
এমন ব্যক্তি পশু ক্রয় করার পর
তা হারিয়ে বামারাগেলে ,
তার উপর আরেকটি পশু
কুরবানী করা আবশ্যক
ﺃﻥ ﺍﻟﻤﻨﺬﻭﺭﺓ ﻟﻮ ﻫﻠﻜﺖ ﺃﻭ ﺿﺎﻋﺖ ﺗﺴﻘﻂ
ﺍﻟﺘﻀﺤﻴﺔ ﺑﺴﺒﺐ ﺍﻟﻨﺬﺭ ، ﻏﻴﺮ ﺃﻧﻪ ﺇﻥ ﻛﺎﻥ
ﻣﻮﺳﺮﺍ ﺗﻠﺰﻣﻪ ﺃﺧﺮﻯ ﺑﺈﻳﺠﺎﺏ ﺍﻟﺸﺮﻉ ﺍﺑﺘﺪﺍﺀ
‏( ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ – 9 / 471 ، ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ
ﺍﻟﻬﻨﺪﻳﺔ – 5 / 339 )
ﻭﻛﺬﺍ ﻟﻮ ﻣﺎﺗﺖ ﻓﻌﻠﻰ ﺍﻟﻐﻨﻲ ﻏﻴﺮﻫﺎ ﻻ ﺍﻟﻔﻘﻴﺮ
‏( ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ – 9 / 394 )

১ . ধনী ব্যক্তির কুরবানির পশুর
বাচ্চার বিধান।
ধনী ব্যক্তি কুরবানির
নিয়তে পশু ক্রয় করার পর
কুরবানি করার আগেই যদি ঐ
পশুর গর্ভ থেকে বাচ্চা ভূমিষ্ট
হয়, তাহলে ঐ
বাচ্চা কুরবানি করা আবশ্যক
নয়। বরং ধনী ব্যক্তি ঐ
বাচ্চা জীবিত অবস্থায়ও
সদকা করতে পারবে।
তবে জবাই করলে তাও
জায়েজ হয়ে যাবে।
ﻓﻲ ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ ﺍﻟﻬﻨﺪﻳﺔ :‏( ﺝ 5 ﺹ 301‏) ﺃﻣﺎ ﻓﻲ
ﺍﻟﻤﻮﺳﺮ ﻓﻼ ﻳﻠﺰﻣﻪ ﺫﺑﺢ ﺍﻟﻮﻟﺪ ﻳﻮﻡ
ﺍﻷﺿﺤﻰ ، ﻓﺈﻥ ﺫﺑﺢ ﺍﻟﻮﻟﺪ ﻳﻮﻡ ﺍﻷﺿﺤﻰ
ﻗﺒﻞ ﺍﻷﻡ ﺃﻭ ﺑﻌﺪﻫﺎ ﺟﺎﺯ ، ﻭﻟﻮ ﻟﻢ ﻳﺬﺑﺤﻪ
ﻭﺗﺼﺪﻕ ﺑﻪ ﺣﻴﺎ ﺟﺎﺯ ﻓﻲ ﺃﻳﺎﻡ ﺍﻷﺿﺎﺣﻲ
দলীলঃ ফাতাওয়া আলমগীরি , – ৫ / ৩০১ ,
ফাতাওয়া শামী, – ৯ / ৪৬৭ ,
বাযযাযিয়াহ, – ৬ / ২৯৪
২ . ধনী ব্যক্তি কুরবানির পশু
পরিবর্তন করতে পারবে।
ধনী ব্যক্তি কুরবানির
নিয়তে একটি পশু ক্রয় করার পর
সেটা জবাই না করে , অন্য পশুর
দ্বারাও
কুরবানি করতে পারবে।
কেননা ধনী ব্যক্তি কুরবানির
পশু নির্ধারণ করার
দ্বারা সেটাই আবশ্যক
হয়ে যায় না।
সুতরাং তা পরিবর্তন
করতে পারবে।
ﻓﻲ ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ ﺍﻟﻬﻨﺪﻳﺔ :‏( ﺝ 5 ﺹ 291‏) ﻭﺃﻣﺎ
ﺍﻟﺬﻱ ﻳﺠﺐ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻔﻘﻴﺮ ﺩﻭﻥ ﺍﻟﻐﻨﻲ
ﻓﺎﻟﻤﺸﺘﺮﻯ ﻟﻸﺿﺤﻴﺔ ﺇﺫﺍ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻤﺸﺘﺮﻱ
ﻓﻘﻴﺮﺍ ، ﺑﺄﻥ ﺍﺷﺘﺮﻯ ﻓﻘﻴﺮ ﺷﺎﺓ ﻳﻨﻮﻱ ﺃﻥ
ﻳﻀﺤﻲ ﺑﻬﺎ ، ﻭﺇﻥ ﻛﺎﻥ ﻏﻨﻴﺎ ﻻ ﺗﺠﺐ ﻋﻠﻴﻪ
ﺑﺸﺮﺍﺀ ﺷﻲﺀ
দলীলঃ ফাতাওয়া আলমগীরি , – ৫ / ২৯১ ,
ফাতাওয়া তাতারখানিয়া,- ১৭ / ৪১১ ,
আল বাহরুর রায়েক, – ৯ / ৩২০
৩ . গরীবের উপর কুরবানি কখন
আবশ্যক হয়।
গরীব ব্যক্তি যদি কুরবানির
নিয়তে কোন পশু ক্রয়
করে তাহলে এই ক্রয় করার
দ্বারাই তার উপর
সুনির্দিষ্টভাবে ঐ পশু
কুরবানি করা আবশ্যক
হয়ে যায়। তা পরিবর্তন
করা যাবে না।
ﻓﻲ ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ :‏(ﺝ 9 ﺹ 471‏) ﻭﺇﻥ ﻓﻘﻴﺮﺍ
ﺃﺟﺰﺃﻩ ﺫﻟﻚ ‏) ﻷﻧﻬﺎ ﺇﻧﻤﺎ ﺗﻌﻴﻨﺖ ﺑﺎﻟﺸﺮﺍﺀ ﻓﻲ
ﺣﻘﻪ
দলীলঃ ফাতাওয়া শামী – ৯ / ৪৭১ ,
ﻓﻲ ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ ﺍﻟﻬﻨﺪﻳﺔ :‏(ﺝ 5 ﺹ 291‏) ﻫﻞ
ﺗﺼﻴﺮ ﺍﻷﺿﺤﻴﺔ ﻭﺍﺟﺒﺔ ﺑﺎﻟﺸﺮﺍﺀ ﺑﻨﻴﺔ
ﺍﻷﺿﺤﻴﺔ……… ﺍﻥ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻤﺸﺘﺮﻯ ﻓﻘﻴﺮﺍ … .
ﺗﺼﻴﺮ ﻭﺍﺟﺒﺔ
ফাতাওয়া আলমগীরি ,- ৫ / ২৯১
৪ . গরীবের ক্রয়কৃত কুরবানরি পশু
হারিয়ে গেলে তার হুকুম।
যার উপর কুরবানি ওয়াজিব নয়
এমন ব্যক্তি কুরবানির
নিয়তে পশু ক্রয় করার পর
যদি তা হারিয়ে যায়
তাহলে আরেকটি ক্রয়
করা আবশ্যক নয়।
ﻓﻲ ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ ﺍﻟﺘﺎﺗﺎﺭ ﺧﺎﻧﻴﺔ :‏( ﺝ 17 ﺹ 413‏)
ﻭﻟﻮ ﺍﺷﺘﺮﻯ ﺷﺎﺓ ﻟﻸﺿﺤﻴﺔ ﻭﻫﻮ
ﻣﻌﺴﺮ… . . ﺛﻢ ﺿﻠﺖ ﻓﻼ ﺷﻴﺊ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﻻ
ﻳﺠﺐ ﻋﻠﻴﻪ ﺷﻴﺊ ﺁﺧﺮ
দলীলঃ ফাতাওয়া তাতারখানিয়া,- ১৭ / ৪১৩ ,
বাদাইয়ুস সানায়ে ,- ৪ / ২০০
৫ . গরীবের কুরবানির পশু
মারা গেলে করণীয়।
গরীব ব্যক্তি কুরবানির
নিয়তে পশু ক্রয় করার পর
যদি পশুটি মারা যায় ,
তাহলে আরেকটি ক্রয়
করে কুরবানি করা আবশ্যক নয়।
আর ধনী ব্যক্তির কুরবানির পশু
মারা গেলে তার উপর
আরেকটি ক্রয়
করে কুরবানি করা আবশ্যক।
ﻓﻲ ﺭﺩﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ :‏(ﺝ 9 ﺹ 471‏) ﻭﻛﺬﺍ ﻟﻮﻣﺎﺗﺖ
ﻓﻌﻠﻰ ﺍﻟﻐﻨﻲ ﻏﻴﺮﻫﺎ ﻻ ﺍﻟﻔﻘﻴﺮ
দলীলঃ ফাতাওয়া শামী, – ৯ / ৪৭১ ,
ফাতাওয়া আলমগীরি ,- ৫ / ২৯৯

অজু সংক্রান্ত বিসমিল্লাহিল আলিয়্যিল আজীম নামক দুআর প্রমাণ আছে কি?

প্রশ্ন

আসসালামু আলাইকুম,
আমার অযু নিয়ে আরেকটি প্রশ্নঃ
অযু সংক্রান্ত একটি দু’আ ছোটবেলা থেকেই
মুখস্থ করে আসছি। দু’আটি হলোঃ
“বিসমিল্লাহিল আলিয়্যিল আযিম, ওয়াল আলহামদু
লিল্লাহি আলা দ্বীনিল ইসলাম।
আল ইসলামু হাক্কুও ওয়াল কুফরু বাতিলুন,
ওয়াল ইসলামু আলা কুফরু যুলমাহ।”
এই দু’আাটির কোন রেফারেন্স কি আছে,
নাকি আমি এত বছর ধরে একটি বিদ’আত আমল করছি? এই
বিষয়টি নিয়ে অনেক টেনশনে আছি আমাকে টেনশন মুক্ত
করবেন আশা করছি।

উত্তর
ﻭﻋﻠﻴﻜﻢ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻭﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺑﺮﻛﺎﺗﻪ
ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ
আপনার বলা দুআটির কোন রেফারেন্স
আমরা খুজে পাইনি। তবে অজু করার
শুরুতে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম পড়ার
কথা হাদীসে এসেছে। {আবু দাউদ-১/১৪,
তিরমিজী-১/১৩, কিতাবুল আজকার-২/২}
আর অজুর মাঝে পড়বে
ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ ﺫَﻧْﺒِﻲ ، ﻭَﻭَﺳِّﻊْ ﻟِﻲ ﻓِﻲ ﺩَﺍﺭِﻱ ، ﻭَﺑَﺎﺭِﻙْ ﻟِﻲ ﻓِﻲ
ﺭِﺯْﻗِﻲ
বাংলা উচ্চারণ-
আল্লাহুম্মাগফিরলী জাম্বী ওয়া ওয়াসসি’লী ফী দারী ওয়া বারিকলী ফী রিযকী।
{সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস নং-৯৯০৮,
কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-৫০৮০,
মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদীস নং-৭২৭৩,
মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস
নং-২৯৩৯১}
অজুর শেষে উপরের দিকে তাকিয়ে পড়বে
ﺃَﺷْﻬَﺪُ ﺃَﻥْ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻻَ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻪُ ، ﻭَﺃَﺷْﻬَﺪُ ﺃَﻥَّ ﻣُﺤَﻤَّﺪًﺍ
ﻋَﺒْﺪُﻩُ ﻭَﺭَﺳُﻮﻟُﻪُ
বাংলা উচ্চারণ- আশহাদু আন
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু
লা শারীকালাহূ, ওয়া আশহাদু
আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু
ওয়া রাসূলুহু। {সুনানে নাসায়ী কুবরা,
হাদীস নং-৯৯১২, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস
নং-১৬৯, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-৭১৬, সহীহ
মুসলিম, হাদীস নং-২৩৪, কানযুল উম্মাল,
হাদীস নং-২৬০৭৪}
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ

ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে শরীরে ওষুধ প্রবেশ করালে বা রক্ত বের করলে অজু ভেঙ্গে যাবে?

প্রশ্ন
ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে শরীরে ওষুধ প্রবেশ
করালে অজু ভাঙ্গবে কি? ইঞ্জেকশনের
মাধ্যমে শরীর থেকে রক্ত বের করলে অজুর হুকুম
কি?
উত্তর
ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ
ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে শরীরে অষুধ প্রবেশ
করালে অজু ভাঙ্গবে না। কারণ ইঞ্জেকশনের
মাধ্যমে যদি সূচের আগা দিয়ে অল্প রক্ত বেরও হয়,
সেটি প্রবাহিত পরিমাণ হয় না। তাই এতে অজু
ভাঙ্গে না। যদি প্রবাহিত হয়ে যেত এমন পরিমাণ হয়,
তাহলে এতে অজু ভেঙ্গে যাবে।
তবে যদি সিরিঞ্জের মাধ্যমে রক্ত বের
করে আনা হয়, তাহলে এর দ্বারা অজু
ভেঙ্গে যাবে। কারণ এই পরিমাণ রক্ত বের হয়,
যা প্রবাহিত পরিমাণ হয়ে থাকে।
ﺍﻟﻘﺮﺍﺩ ﺇﺫﺍ ﻣﺺ ﻋﻀﻮ ﺇﻧﺴﺎﻥ ﻓﺎﻣﺘﻸ ﺩﻣﺎ ﺇﻥ ﻛﺎﻥ ﺻﻐﻴﺮﺍ ﻻ ﻳﻨﻘﺾ
ﻭﺿﻮﺀﻩ ﻛﻤﺎ ﻟﻮ ﻣﺼﺖ ﺍﻟﺬﺑﺎﺏ ﺃﻭ ﺍﻟﺒﻌﻮﺽ ﻭﺇﻥ ﻛﺎﻥ ﻛﺒﻴﺮﺍ ﻳﻨﻘﺾ
ﻭﻛﺬﺍ ﺍﻟﻌﻠﻘﺔ ﺇﺫﺍ ﻣﺼﺖ ﻋﻀﻮ ﺇﻧﺴﺎﻥ ﺣﺘﻰ ﺍﻣﺘﻸﺕ ﻣﻦ ﺩﻣﻪ
ﺍﻧﺘﻘﺾ ﻭﺿﻮﺀﻩ ﺍﻟﺦ
ﺇﺫﺍ ﺧﺮﺝ ﻣﻦ ﺍﻟﺠﺮﺡ ﺩﻡ ﻗﻠﻴﻞ ﻓﻤﺴﺤﻪ ﺛﻢ ﺧﺮﺝ ﺃﻳﻀﺎ ﻭﻣﺴﺤﻪ
ﻓﺈﻥ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﺪﻡ ﺑﺤﺎﻝ ﻟﻮ ﺗﺮﻙ ﻣﺎ ﻗﺪ ﻣﺴﺢ ﻣﻨﻪ ﺳﺎﻝ ﺍﻧﺘﻘﺾ
ﻭﺿﻮﺀﻩ ﻭﺇﻥ ﻛﺎﻥ ﻻ ﻳﺴﻴﻞ ﻻ ﻳﻨﺘﻘﺾ ﻭﺿﻮﺀﻩ ‏( ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ ﺍﻟﻬﻨﺪﻳﺔ،
ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻄﻬﺎﺭﺓ، ﺍﻟﻔﺼﻞ ﺍﻟﺨﺎﻣﺲ ﻓﻲ ﻧﻮﺍﻗﺾ ﺍﻟﻮﺿﻮﺀ -1/6
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ

এন্ডোসকপি করালে ওজু ভেঙ্গে যাবে?

প্রশ্ন

এন্ডোসকপি নামক একটি মেডিকেল টেষ্ট আছে, যার
দ্বারা মুখের ভিতর দিয়ে পাইপ পেটে প্রবেশ
করানো হয়, এখন প্রশ্নহল, এন্ডোসকপি করানোর
দ্বারা কি রোগীটির অজু ভেঙ্গে যাবে?

উত্তর
ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ
হ্যাঁ, এন্ডোসকপি করানোর দ্বারা রোগীটির
অজু ভেঙ্গে যাবে। কারণএন্ডোসকপির
পাইপটি পাকস্থলি পর্যন্ত পৌঁছে। আর
পাকস্থলি হল নাপাকের স্থান। তাই এন্ডোসকপির
পাইপটি বের করার সময় যদিও তা পরিস্কার
দেখা যায়, কিন্তু তাতে নাপাক
থাকা অস্বাভিক নয়। তাই অজু ভেঙ্গে গেছে বলেই
ধর্তব্য হবে।
ﻭَﻛَﺬَﻟِﻚَ ﺧُﺮُﻭﺝُ ﺍﻟْﻮَﻟَﺪ،ِ ﻭَﺍﻟﺪُّﻭﺩَﺓِ، ﻭَﺍﻟْﺤَﺼَﺎ، ﻭَﺍﻟﻠَّﺤْﻢِ، ﻭَﻋُﻮﺩِ ﺍﻟْﺤُﻘْﻨَﺔِ
ﺑَﻌْﺪَ ﻏَﻴْﺒُﻮﺑَﺘِﻬَﺎ؛ ﻟِﺄَﻥَّ ﻫَﺬِﻩِ ﺍﻟْﺄَﺷْﻴَﺎﺀَ . ﻭَﺇِﻥْ ﻛَﺎﻧَﺖْ ﻃَﺎﻫِﺮَﺓٌ ﻓِﻲ ﺃَﻧْﻔُﺴِﻬَﺎ
ﻟَﻜِﻨَّﻬَﺎ ﻟَﺎ ﺗَﺨْﻠُﻮ ﻋَﻦْ ﻗَﻠِﻴﻞِ ﻧَﺠَﺲٍ ﻳَﺨْﺮُﺝُ ﻣَﻌَﻬَﺎ، ‏( ﺑﺪﺍﺋﻊ
ﺍﻟﺼﻨﺎﺋﻊ 35-1-
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ

নাপাক স্থানে জায়নামায বিছিয়ে নামায পড়লে হবে কি?

আমার ছোট বাচ্চাটি প্রসাব করে ঘর নাপাক
করে ফেলে।একবার কাপড়
ভিজিয়ে পরিষ্কার করি এবং জায়নামাজ
বিছিয়ে নামাজ আদায় করি। এবং প্রায়ই
সে বিছানার চাদর, পাটি বিভিন্ন
জায়গায় প্রসাব করার কারণে অনেক সময়
ভুলেও যাই যে এই জায়গাটিতে সে পেশাব
করেছে। কিন্তু নামাজের সময় জায়নামাজ
বিছিয় নামাজ আদায় করি। প্রশ্ন হচ্ছে এরূপ
পাকা ফ্লোরে শুকিয়ে যাওয়া জায়গায়
জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজ
পড়লে কি নামাজ আদায় হবে?

উত্তর

ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ
নাপাক স্থানের উপর কাপড়
বিছিয়ে নামায পড়লে নামায আদায়
হয়ে যাবে। কোন সমস্যা নেই।
সে হিসেবে জায়নামায বিছিয়ে নামায
পড়লেও হয়ে যাবে।
ﻟﻮ ﺑﺴﻂ ﺍﻟﺜﻮﺏ ﺍﻟﻄﺎﻫﺮ ﻋﻠﻰ ﺍﻷﺭﺽ ﺍﻟﻨﺠﺴﺔ ﻭﺻﻠﻰ ﻋﻠﻴﻪ ﺟﺎﺯ
‏( ﺍﻟﺒﺤﺮ ﺍﻟﺮﺍﺋﻖ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺼﻼﺓ، ﺑﺎﺏ ﺷﺮﻭﻁ ﺍﻟﺼﻼﺓ – 1/268 )
তথ্যসূত্র
আল বাহরুর রায়েক-১/২৬৮
ফাতওয়া শামী-১/৬২৬
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ

মদের বোতল ব্যবহার করা যাবে কি?

মদের বোতল ভালভাবে পরিষ্কার
করে ধূয়ে সেই বোতলে পানি পান
করলে সেই পানি খাওয়া জায়েজ হবে কি-
না। যদি না হয় তবে কিভাবে জায়েজ
হবে ?

জবাব:

ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ
যদি ভাল করে পরিস্কার করা হয়, এতে মদের
কোন চিহ্নও
বাকি না থাকে তাহলে জায়েজ হবে।
কোন সমস্যা নেই। ইসলামের প্রথম যুগে মূলত ৩
টি কারণে মদের পাত্রে পানি পান করা ও
সির্কা ভিজাতে নিষেধ করা হয়েছিল।
যথা-
১-পাত্রে মদের চিহ্ন অবশিষ্ট থাকার
কারণে নিষেধ ছিল।
২-মদের পাত্রে পান অন্য কিছু পান করার দরূন
যেন মদের কথা স্বরণ না হয়ে যায়।
২-মদের প্রতি যেন পরিপূর্ণ ঘৃণা সৃষ্টি হয়
সে কারণে এ পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়,
পরবর্তিতে যখন মদ হারাম হওয়ার
বিষয়টি সবার জানা হয়ে যায়,
এবং সাহাবাদের মাঝে মদের প্রতি প্রচন্ড
ঘৃণা জন্মে যায়, তখন ওসব পাত্র ভাল
করে পরিস্কার করে তা দিয়ে পানি পান
ইত্যাদি নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি রহিত
হয়ে যায়। {তাকমিলা ফাতহুল মুলহিম-৩/৩৫১}
ﻓﻰ ﺗﻜﻤﻠﺔ ﻓﺘﺢ ﺍﻟﻤﻠﻬﻢ – ﻭﻛﺎﻧﺖ ﻫﺬﻩ ﺍﻟﻈﺮﻭﻑ ﻣﺨﺘﺼﺔ ﺑﺎﻟﺨﻤﺮ،
ﻓﻠﻤﺎ ﺣﺮﻣﺖ ﺍﻟﺨﻤﺮ ﺣﺮﻡ ﺍﻟﻨﺒﻰ ﷺ ﺍﺳﺘﻌﻤﺎﻝ ﻫﺬﻩ ﺍﻟﻈﺮﻭﻑ، ﺇﻣﺎ ﻷﻥ
ﻓﻰ ﺍﺳﺘﻌﻤﺎﻟﻪ ﺗﺸﺒﻬﺎ ﺑﺸﺮﺏ ﺍﻟﺨﻤﺮ ﻭﺗﺬﻛﻴﺮﺍ ﻟﻪ، ﻭﺍﻣﺎ ﻻﻥ ﻫﺬﻩ
ﺍﻟﻈﺮﻭﻑ ﻛﺎﻧﺖ ﻓﻴﻬﺎ ﺃﺛﺮ ﺍﻟﺨﻤﺮ، ﻓﻠﻤﺎ ﻣﻀﺖ ﻣﺪﺓ ﺃﺑﺎﺡ ﺍﻟﻨﺒﻰ ﷺ
ﺍﺳﺘﻌﻤﺎﻝ ﻫﺬﻩ ﺍﻟﻈﺮﻭﻑ، ﻛﻤﺎ ﺳﻴﺄﺗﻰ ﻓﻰ ﺃﺣﺎﺩﻳﺚ ﺍﻟﺒﺎﺏ، ﻓﺈﻥ ﺃﺛﺮ
ﺍﻟﺨﻤﺮ ﺯﺍﻝ ﻋﻨﻬﺎ، ﺃﻭ ﻷﻥ ﺍﻟﺸﻴﺊ ﺣﻴﻨﻤﺎ ﻳﺤﺮﻡ ﻓﺈﻥ ﺍﻻﺋﻖ ﺣﻴﻨﺬﺍﻙ
ﺃﻥ ﻳﺒﺎﻟﻎ ﻓﻰ ﺍﻟﺘﺤﺮﻳﻢ، ﻭﻳﺸﺪﺩ ﻓﻰ ﺍﻷﻣﺮ، ﻟﻴﺘﺮﻛﻪ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﻣﺮﺓ،
ﻓﺈﺫﺍ ﺗﺮﻛﻪ ﺍﻟﻨﺎﺱ، ﻭﺍﺳﺘﻘﺮ ﺍﻷﻣﺮ ﻳﺰﻭﻝ ﺍﻟﺘﺸﺪﻳﺪ ﺑﻌﺪ ﺣﺼﻮﻝ
ﺍﻟﻤﻘﺼﻮﺩ، ‏( ﺗﻜﻤﻠﺔ ﻓﺘﺢ ﺍﻟﻤﻠﻬﻢ، ﻛﺘﺎﻝ ﺍﻷﺷﺮﺑﺔ، ﺑﺎﺏ ﺍﻟﻨﻬﻰ ﻋﻦ
ﺍﻻﻧﺒﺎﺫ ﻓﻰ ﺍﻟﻤﺰﻓﺖ ﻭﺍﻟﺪﺑﺎﺀ ﻭﺍﻟﺤﻨﺘﻢ ﻭﺍﻟﻨﻘﻴﺮ، ﻭﺑﻴﺎﻥ ﺍﻧﻪ ﻣﻨﺴﻮﺥ،
ﻭﺍﻧﻪ ﺍﻟﻴﻮﻡ ﺣﻼﻝ، ﻣﺎ ﻟﻢ ﻳﺼﺮ ﻣﺴﻜﺮﺍ، – 3/351
ﻋَﻦِ ﺍﺑْﻦِ ﺑُﺮَﻳْﺪَﺓَ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ -ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ –
ﻗَﺎﻝَ ‏« ﻧَﻬَﻴْﺘُﻜُﻢْ ﻋَﻦِ ﺍﻟﻈُّﺮُﻭﻑِ ﻭَﺇِﻥَّ ﺍﻟﻈُّﺮُﻭﻑَ – ﺃَﻭْ ﻇَﺮْﻓًﺎ – ﻻَ ﻳُﺤِﻞُّ
ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻭَﻻَ ﻳُﺤَﺮِّﻣُﻪُ ﻭَﻛُﻞُّ ﻣُﺴْﻜِﺮٍ ﺣَﺮَﺍﻡٌ
হযরত বুরাইদা রাঃ তার
পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল
সাঃ ইরশাদ করেছেন-আমি তোমাদের কিছু
পাত্রের ব্যাপারে {মদ রাখার পাত্র}
নিষেধাজ্ঞা করেছিলাম। মূলত পাত্র কোন
কিছুকে হালালও করে না, আবার কোন কোন
কিছুকে হারামও করে না।
তবে প্রতিটি মাদকদ্রব্য হারাম। {সহীহ
মুসলিম, হাদীস নং-৫৩২৬,
সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস নং-৫১৮৮,
সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৬৭,
সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১৮৬৯}

ওয়াজ নসীহত করে টাকা নেয়া জায়েজ আছে কি?

ওয়াজ নসীহত করে টাকা নেয়া জায়েজ
আছে কি?

উত্তর

ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ
উত্তম হল টাকা পয়সা না নেয়া। কিন্তু
যদি কেউ শুধু ওয়াজ নসীহত করার জন্যই
নিজেকে ফারিগ করে রাখে। অন্য কোন
কাজে ব্যস্ত না থাকে। তাহলে উক্ত
ব্যক্তির জন্য ওয়াজ করে পারিশ্রমিক
নেয়া জায়েজ আছে।
কিন্তু মাহফিল আয়োজনের পর হঠাৎ
কাউকে বয়ানের জন্য বলার পর পারিশ্রমিক
চাওয়া জায়েজ নয়। যেমন মসজিদে নামায
পড়ানোর জন্য যদি কেউ নিযুক্ত ইমাম থাকে,
যে শুধু নামায পড়ানোর জন্য নিজের
সময়কে খালি করে রাখে, উক্ত ব্যক্তির জন্য
ইমামতীর জন্য পারিশ্রমিক নেয়া জায়েজ
আছে।
কিন্তু নামাযের সময় হয়ে যাওয়ার পর নামায
শুরু হবার প্রক্কালে একজনকে নামায
পড়াতে বললে উক্ত ব্যক্তি নামায পড়ানোর
কারণে পারিশ্রমিক
দাবি করা বা নেয়া জায়েজ হবে না।
{আহসানুল ফাতাওয়া-৭/৩০০, জাদীদ
মুআমালাত কি শরয়ী আহকাম-১/২১৩}
ﻗﺎﻝ ﻓﻰ ﺍﻟﺪﺭ: ‏( ﻭ ‏) ﻻ ﻷﺟﻞ ﺍﻟﻄﺎﻋﺎﺕ ﻣﺜﻞ ‏( ﺍﻷﺫﺍﻥ ﻭﺍﻟﺤﺞ
ﻭﺍﻹﻣﺎﻣﺔ ﻭﺗﻌﻠﻴﻢ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﻭﺍﻟﻔﻘﻪ ‏) ﻭﻳﻔﺘﻰ ﺍﻟﻴﻮﻡ ﺑﺼﺤﺘﻬﺎ ﻟﺘﻌﻠﻴﻢ
ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﻭﺍﻟﻔﻘﻪ ﻭﺍﻹﻣﺎﻣﺔ ﻭﺍﻷﺫﺍﻥ .
ﻭ ﻗﺎﻝ ﺍﺑﻦ ﻋﺎﺑﺪﻳﻦ : ‏( ﻗﻮﻟﻪ ﻭﻳﻔﺘﻰ ﺍﻟﻴﻮﻡ ﺑﺼﺤﺘﻬﺎ ﻟﺘﻌﻠﻴﻢ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ
ﺇﻟﺦ ‏) ﻗﺎﻝ ﻓﻲ ﺍﻟﻬﺪﺍﻳﺔ : ﻭﺑﻌﺾ ﻣﺸﺎﻳﺨﻨﺎ – ﺭﺣﻤﻬﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ –
ﺍﺳﺘﺤﺴﻨﻮﺍ ﺍﻻﺳﺘﺌﺠﺎﺭ ﻋﻠﻰ ﺗﻌﻠﻴﻢ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﺍﻟﻴﻮﻡ ﻟﻈﻬﻮﺭ ﺍﻟﺘﻮﺍﻧﻲ
ﻓﻲ ﺍﻷﻣﻮﺭ ﺍﻟﺪﻳﻨﻴﺔ ، ﻓﻔﻲ ﺍﻻﻣﺘﻨﺎﻉ ﺗﻀﻴﻴﻊ ﺣﻔﻆ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﻭﻋﻠﻴﻪ
ﺍﻟﻔﺘﻮﻯ ﺍ ﻫـ ، ﻭﻗﺪ ﺍﻗﺘﺼﺮ ﻋﻠﻰ ﺍﺳﺘﺜﻨﺎﺀ ﺗﻌﻠﻴﻢ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﺃﻳﻀﺎ ﻓﻲ
ﻣﺘﻦ ﺍﻟﻜﻨﺰ ﻭﻣﺘﻦ ﻣﻮﺍﻫﺐ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﻭﻛﺜﻴﺮ ﻣﻦ ﺍﻟﻜﺘﺐ ، ﻭﺯﺍﺩ ﻓﻲ
ﻣﺨﺘﺼﺮ ﺍﻟﻮﻗﺎﻳﺔ ﻭﻣﺘﻦ ﺍﻹﺻﻼﺡ ﺗﻌﻠﻴﻢ ﺍﻟﻔﻘﻪ ، ﻭﺯﺍﺩ ﻓﻲ ﻣﺘﻦ
ﺍﻟﻤﺠﻤﻊ ﺍﻹﻣﺎﻣﺔ ، ﻭﻣﺜﻠﻪ ﻓﻲ ﻣﺘﻦ ﺍﻟﻤﻠﺘﻘﻰ ﻭﺩﺭﺭ ﺍﻟﺒﺤﺎﺭ .
ﻭﺯﺍﺩ ﺑﻌﻀﻬﻢ ﺍﻷﺫﺍﻥ ﻭﺍﻹﻗﺎﻣﺔ ﻭﺍﻟﻮﻋﻆ ، ﻭﺫﻛﺮ ﺍﻟﻤﺼﻨﻒ ﻣﻌﻈﻤﻬﺎ ،
ﻭﻟﻜﻦ ﺍﻟﺬﻱ ﻓﻲ ﺃﻛﺜﺮ ﺍﻟﻜﺘﺐ ﺍﻻﻗﺘﺼﺎﺭ ﻋﻠﻰ ﻣﺎ ﻓﻲ ﺍﻟﻬﺪﺍﻳﺔ ، ﻓﻬﺬﺍ
ﻣﺠﻤﻮﻉ ﻣﺎ ﺃﻓﺘﻰ ﺑﻪ ﺍﻟﻤﺘﺄﺧﺮﻭﻥ ﻣﻦ ﻣﺸﺎﻳﺨﻨﺎ ﻭﻫﻢ ﺍﻟﺒﻠﺨﻴﻮﻥ
ﻋﻠﻰ ﺧﻼﻑ ﻓﻲ ﺑﻌﻀﻪ ﻣﺨﺎﻟﻔﻴﻦ ﻣﺎ ﺫﻫﺐ ﺇﻟﻴﻪ ﺍﻹﻣﺎﻡ ﻭﺻﺎﺣﺒﺎﻩ ،
ﻭﻗﺪ ﺍﺗﻔﻘﺖ ﻛﻠﻤﺘﻬﻢ ﺟﻤﻴﻌﺎ ﻓﻲ ﺍﻟﺸﺮﻭﺡ ﻭﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺘﻌﻠﻴﻞ
ﺑﺎﻟﻀﺮﻭﺭﺓ ﻭﻫﻲ ﺧﺸﻴﺔ ﺿﻴﺎﻉ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﻛﻤﺎ ﻓﻲ ﺍﻟﻬﺪﺍﻳﺔ ،
ﻭﻗﺪ ﻧﻘﻠﺖ ﻟﻚ ﻣﺎ ﻓﻲ ﻣﺸﺎﻫﻴﺮ ﻣﺘﻮﻥ ﺍﻟﻤﺬﻫﺐ ﺍﻟﻤﻮﺿﻮﻋﺔ ﻟﻠﻔﺘﻮﻯ
ﻓﻼ ﺣﺎﺟﺔ ﺇﻟﻰ ﻧﻘﻞ ﻣﺎ ﻓﻲ ﺍﻟﺸﺮﻭﺡ ﻭﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ ، ﻭﻗﺪ ﺍﺗﻔﻘﺖ
ﻛﻠﻤﺘﻬﻢ ﺟﻤﻴﻌﺎ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺘﺼﺮﻳﺢ ﺑﺄﺻﻞ ﺍﻟﻤﺬﻫﺐ ﻣﻦ ﻋﺪﻡ ﺍﻟﺠﻮﺍﺯ ،
ﺛﻢ ﺍﺳﺘﺜﻨﻮﺍ ﺑﻌﺪﻩ ﻣﺎ ﻋﻠﻤﺘﻪ ، ﻓﻬﺬﺍ ﺩﻟﻴﻞ ﻗﺎﻃﻊ ﻭﺑﺮﻫﺎﻥ ﺳﺎﻃﻊ
ﻋﻠﻰ ﺃﻥ ﺍﻟﻤﻔﺘﻰ ﺑﻪ ﻟﻴﺲ ﻫﻮ ﺟﻮﺍﺯ ﺍﻻﺳﺘﺌﺠﺎﺭ ﻋﻠﻰ ﻛﻞ ﻃﺎﻋﺔ ﺑﻞ
ﻋﻠﻰ ﻣﺎ ﺫﻛﺮﻭﻩ ﻓﻘﻂ ﻣﻤﺎ ﻓﻴﻪ ﺿﺮﻭﺭﺓ ﻇﺎﻫﺮﺓ ﺗﺒﻴﺢ ﺍﻟﺨﺮﻭﺝ ﻋﻦ
ﺃﺻﻞ ﺍﻟﻤﺬﻫﺐ ﻣﻦ ﻃﺮﻭ ﺍﻟﻤﻨﻊ ، ﻓﺈﻥ ﻣﻔﺎﻫﻴﻢ ﺍﻟﻜﺘﺐ ﺣﺠﺔ ﻭﻟﻮ
ﻣﻔﻬﻮﻡ ﻟﻘﺐ ﻋﻠﻰ ﻣﺎ ﺻﺮﺡ ﺑﻪ ﺍﻷﺻﻮﻟﻴﻮﻥ ﺑﻞ ﻫﻮ ﻣﻨﻄﻮﻕ ، ﻓﺈﻥ
ﺍﻻﺳﺘﺜﻨﺎﺀ ﻣﻦ ﺃﺩﻭﺍﺕ ﺍﻟﻌﻤﻮﻡ ﻛﻤﺎ ﺻﺮﺣﻮﺍ ﺑﻪ ﺃﻳﻀﺎ . ‏( ﺍﻟﺪﺭ
ﺍﻟﻤﺨﺘﺎﺭ ﻣﻊ ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ : 9/76 ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻻﺟﺎﺭﺓ

ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ

বেপর্দা মহিলা ভিক্ষুককে ভিক্ষা দেয়া যাবে না?

আমাদের বাড়িতে প্রায় সময়ই মেয়ে ফকীর
আসে ভিক্ষা নিতে।
অনেকে বেপর্দাভাবে আসে। এদের
ভিক্ষা দেয়া কি জায়েজ হবে? অনুগ্রহ
করে জানাবেন।

উত্তর

ﻭﻋﻠﻴﻜﻢ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻭﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺑﺮﻛﺎﺗﻪ
ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ
বেপর্দা থাকার কারণে ভিক্ষুকটির গোনাহ
হবে। তবে তাকে ভিক্ষে দিলে গোনাহ
হবে না।
বরং গরীবকে সহযোগিতা করা কারণে সওয়াবও
হবে। এক্ষেত্রে পর্দা করার জন্য ভিক্ষুক
মহিলাকে উপদেশ দেয়া যাবে।
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ : ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ
ﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ ‏( ﻣﺎ ﻣﻦ ﻳﻮﻡ ﻳﺼﺒﺢ ﺍﻟﻌﺒﺎﺩ ﻓﻴﻪ ﺇﻻ ﻣﻠﻜﺎﻥ ﻳﻨﺰﻻﻥ
ﻓﻴﻘﻮﻝ ﺃﺣﺪﻫﻤﺎ ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺃﻋﻂ ﻣﻨﻔﻘﺎ ﺧﻠﻔﺎ ﻭﻳﻘﻮﻝ ﺍﻵﺧﺮ ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺃﻋﻂ
ﻣﻤﺴﻜﺎ ﺗﻠﻔﺎ
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল
সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যখনই আল্লাহর
বান্দাগণ ভোরে উঠে, আকাশ থেকে দু’জন
ফেরেশতা অবতীর্ণ হন। তাঁদের একজন একজন
বলেন, হে আল্লাহ! তুমি দাতাকে প্রতিদান
দাও। আর অপরজন বলেন, হে আল্লাহ!
তুমি কৃপণকে দাও সর্বনাশ। {সহীহ বুখারী,
হাদীস নং-১৩৭৪, সহীহ মুসলিম, হাদীস
নং-৮৪, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-১২২}
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﻳﺒﻠﻎ ﺑﻪ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ
ﺍﻟﻠﻪ ﺗﺒﺎﺭﻙ ﻭﺗﻌﺎﻟﻰ ﻳﺎ ﺍﺑﻦ ﺁﺩﻡ ﺃﻧﻔﻖ ﺃﻧﻔﻖ ﻋﻠﻴﻚ
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল
সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ আল্লাহ
তাআলা বলেনঃ হে বনী আদম! তুমি দান কর,
আমি তোমাকে দান করবো। { সহীহ মুসলিম,
হাদীস নং-৯৯৩, সহীহ বুখারী, হাদীস
নং-৫০৩৭}
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺰِﺭُ ﻭَﺍﺯِﺭَﺓٌ ﻭِﺯْﺭَ ﺃُﺧْﺮَﻯٰۚ ‏[ ٣٥ : ١٨
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না।
{সূরা ফাতির-১৮}
ﻗُﻞْ ﻟِﻠْﻤُﺆْﻣِﻨِﻴﻦَ ﻳَﻐُﻀُّﻮﺍ ﻣِﻦْ ﺃَﺑْﺼَﺎﺭِﻫِﻢْ ﻭَﻳَﺤْﻔَﻈُﻮﺍ ﻓُﺮُﻭﺟَﻬُﻢْ ﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺯْﻛَﻰ
ﻟَﻬُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺧَﺒِﻴﺮٌ ﺑِﻤَﺎ ﻳَﺼْﻨَﻌُﻮﻥَ ‏( 30 ‏) ﻭَﻗُﻞْ ﻟِﻠْﻤُﺆْﻣِﻨَﺎﺕِ ﻳَﻐْﻀُﻀْﻦَ
ﻣِﻦْ ﺃَﺑْﺼَﺎﺭِﻫِﻦَّ ﻭَﻳَﺤْﻔَﻈْﻦَ ﻓُﺮُﻭﺟَﻬُﻦَّ ﺍﻟﺦ
“মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের
চক্ষুকে অবনত রাখে এবং তাদের
লজ্জাস্থানের হিফাযত করে। এটাই তাদের
জন্য পবিত্রতম পন্থা। তারা যা করে নিশ্চয়
আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক অবহিত। আর মুমিন
নারীদের বলুন তারা যেন তাদের
চক্ষুকে অবনত রাখে ও তাদের
লজ্জাস্থানকে হিফাযত করে।
{সূরা নূর-৩০,৩১}
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ

মদের বোতল ব্যবহার করা যাবে কি?

আসসালামু আলাইকুম,
নিম্নোক্ত প্রশ্নটির উত্তর
দানে বাধীত করিবেন।
মদের বোতল ভালভাবে পরিষ্কার
করে ধূয়ে সেই বোতলে পানি পান
করলে সেই পানি খাওয়া জায়েজ হবে কি-
না। যদি না হয় তবে কিভাবে জায়েজ
হবে ?

জবাব:
ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ
যদি ভাল করে পরিস্কার করা হয়,
এতে মদের কোন চিহ্নও
বাকি না থাকে তাহলে জায়েজ হবে।
কোন সমস্যা নেই। ইসলামের প্রথম
যুগে মূলত ৩ টি কারণে মদের
পাত্রে পানি পান করা ও
সির্কা ভিজাতে নিষেধ করা হয়েছিল।
যথা-
১-পাত্রে মদের চিহ্ন অবশিষ্ট থাকার
কারণে নিষেধ ছিল।
২-মদের পাত্রে পান অন্য কিছু পান
করার দরূন যেন মদের কথা স্বরণ
না হয়ে যায়।
২-মদের প্রতি যেন পরিপূর্ণ
ঘৃণা সৃষ্টি হয় সে কারণে এ
পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়, পরবর্তিতে যখন মদ
হারাম হওয়ার বিষয়টি সবার
জানা হয়ে যায়, এবং সাহাবাদের
মাঝে মদের প্রতি প্রচন্ড
ঘৃণা জন্মে যায়, তখন ওসব পাত্র ভাল
করে পরিস্কার করে তা দিয়ে পানি পান
ইত্যাদি নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি রহিত
হয়ে যায়। {তাকমিলা ফাতহুল
মুলহিম-৩/৩৫১}
ﻓﻰ ﺗﻜﻤﻠﺔ ﻓﺘﺢ ﺍﻟﻤﻠﻬﻢ – ﻭﻛﺎﻧﺖ ﻫﺬﻩ ﺍﻟﻈﺮﻭﻑ ﻣﺨﺘﺼﺔ ﺑﺎﻟﺨﻤﺮ،
ﻓﻠﻤﺎ ﺣﺮﻣﺖ ﺍﻟﺨﻤﺮ ﺣﺮﻡ ﺍﻟﻨﺒﻰ ﷺ ﺍﺳﺘﻌﻤﺎﻝ ﻫﺬﻩ ﺍﻟﻈﺮﻭﻑ، ﺇﻣﺎ ﻷﻥ
ﻓﻰ ﺍﺳﺘﻌﻤﺎﻟﻪ ﺗﺸﺒﻬﺎ ﺑﺸﺮﺏ ﺍﻟﺨﻤﺮ ﻭﺗﺬﻛﻴﺮﺍ ﻟﻪ، ﻭﺍﻣﺎ ﻻﻥ ﻫﺬﻩ
ﺍﻟﻈﺮﻭﻑ ﻛﺎﻧﺖ ﻓﻴﻬﺎ ﺃﺛﺮ ﺍﻟﺨﻤﺮ، ﻓﻠﻤﺎ ﻣﻀﺖ ﻣﺪﺓ ﺃﺑﺎﺡ ﺍﻟﻨﺒﻰ ﷺ
ﺍﺳﺘﻌﻤﺎﻝ ﻫﺬﻩ ﺍﻟﻈﺮﻭﻑ، ﻛﻤﺎ ﺳﻴﺄﺗﻰ ﻓﻰ ﺃﺣﺎﺩﻳﺚ ﺍﻟﺒﺎﺏ، ﻓﺈﻥ ﺃﺛﺮ
ﺍﻟﺨﻤﺮ ﺯﺍﻝ ﻋﻨﻬﺎ، ﺃﻭ ﻷﻥ ﺍﻟﺸﻴﺊ ﺣﻴﻨﻤﺎ ﻳﺤﺮﻡ ﻓﺈﻥ ﺍﻻﺋﻖ ﺣﻴﻨﺬﺍﻙ
ﺃﻥ ﻳﺒﺎﻟﻎ ﻓﻰ ﺍﻟﺘﺤﺮﻳﻢ، ﻭﻳﺸﺪﺩ ﻓﻰ ﺍﻷﻣﺮ، ﻟﻴﺘﺮﻛﻪ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﻣﺮﺓ،
ﻓﺈﺫﺍ ﺗﺮﻛﻪ ﺍﻟﻨﺎﺱ، ﻭﺍﺳﺘﻘﺮ ﺍﻷﻣﺮ ﻳﺰﻭﻝ ﺍﻟﺘﺸﺪﻳﺪ ﺑﻌﺪ ﺣﺼﻮﻝ
ﺍﻟﻤﻘﺼﻮﺩ، ‏( ﺗﻜﻤﻠﺔ ﻓﺘﺢ ﺍﻟﻤﻠﻬﻢ، ﻛﺘﺎﻝ ﺍﻷﺷﺮﺑﺔ، ﺑﺎﺏ ﺍﻟﻨﻬﻰ ﻋﻦ
ﺍﻻﻧﺒﺎﺫ ﻓﻰ ﺍﻟﻤﺰﻓﺖ ﻭﺍﻟﺪﺑﺎﺀ ﻭﺍﻟﺤﻨﺘﻢ ﻭﺍﻟﻨﻘﻴﺮ، ﻭﺑﻴﺎﻥ ﺍﻧﻪ ﻣﻨﺴﻮﺥ،
ﻭﺍﻧﻪ ﺍﻟﻴﻮﻡ ﺣﻼﻝ، ﻣﺎ ﻟﻢ ﻳﺼﺮ ﻣﺴﻜﺮﺍ، – 3/351
ﻋَﻦِ ﺍﺑْﻦِ ﺑُﺮَﻳْﺪَﺓَ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ -ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ –
ﻗَﺎﻝَ ‏« ﻧَﻬَﻴْﺘُﻜُﻢْ ﻋَﻦِ ﺍﻟﻈُّﺮُﻭﻑِ ﻭَﺇِﻥَّ ﺍﻟﻈُّﺮُﻭﻑَ – ﺃَﻭْ ﻇَﺮْﻓًﺎ – ﻻَ ﻳُﺤِﻞُّ
ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻭَﻻَ ﻳُﺤَﺮِّﻣُﻪُ ﻭَﻛُﻞُّ ﻣُﺴْﻜِﺮٍ ﺣَﺮَﺍﻡٌ
হযরত বুরাইদা রাঃ তার
পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল
সাঃ ইরশাদ করেছেন-আমি তোমাদের
কিছু পাত্রের ব্যাপারে {মদ রাখার
পাত্র} নিষেধাজ্ঞা করেছিলাম। মূলত
পাত্র কোন কিছুকে হালালও করে না,
আবার কোন কোন কিছুকে হারামও
করে না। তবে প্রতিটি মাদকদ্রব্য
হারাম। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৫৩২৬,
সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস নং-৫১৮৮,
সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৬৭,
সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১৮৬৯}
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ

অলংকার পরিধান করার জন্য মহিলাদের নাক কান ছিদ্র করা কি জায়েজ?

প্রশ্ন:
অলংকার পরিধান করার জন্য মহিলাদের
নাক কান ছিদ্র করা কি জায়েজ? দলিলসহ
জানালে উপকৃত হব।

জবাব:
ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ
মহিলাদের জন্য সৌন্দর্য
বর্ধনার্থে অলংকার পরিধান করতে নাক
কান ছিদ্র করা জায়েজ আছে।
দলিল:
ﻓﻰ ﺍﻟﺪﺭ ﺍﻟﻤﺨﺘﺎﺭ – ﻭﻻ ﺑﺄﺱ ﺑﺜﻘﺐ ﺃﺫﻥ ﺍﻟﺒﻨﺖ ﻭﺍﻟﻄﻔﻞ
ﺍﺳﺘﺤﺴﺎﻧﺎ ﻣﻠﺘﻘﻂ ﻗﻠﺖ ﻭﻫﻞ ﻳﺠﻮﺯ ﺍﻟﺨﺰﺍﻡ ﻓﻲ ﺍﻷﻧﻒ ﻟﻢ ﺃﺭﻩ
ﻭﻳﻜﺮﻩ ﻟﻠﺬﻛﺮ ﻭﺍﻷﻧﺜﻰ ﺍﻟﻜﺘﺎﺑﺔ ﺑﺎﻟﻘﻠﻢ ﺍﻟﻤﺘﺨﺬ ﻣﻦ ﺍﻟﺬﻫﺐ ﺃﻭ
ﺍﻟﻔﻀﺔ ﺃﻭ ﻣﻦ ﺩﻭﺍﺓ ﻛﺬﻟﻚ ﺳﺮﺍﺟﻴﺔ
ﻭﻓﻰ ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ- ‏( ﻗﻮﻟﻪ ﻟﻢ ﺃﺭﻩ ‏) ﻗﻠﺖ : ﺇﻥ ﻛﺎﻥ ﻣﻤﺎ ﻳﺘﺰﻳﻦ
ﺍﻟﻨﺴﺎﺀ ﺑﻪ ﻛﻤﺎ ﻫﻮ ﻓﻲ ﺑﻌﺾ ﺍﻟﺒﻼﺩ ﻓﻬﻮ ﻓﻴﻬﺎ ﻛﺜﻘﺐ ﺍﻟﻘﺮﻁ ﺍ ﻫـ
ﻁ ﻭﻗﺪ ﻧﺺ ﺍﻟﺸﺎﻓﻌﻴﺔ ﻋﻠﻰ ﺟﻮﺍﺯﻩ ‏( ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ ﺍﻟﺸﺎﻣﻴﺔ- 9/602
প্রামান্য গ্রন্থাবলী:
১. ফাতওয়ায়ে শামী-৯/৬০২
২. ফাতওয়ায়ে আলমগীরী-৫/৩৫৭
৩. আল বাহরুর রায়েক-৮-৩৮৫
৪. ফাতওয়ায়ে মাহমুদিয়া-১৯/৩৭০
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ