কুরবানী বিষয়ক জরুরী মাসায়েল !!!!!!!!
কুরবানীর দিন
কুরবানীর জন্য তিন দিন
নির্ধারিত রয়েছে। যিলহজ্ব
মাসের ১০ তারিখ ঈদের
নামাজের পর থেকে ১২
তারিখের সূর্যাস্তের আগ
পর্যন্ত, এ তিন দিনের
যে কোন দিন
কুরবানী করা যাবে। এর
আগে বা পরে কুরবানী করলে হবে না
ﻭﻗﺖ ﺍﻷﺿﺤﻴﺔ ﺛﻼﺛﺔ ﺃﻳﺎﻡ ﺍﻟﻌﺎﺷﺮ ﻭﺍﻟﺤﺎﺩﻱ
ﻋﺸﺮ ﻭﺍﻟﺜﺎﻧﻲ ﻋﺸﺮ، ﺃﻭﻟﻬﺎﺃﻓﻀﻠﻬﺎ ﻭﺁﺧﺮﻫﺎ
ﺃﺩﻭﻧﻬﺎ ، ﻭﻳﺠﻮﺯ ﻓﻲ ﻧﻬﺎﺭﻫﺎ ﻭﻟﻴﻠﻬﺎ ﺑﻌﺪ
ﻃﻠﻮﻉ ﺍﻟﻔﺠﺮ ﻣﻦ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻨﺤﺮ ﺇﻟﻰ ﻏﺮﻭﺏ
ﺍﻟﺸﻤﺲ ﻣﻦ ﺍﻟﻴﻮﻡ ﺍﻟﺜﺎﻧﻲ ﻋﺸﺮ
( ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ ﺍﻟﻬﻨﺪﻳﺔ 5 / 295 ، ﺑﺪﺍﺋﻊ ﺍﻟﺼﻨﺎﺋﻊ
ﺯﻛﺮﻳﺎ – 4 / 198 ، ﺧﺎﻧﻴﺔ )
কোন দিন কুরবানী করা উত্তম
যদিও যিলহজ্ব মাসের ১০, ১১,
এবং ১২ তারিখের যে কোন
দিন কুরবানী করলে তা সহীহ
হয়ে যাবে , কিন্তু উত্তম হল
১০ই যিলহজ্ব অর্থাৎ ঈদের দিন
কুরবানী করা।
( ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻨﺤﺮ ﺇﻟﻰ ﺁﺧﺮ ﺃﻳﺎﻣﻪ) ﻭﻫﻲ ﺛﻼﺛﺔ
ﺃﻓﻀﻠﻬﺎ ﺃﻭﻟﻬﺎ . ﺛﻢ ﺍﻟﺜﺎﻧﻲ ﺛﻢ ﺍﻟﺜﺎﻟﺚ ﻛﻤﺎ ﻓﻲ
ﺍﻟﻘﻬﺴﺘﺎﻧﻲ ﻋﻦ ﺍﻟﺴﺮﺍﺟﻴﺔ
( ﺍﻟﺪﺭ ﺍﻟﻤﺨﺘﺎﺭ ﻣﻊ ﺍﻟﺸﺎﻣﻲ ﺯﻛﺮﻳﺎ – 9 / 458 ،
ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ ﺍﻟﺘﺎﺗﺎﺭ ﺧﺎﻧﻴﺔ – 1 / 416 ، ﺍﻟﺒﺤﺮ
ﺍﻟﺮﺍﺋﻖ 9 / 322 )
সুতরাং কোন
সমস্যা ছাড়া বিলম্ব করা ঠিক
নয়।
সম্পদশালী ব্যক্তি যদি কুরবানীর
দিনের পূর্বে গরীব হয়ে যায়
নেসাব পরিমান সম্পদের
মালিক এমন
ব্যক্তি যদি কুরবানীর
নিয়তে পশু ক্রয় করে অতঃপর
কুরবানীর দিন আসার আগেই
তা হারিয়ে যায়
বা মারা যায়। আর ঐ ব্যক্তিও
কোন বিপর্যয়ের
কারণে নেসাব শূন্য হয়ে যায়।
তাহলে তার উপর কুরবানীর
আরেক্ টি পশু ক্রয় করা আবশ্যক
নয়। কেননা সময় হওয়ার পূর্বেই
সে গরীব হয়ে গেছে।
ﻭﻟﻮ ﺍﺷﺘﺮﻯ ﺍﻟﻤﻮﺳﺮ ﺷﺎﺓ ﻟﻸﺿﺤﻴﺔ
ﻓﻀﺎﻋﺖ ﺣﺘﻰ ﺍﻧﺘﻘﺺ ﻧﺼﺎﺑﻪ ﻭﺻﺎﺭ ﻓﻘﻴﺮﺍ
ﻓﺠﺎﺀﺕ ﺃﻳﺎﻡ ﺍﻟﻨﺤﺮ ﻓﻠﻴﺲ ﻋﻠﻴﻪ ﺃﻥ ﻳﺸﺘﺮﻱ
ﺷﺎﺓ ﺃﺧﺮﻯ ،( ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ ﺍﻟﻬﻨﺪﻳﺔ – 5 / 337 )
কুরবানীর দিনে কেউ
যদি ধনী হয়ে যায়
কুরবানীর দিন আসার
পূর্বে কোন ব্যক্তি গরীব ছিল ,
তার কাছে নেসাব পরিমান
সম্পদ ছিল না। কিন্তু
কুরবানীর তিন দিনের
যে কোন দিন যদি নেসাব
পরিমান সম্পদের মালিক
হয়ে যায়। এমনকি শেষ সময়েও
যদি সম্পদশালী হয়। তাহলেও
তার উপর কুরবানী ওয়াজিব
হবে।
ﻭﻻ ﻳﺸﺘﺮﻁ ﺃﻥ ﻳﻜﻮﻥ ﻏﻨﻴﺎ ﻓﻲ ﺟﻤﻴﻊ
ﺍﻟﻮﻗﺖ ﺣﺘﻰ ﻟﻮ ﻛﺎﻥ ﻓﻘﻴﺮﺍ ﻓﻲ ﺃﻭﻝ
ﺍﻟﻮﻗﺖ ، ﺛﻢ ﺃﻳﺴﺮ ﻓﻲ ﺁﺧﺮﻩ ﺗﺠﺐ ﻋﻠﻴﻪ ،
( ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ ﺍﻟﻬﻨﺪﻳﺔ – 5 / 337 )
ﻭﻋﻠﻴﻪ ﻳﺘﺨﺮﺝ ﻣﺎ ﺇﺫﺍ ﺻﺎﺭ ﺃﻫﻼ ﻟﻠﻮﺟﻮﺏ
ﻓﻲ ﺁﺧﺮﻩ ، ﺑﺄﻥ ﺃﺳﻠﻢ ﺃﻭ ﺃﻋﺘﻖ ﺃﻭ ﺃﻳﺴﺮ ﺃﻭ
ﺃﻗﺎﻡ ﺗﻠﺰﻣﻪ ( ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ – 9 / 458 )
কুরবানী করার পর যদি গরীব
ব্যক্তি ধনী হয়ে যায়
কোন গরীব
ব্যক্তি যদি নিজেই কোন
ব্যবস্থা করে কুরবানী দিয়ে ফেলে,
অতপরঃ কুরবানীর তৃতীয় দিন
সম্পদশালী হয়ে যায় ,
তাহলে তাকে দ্বিতীয়বার
কুরবানী করতে হবে। আর
প্রথমটি নফল কুরবানী হবে।
ﻭﻟﻮ ﺿﺤﻰ ﺍﻟﻔﻘﻴﺮ ﺛﻢ ﺃﻳﺴﺮ ﻓﻲ ﺁﺧﺮﻩ ﻋﻠﻴﻪ
ﺍﻹﻋﺎﺩﺓ ﻓﻲ ﺍﻟﺼﺤﻴﺢ ﻷﻧﻪ ﺗﺒﻴﻦ ﺃﻥ ﺍﻷﻭﻟﻰ
ﺗﻄﻮﻉ ﺑﺪﺍﺋﻊ ﻣﻠﺨﺼﺎ ( ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ – 9 / 458 )
ধনী ব্যক্তির কুরবানীর পশু
হারিয়ে গেলে
যার উপর কুরবানী ওয়াজিব
এমন ব্যক্তি পশু ক্রয় করার পর
তা হারিয়ে বামারাগেলে ,
তার উপর আরেকটি পশু
কুরবানী করা আবশ্যক
ﺃﻥ ﺍﻟﻤﻨﺬﻭﺭﺓ ﻟﻮ ﻫﻠﻜﺖ ﺃﻭ ﺿﺎﻋﺖ ﺗﺴﻘﻂ
ﺍﻟﺘﻀﺤﻴﺔ ﺑﺴﺒﺐ ﺍﻟﻨﺬﺭ ، ﻏﻴﺮ ﺃﻧﻪ ﺇﻥ ﻛﺎﻥ
ﻣﻮﺳﺮﺍ ﺗﻠﺰﻣﻪ ﺃﺧﺮﻯ ﺑﺈﻳﺠﺎﺏ ﺍﻟﺸﺮﻉ ﺍﺑﺘﺪﺍﺀ
( ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ – 9 / 471 ، ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ
ﺍﻟﻬﻨﺪﻳﺔ – 5 / 339 )
ﻭﻛﺬﺍ ﻟﻮ ﻣﺎﺗﺖ ﻓﻌﻠﻰ ﺍﻟﻐﻨﻲ ﻏﻴﺮﻫﺎ ﻻ ﺍﻟﻔﻘﻴﺮ
( ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ – 9 / 394 )
১ . ধনী ব্যক্তির কুরবানির পশুর
বাচ্চার বিধান।
ধনী ব্যক্তি কুরবানির
নিয়তে পশু ক্রয় করার পর
কুরবানি করার আগেই যদি ঐ
পশুর গর্ভ থেকে বাচ্চা ভূমিষ্ট
হয়, তাহলে ঐ
বাচ্চা কুরবানি করা আবশ্যক
নয়। বরং ধনী ব্যক্তি ঐ
বাচ্চা জীবিত অবস্থায়ও
সদকা করতে পারবে।
তবে জবাই করলে তাও
জায়েজ হয়ে যাবে।
ﻓﻲ ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ ﺍﻟﻬﻨﺪﻳﺔ :( ﺝ 5 ﺹ 301) ﺃﻣﺎ ﻓﻲ
ﺍﻟﻤﻮﺳﺮ ﻓﻼ ﻳﻠﺰﻣﻪ ﺫﺑﺢ ﺍﻟﻮﻟﺪ ﻳﻮﻡ
ﺍﻷﺿﺤﻰ ، ﻓﺈﻥ ﺫﺑﺢ ﺍﻟﻮﻟﺪ ﻳﻮﻡ ﺍﻷﺿﺤﻰ
ﻗﺒﻞ ﺍﻷﻡ ﺃﻭ ﺑﻌﺪﻫﺎ ﺟﺎﺯ ، ﻭﻟﻮ ﻟﻢ ﻳﺬﺑﺤﻪ
ﻭﺗﺼﺪﻕ ﺑﻪ ﺣﻴﺎ ﺟﺎﺯ ﻓﻲ ﺃﻳﺎﻡ ﺍﻷﺿﺎﺣﻲ
দলীলঃ ফাতাওয়া আলমগীরি , – ৫ / ৩০১ ,
ফাতাওয়া শামী, – ৯ / ৪৬৭ ,
বাযযাযিয়াহ, – ৬ / ২৯৪
২ . ধনী ব্যক্তি কুরবানির পশু
পরিবর্তন করতে পারবে।
ধনী ব্যক্তি কুরবানির
নিয়তে একটি পশু ক্রয় করার পর
সেটা জবাই না করে , অন্য পশুর
দ্বারাও
কুরবানি করতে পারবে।
কেননা ধনী ব্যক্তি কুরবানির
পশু নির্ধারণ করার
দ্বারা সেটাই আবশ্যক
হয়ে যায় না।
সুতরাং তা পরিবর্তন
করতে পারবে।
ﻓﻲ ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ ﺍﻟﻬﻨﺪﻳﺔ :( ﺝ 5 ﺹ 291) ﻭﺃﻣﺎ
ﺍﻟﺬﻱ ﻳﺠﺐ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻔﻘﻴﺮ ﺩﻭﻥ ﺍﻟﻐﻨﻲ
ﻓﺎﻟﻤﺸﺘﺮﻯ ﻟﻸﺿﺤﻴﺔ ﺇﺫﺍ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻤﺸﺘﺮﻱ
ﻓﻘﻴﺮﺍ ، ﺑﺄﻥ ﺍﺷﺘﺮﻯ ﻓﻘﻴﺮ ﺷﺎﺓ ﻳﻨﻮﻱ ﺃﻥ
ﻳﻀﺤﻲ ﺑﻬﺎ ، ﻭﺇﻥ ﻛﺎﻥ ﻏﻨﻴﺎ ﻻ ﺗﺠﺐ ﻋﻠﻴﻪ
ﺑﺸﺮﺍﺀ ﺷﻲﺀ
দলীলঃ ফাতাওয়া আলমগীরি , – ৫ / ২৯১ ,
ফাতাওয়া তাতারখানিয়া,- ১৭ / ৪১১ ,
আল বাহরুর রায়েক, – ৯ / ৩২০
৩ . গরীবের উপর কুরবানি কখন
আবশ্যক হয়।
গরীব ব্যক্তি যদি কুরবানির
নিয়তে কোন পশু ক্রয়
করে তাহলে এই ক্রয় করার
দ্বারাই তার উপর
সুনির্দিষ্টভাবে ঐ পশু
কুরবানি করা আবশ্যক
হয়ে যায়। তা পরিবর্তন
করা যাবে না।
ﻓﻲ ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ :(ﺝ 9 ﺹ 471) ﻭﺇﻥ ﻓﻘﻴﺮﺍ
ﺃﺟﺰﺃﻩ ﺫﻟﻚ ) ﻷﻧﻬﺎ ﺇﻧﻤﺎ ﺗﻌﻴﻨﺖ ﺑﺎﻟﺸﺮﺍﺀ ﻓﻲ
ﺣﻘﻪ
দলীলঃ ফাতাওয়া শামী – ৯ / ৪৭১ ,
ﻓﻲ ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ ﺍﻟﻬﻨﺪﻳﺔ :(ﺝ 5 ﺹ 291) ﻫﻞ
ﺗﺼﻴﺮ ﺍﻷﺿﺤﻴﺔ ﻭﺍﺟﺒﺔ ﺑﺎﻟﺸﺮﺍﺀ ﺑﻨﻴﺔ
ﺍﻷﺿﺤﻴﺔ……… ﺍﻥ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻤﺸﺘﺮﻯ ﻓﻘﻴﺮﺍ … .
ﺗﺼﻴﺮ ﻭﺍﺟﺒﺔ
ফাতাওয়া আলমগীরি ,- ৫ / ২৯১
৪ . গরীবের ক্রয়কৃত কুরবানরি পশু
হারিয়ে গেলে তার হুকুম।
যার উপর কুরবানি ওয়াজিব নয়
এমন ব্যক্তি কুরবানির
নিয়তে পশু ক্রয় করার পর
যদি তা হারিয়ে যায়
তাহলে আরেকটি ক্রয়
করা আবশ্যক নয়।
ﻓﻲ ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ ﺍﻟﺘﺎﺗﺎﺭ ﺧﺎﻧﻴﺔ :( ﺝ 17 ﺹ 413)
ﻭﻟﻮ ﺍﺷﺘﺮﻯ ﺷﺎﺓ ﻟﻸﺿﺤﻴﺔ ﻭﻫﻮ
ﻣﻌﺴﺮ… . . ﺛﻢ ﺿﻠﺖ ﻓﻼ ﺷﻴﺊ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﻻ
ﻳﺠﺐ ﻋﻠﻴﻪ ﺷﻴﺊ ﺁﺧﺮ
দলীলঃ ফাতাওয়া তাতারখানিয়া,- ১৭ / ৪১৩ ,
বাদাইয়ুস সানায়ে ,- ৪ / ২০০
৫ . গরীবের কুরবানির পশু
মারা গেলে করণীয়।
গরীব ব্যক্তি কুরবানির
নিয়তে পশু ক্রয় করার পর
যদি পশুটি মারা যায় ,
তাহলে আরেকটি ক্রয়
করে কুরবানি করা আবশ্যক নয়।
আর ধনী ব্যক্তির কুরবানির পশু
মারা গেলে তার উপর
আরেকটি ক্রয়
করে কুরবানি করা আবশ্যক।
ﻓﻲ ﺭﺩﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ :(ﺝ 9 ﺹ 471) ﻭﻛﺬﺍ ﻟﻮﻣﺎﺗﺖ
ﻓﻌﻠﻰ ﺍﻟﻐﻨﻲ ﻏﻴﺮﻫﺎ ﻻ ﺍﻟﻔﻘﻴﺮ
দলীলঃ ফাতাওয়া শামী, – ৯ / ৪৭১ ,
ফাতাওয়া আলমগীরি ,- ৫ / ২৯৯