ওরাল সেক্সের হুকুম কী ???

প্রশ্ন

Assalamualaikum,
I want to know that oral sex is right or
wrong in islam.

উত্তর
ﻭﻋﻠﻴﻜﻢ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻭﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺑﺮﻛﺎﺗﻪ
ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ

স্বামী বা স্ত্রী পরস্পর যৌনাঙ্গে মুখ
দেয়া নোংরামী এবং পশুত্বের
নিদর্শন। এমনটি করা মাকরুহে
তাহরীমী। [ফাতওয়ায়ে
মাহমুদিয়া-২৯/১৪২}
ﻓﻰ ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ ﺍﻟﻬﻨﺪﻳﺔ – ﺇﺫﺍ ﺃﺩﺧﻞ ﺍﻟﺮﺟﻞ ﺫﻛﺮﻩ ﻓﻲ ﻓﻢ ﺍﻣﺮﺃﺗﻪ ﻗﺪ
ﻗﻴﻞ ﻳﻜﺮﻩ ، ‏(ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ ﺍﻟﻬﻨﺪﻳﺔ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻜﺮﺍﻫﻴﺔ، ﺍﻟﺒﺎﺏ ﺍﻟﺜﻼﺛﻮﻥ ﻓﻰ
ﺍﻟﻤﺘﻔﺮﻗﺎﺕ – 5/372
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ

উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক -তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট
এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
ইমেইল- ahlehaqmedia2014@gmail.com
lutforfarazi@yahoo.com

হাদীসের বই দেখে নিজে নিজে হাদীসের হুকুম আরোপ করে দেয়া যাবে কি ???

প্রশ্ন

আসসালামু আলাইকুম,
বুলুগুল মারামে দেখলাম বিভিন্ন যইফ হাদীস আনা হয়েছে। অবশ্য কিছু হাদীসের শাহেদ হাদীস রয়েছে। কিন্তু যেগুলোর ব্যাপারে শাহেদ হাদীস নেই বরং টীকাতে আরো দলিল দেখিয়ে ” যইফ ” সাব্যস্ত করা হয়েছে সে সকল
হাদীসের ক্ষেত্রে কি করবো? সেগুলোর উপরে আমল করব নাকি করবো না? আবার অনেক যইফ হাদীস নিয়ে মতভেদ হয়েছে কেউ বলছে সহীহ
আবার কেউ যইফ। কোনটা গ্রহণ করব ???

উত্তর

ﻭﻋﻠﻴﻜﻢ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻭﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺑﺮﻛﺎﺗﻪ
ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ
ডাক্তারী বই পড়ে ডাক্তারী করার অধিকার যেমন সবার নেই। তেমনি হাদীসের বই পড়ে
হুকুম আরোপ করে দেয়ার অধিকারও সবার নেই। ডাক্তারী বই পড়ে বিধান আরোপ করার ক্ষমতা যেমন কেবলি বিজ্ঞ ডাক্তারের। কোন হাতুড়ি
ডাক্তার বা সাধারণ ব্যক্তি ডাক্তারী বইয়ের আলোকে চিকিৎসা শুরু করে দিলে যেমন রুগীর মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাবে। তেমনি বিধান সম্বলিত আয়াত ও হাদীস দেখেই অনভিজ্ঞ গায়রে আলেম ও গায়রে মুহাদ্দিসরা হুকুম আরোপ করতে থাকলে পুরো দ্বীনটাই মৃতপ্রায় হয়ে যাবে। তাই যার কাছে তাকেই করতে দেয়া উচিত। কোন হাদীস গ্রহণ করবেন? কোন হাদীস বর্জন করবেন? এটি হাদীস সম্পর্কে বিজ্ঞ ও প্রাজ্ঞ মুহাদ্দিসদের কাছ থেকে জেনে নিন। একজন মুহাদ্দিসের সহীহ জঈফ বলা দেখেই হুকুম করে দেয়া এক বই পড়েই ডাক্তারী করে ফেলার মত আহমকী হবে। তাই এক্ষেত্রে আমভাবে শুধু বুলুগুল মারাম নয়, যে কোন হাদীস গ্রন্থের ক্ষেত্রেই বিজ্ঞ ব্যক্তিদের পরামর্শ ও দিক
নির্দেশনা বিধান সম্বলিত হাদীসের হুকুম
বলে দেয়া যাবে না। বরং উক্ত হাদীসটি
বিষয়ে বিজ্ঞ ব্যক্তির শরণাপন্ন হতে হবে। সে হাদীসটির সনদ দেখতে হবে। মুহাদ্দিসীনে
কেরামের কালাম দেখতে হবে। কারা কারা এ
হাদীসকে গ্রহণযোগ্য বলেছেন? কারা এটিকে
অগ্রণযোগ্য বলেছেন? এবং কেন বলেছেন? সব কিছু পর্যালোনার পর সেই হাদীসটির
ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে।
আমভাবে সহীহ জঈফ দেখে অন্তত বিধান
সম্বলিত হাদীসকে আমল করা ও বর্জন করা
সাধারণ শিক্ষিত ব্যক্তির এক ডাক্তারী বই
দেখে চিকিৎসা শুরু করে দেয়ার মতই বিপদজনক ও ভয়ানক।
তাই এক্ষেত্রে বিজ্ঞ আলেমদের শরণাপন্ন না হয়ে আমভাবে কোন হুকুম আরোপ করা যাবে না।
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ

উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক -তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড
রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

আল্লাহ তাআলাকে খোদা বলে ডাকা জায়েজ নয় ???

প্রশ্ন

কিছু ভাই বলেন যে, আমরা যে আল্লাহ
তাআলাকে খোদা বলে ডাকি, তা নাকি
জায়েজ নয়। এ ব্যাপারে আপনাদের মতামত জানতে চাচ্ছি।

উত্তর
ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ

আল্লাহ তাআলাকে অন্য ভাষায় এমন শব্দে ডাকা জায়েজ, যে শব্দে আর কাউকে ডাকা হয় না। সেই সাথে এটা অন্য কোন ধর্মের ধর্মীয় কোন নাম নয়। (আল ইয়াওয়াক্বীত ওয়াল
জাওয়াহীর-৭৮, ফাতওয়া আলমগীরী-৬/৪৪৬}
এ মূলনীতির আলোকে খোদা শব্দটি আল্লাহ
তাআলার নাম হিসেবে বাংলা, উর্দু,
হিন্দিতে অনুবাদ হিসেবে বলাতে কোন
সমস্যা নেই। কারণ খোদা শব্দটি ইসলাম ধর্ম
ছাড়া অন্য কোন ধর্মের কোন ধর্মীয় শব্দ নয়। সেই সাথে এর দ্বারা আমরা কেবল
আল্লাহকেই বুঝে থাকি। অন্য কোন সত্বাকে
বুঝি না। পক্ষান্তরে বিষ্ণু অর্থ রব, এবং
ব্রাহ্মণ অর্থ সৃষ্টিকর্তা হলেও এটা ইসলামি
কোন শব্দ নয়। সেই সাথে এ শব্দ দু’টি
হিন্দুদের ধর্মীয় প্রতিক। তাই এ শব্দে
আল্লাহকে ডাকা জায়েজ নয়। পক্ষান্তরে
খোদা শব্দটি। এটা নিরেট ইসলামি শব্দ। এর দ্বারা অন্য কোন ধর্মকে বুঝায় না। বুঝায় না আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন সত্বাকেও। তাই খোদা বলে আল্লাহকে বুঝাতে কোন সমস্যা নেই।
প্রথম দলিল ও তার খন্ডন
যারা খোদা বলা না জায়েজ বলে থাকেন
তাদের দলিল হল-আল্লাহ আরবী শব্দ, তাই
একে বাংলা উর্দুতে অনুবাদ করে খোদা বলা জায়েজ হবে না।
এর জবাব হল-যদি আরবী আল্লাহ শব্দকে অনুবাদ করে খোদা বলা না জায়েজ হয়, তাহলে আরবী সালাত শব্দকে বাংলা উর্দু- ফার্সিতে নামায বলা কিভাবে জায়েজ?
আরবী সওম শব্দকে বাংলা উর্দতে রোযা বলা জায়েজ কিভাবে?
যদি এসব জায়েজ হয়, তাহলে আল্লাহ শব্দের অনুবাদ খোদা বলাও জায়েজ।
দ্বিতীয় দলিল ও তার খন্ডন
তাদের আরেকটি দলিল হল-আল্লাহ শব্দের কোন বহুবচন নেই। নেই আল্লাহ সত্বারও কোন
বহুবচন। অথচ খোদা শব্দটির বহুবচন হল
খোদাওন্দ। তাই খোদা বলার মাধ্যমে আল্লাহ
তাআলাকে বহুবচন সাব্যস্ত করা হচ্ছে, তাই আল্লাহ শব্দের অনুবাদ খোদা শব্দ দিয়ে করা জায়েজ নয়।
এ যুক্তিটিও একটি অগ্রহণীয় যুক্তি। কারণ যদি
তাই হয়, তাহলে রব শব্দ দিয়ে আল্লাহকে
ডাকা জায়েজ হবে না। কারণ “রব” শব্দের বহুবচন“আরবাব” আছে। আল্লাহ তাআলাকে রহীম শব্দেও ডাকা জায়েজ হবে না, কারণ রহীম শব্দের বহুবচন “রুহামা” আছে, তেমনি আল্লাহ তাআলাকে ইলাহ ডাকাও জায়েজ হবে
না, কারণ “ইলাহ” এর বহুবচন“আলিহাহ” আছে।
এসব কথা বলা যেমন বোকামীসূলভ বক্তব্য হবে
তেমনি খোদা শব্দের বহুবচন খোদাওয়ান্দ হওয়ায়, তা আল্লাহ শব্দের অনুবাদ হিসেবে
হারাম হওয়ার ফাতওয়া দেয়াও বোকামী বৈ
কিছু নয়।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সত্য সত্য হিসেবে
বুঝার, ও মিথ্যাকে মিথ্যা হিসেবে বুঝার
তৌফিক দান করুন। আমীন।
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ

উত্তর লিখনে

লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক -তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড
রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

“দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ” আর “মন ভাঙ্গা মসজিদ ভাঙ্গার সমান” বক্তব্য দু’টি কি হাদীস ???

প্রশ্ন :

নিচের দুইটি কথা প্রায়ই শোনা যায় ।

১. দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ
২. মন ভাঙ্গা আর মসজিদ ভাঙ্গা সমান
এই দুইটি কথার কোন ভিত্তি বা দলিল আছে কি?

জবাব:
ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ

দেশ প্রেম ঈমানের অঙ্গ কথাটি হাদীস নয়
জন্মভূমির মোহাব্বত, জন্মভূমির প্রতি মনের টান, হৃদয়ের আকর্ষণ মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। একটি মহৎগুণ। অন্তরে জন্মভূমির প্রতি ভালবাসা, মায়া মোহাব্বত, তার দিকে আগ্রহ থাকা ঈমান পরিপন্থী কিছু নয়। কিন্তু ঈমান ও
দেশের প্রশ্নে ঈমানকেই প্রাধান্য দিতে হবে। তবে দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ কথাটি রাসূল সাঃ এর হাদীস নয়। এটি হয়তো কোন মনীষীর উক্তি। দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ কথাটিকে আল্লামা
হাসান বিন মুহাম্মদ সাগানী রহঃ জাল
হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। {রিজালাতুল
মাওযুয়াত-৭)
মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ এ সম্পর্কে বলেন-
ﻻ ﺍﺻﻞ ﻟﻪ ﻋﻨﺪ ﺍﻟﺤﻔﺎﻅ
হাফেযে হাদীস মুহাদ্দিসীনদের নিকট এর
কোন ভিত্তি নেই। {আল মাসনু’-৯১}

আরো দ্রষ্টব্যঃ
আল মাকাসিদুল হাসানা-২১৮
তাযকিরাতুল মাওযুয়াত-১১
আদ্দুরারুল মুনতাসিয়া-১১০
মিরকাতুল মাফাতীহ-৪/৫
আল মাওযূয়াতুল কুবরা-৬১
আল লুউলুউল মারসু-৩৩
প্রচলিত জাল হাদীস-১৪৩-১৪৪

মন ভাঙ্গা আর মসজিদ ভাঙ্গা সমান কথাটি
হাদীসের কিতাবে নেই
মানুষকে কষ্ট দেয়া গোনাহের কাজ। এটি খুবই
গর্হিত কাজ। অন্যায়ভাবে কাউকে কষ্ট দিলে
এর শাস্তি আখেরাতে হবে। “কিন্তু মন ভাঙ্গা
মসজিদ ভাঙ্গা সমান অপরাধ” এ কথাটি
হাদীসের কিতাবে আমাদের তাহকীক
অনুযায়ী পাওয়া যায়নি। তাই রেফারেন্স
ছাড়া এটাকে হাদীস বলাটা উচিত হবে না।
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ

উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক -তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড
রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

মৃত স্বামীর বীর্য সংগ্রহ করে গর্ভবতী হলে উক্ত সন্তানের পিতৃত্বের নিসবত ও কর্মটির হুকুম কী ?????

প্রশ্ন

সালাম। মুফতী সাহেব!
এক মহিলার স্বামী ইন্তেকাল করেছে। তারপর উক্ত মহিলা তার স্বামী থেকে সন্তানবতী হবার তীব্র ইচ্ছে থাকায় সে তার মৃত স্বামী থেকে বীর্য সংগ্রহ করেছে। তারপর সেটিকে তার জরায়ুতে ডাক্তারদের মাধ্যমে প্রেরণ করে গর্ভবতী হয়েছে। এভাবে সে সন্তানও জন্ম দিয়েছে টেষ্টটিউব পদ্ধতিতে।
এখন প্রশ্ন উক্ত কর্মটি শরীয়তের দৃষ্টিতে বৈধ হয়েছে কি না?
দ্বিতীয়তা উক্ত সন্তানটির পিতা মৃত
পুরুষটিকে বলা যাবে কি না?

উত্তর

ﻭﻋﻠﻴﻜﻢ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻭﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺑﺮﻛﺎﺗﻪ
ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ
ইসলামী শরীয়তে মৃত্যু ও ঐ সকল কারণগুলোর
অন্তর্ভূক্ত যদ্বারা স্বামী স্ত্রীর মাঝের
সম্পর্ক শেষ কর্তিত হয়ে যায়। তাই যখনি
পুরুষটি ইন্তেকাল করেছে, তখনি উক্ত মহিলা এক হিসেবে পুরুষটির স্ত্রী হওয়া থেকে
বেরিয়ে গেছে। এখন তারা একে অপরের জন্য অপরিচিত ব্যক্তির মতই। এজন্য স্বামী তার মৃত স্ত্রীর গোসল দিতে পারে না। সেই সাথে একে অন্যের লুকায়িত অঙ্গ দেখাও জায়েজ নয়।
হারাম। তাই এখন উক্ত পুরুষটির বীর্যের
মাধ্যমে কোন ফায়দা নেয়া মানে হল বেগানা
কোন পুরুষের বীর্য দ্বারা ফায়দা নেয়া। আর
একাজটি নাজায়েজ ও গোনাহ হবার মাঝেতো কোন সন্দেহই নেই।
তাছাড়া এটি সন্তান ধারণের স্বাভাবিক
পদ্ধতির খেলাফ। তাই এটি এমনিতেই
অপছন্দনীয় বিষয়।
দ্বিতীয় অংশ
শিশুর নসব ঐ ব্যক্তির সাথে প্রমাণিত হয়, যার সাথে শিশুটির মা একই বিছানায় থাকেন। যখন
মৃত্যুর মাধ্যমে স্বামী ও স্ত্রীর বন্ধন শেষ হয়ে
গেল। তখন মৃত স্বামীর জন্য স্ত্রীটি আর
“ফিরাশ” তথা সয্যাসঙ্গী আর বাকি নেই।
তাই একথাতো পরিস্কার যে, উক্ত মহিলার গর্ভ
থেকে প্রসব হওয়া সন্তানের নসবও ঐ মৃত
ব্যক্তি থেকে প্রমাণিত হবে না। যেমন জিনার
দ্বারা কারো নসব প্রমাণিত হয় না। যদিও
উভয় স্থানে বীর্যধারী পুরুষটিকে শনাক্ত
করাও যায়। নতুবাতো তারা উক্ত পুরুষ থেকে
মিরাস পাবারও হকদার হয়ে যেতো।
সুতরাং বুঝা গেল যে, এর দ্বারা উক্ত মৃত
পুরুষটি পিতা বলে স্বীকৃতি পাবে না।
ﻋﻦ ﺍﺑﻰ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺽ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ
ﻭﺳﻠﻢ ﺍﻟﻮﻟﺪ ﻟﻠﻔﺮﺍﺵ ﻭﻟﻠﻌﺎﻫﺮ ﺍﻟﺤﺠﺮ ‏(ﺍﻟﺠﺎﻣﻊ ﻟﻠﻤﺮﻣﺬﻯ، ﺭﻗﻢ
ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ 1157- )
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক -তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড
রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।