জুমআতুল বিদা নামে আলাদা কোন দিনের ফযীলত আছে কি ???

প্রশ্ন

জুমআতুল বিদা বলতে শরীয়তসম্মত কিছু কিআছে?হাদীস ও আছারের দলিল এবং এর তাহকীকদিয়ে উত্তর দিলে কৃতজ্ঞ থাকবো।

image

উত্তর
بسم الله الرحمن الرحي

রমজান মাস অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ মাস । এই মাসের শেষ দশকের গুরুত্ব আরো বেশী। শুক্রবার হিসেবে সেই দিনের গুরুত্ব আরো বেড়ে যায় । সব মিলে রমজানের এই শেষ জুমুআর দিনটি খ্বুই তাৎপর্যপূর্ণ। এর চেয়ে বেশী ফযিলত কুরআন –হাদীস সমর্থিতনয়। সুতরাং এ দিনকে কেন্দ্র করে নতুন কোন রুসম-রেওয়াজ বা বাঙতি ফযিলত সাব্যস্ত  করা ঠিক নয়হাদীসে রমজানের শেষ দশক ও শুধু শুক্রবারের ব্যাপারে বর্ণিত ফযীলত নিম্নরূপ–  عن أبي هريرة، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «خير يوم طلعت فيه الشمسيوم الجمعة، فيه خلق آدم، وفيه أهبط، وفيه تيب عليه، وفيه مات، وفيه تقوم الساعة، وما من دابة إلا وهي مسيخة يوم الجمعة، من حين تصبح حتى تطلع الشمس شفقا من الساعة، إلا الجن والإنس، وفيه ساعة لا يصادفها عبد مسلم وهو [ص:275] يصلي يسأل الله حاجة، إلاأعطاه إياها»،অর্থঃ হযরত আবু হুরায়রা রা হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে সকল দিবসে সূর্য উদিতহয় তার মাঝে উত্তম দিবস হচ্ছে জুমা’,সে দিন আদম আ কে সৃষ্টি করা হয়েছে । (সুনানে আবু দাউদ -১০৪৬ ,১/১৪৯-১৫০)عن أوس بن أوس، قال: قال رسول الله صلى اللهعليه وسلم: «إن من أفضل أيامكم يوم الجمعة، فيه خلق آدم، وفيه قبض، وفيه النفخة، وفيه الصعقة، فأكثروا علي من الصلاة فيه، فإن صلاتكم معروضة علي» قال: قالوا: يا رسول الله، وكيف تعرض صلاتنا عليك وقد أرمت – يقولون: بليت -؟ فقال: «إن الله عز وجل حرم على الأرض أجساد الأنبياء»অর্থঃ হযরত আউস বিন আউস হতে বর্ণিত , রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, নিশ্চয়ই তোমাদের দিবস সমূহের মাঝে উত্তম দিবস জমা’র দিন । সে দিন আদম আ কে সৃষ্টি করা হয়েছে ।(সুনানে আবু দাউদ -১০৪৭,১/১৫০)عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «إِذَا جَاءَ رَمَضَانُ فُتِّحَتْ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ، وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ النَّارِ، وَصُفِّدَتِ الشَّيَاطِينُ»অর্থঃ হযরত আবু হুরায়রা রা হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,যখন রমজান আসে তখন জান্নাতের দরজাসমুহ খুলে দেয়া হয়। ও জাহান্নামের দরজা সমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং শয়তান দের বেঁধে রাখা হয় ।(মুসলিম ১/৩৪৬, হাদীস নং ১০৭৯ )، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يُبَشِّرُ أَصْحَابَهُ: «قَدْ جَاءَكُمْ رَمَضَانُ، شَهْرٌ مُبَارَكٌ، افْتُرِضَ عَلَيْكُمْ صِيَامُهُ، تُفْتَحُ فِيهِ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ، أَوْ تُغْلَقُ فِيهِ أَبْوَابُ الْجَحِيمِ، وَتُغَلُّ فِيهِ الشَّيَاطِينُ، فِيهِ لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ شَهْرٍ مَنْ حُرِمَ خَيْرَهَا فَقَدْ حُرِمَ»অর্থঃহযরত আবু হুরায়রা রা হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,যখন তোমাদের মাঝে রমজান আসে, যা অত্যান্ত মুবারক মাস। তখন তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়। জান্নাতের দরজাসমুহ খুলে দেয়া হয়। ও জাহান্নামের দরজা সমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং শয়তান দের আটকে রাখা হয় । এ মাসের মাঝে রয়েছে লাইলাতুল কদর যা হাজার রাত হতে উত্তম ,যে এর কল্যাণ থেকেবঞ্চিত হলো সে পুরই বঞ্চিত হলো।মুছান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৮৮৬৭عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «تَحَرَّوْا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْعَشْرِ الْأَوَاخِرِ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ»অর্থঃ হযরত আয়শা রা হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন,তোমরা রমজানের শেষ দশকেলাইলাতুল কদর তালাশ কর।মুছান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৮৬৬০
والله اعلم بالصواب

উত্তর লিখনে

লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।ইমেইল- ahlehaqmedia2014@gmail.comlutforfarazi@yahoo.com

Leave a comment