কোন বিধর্মীকে সালাম দেয়ার হুকুম কি?

প্রশ্ন

কোন বিধর্মীকে সালাম দেয়ার হুকুম কি?

উত্তর
কোন গায়রে মুসলিমকে সালাম
দেয়া জায়েজ নয়। তবে তারা যদি সালাম
দিয়ে দেয়।
তাহলে জবাবে বলবে ওয়াআলাইকুম।
ﻋﻦ ﺍﻧﺲ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ
ﻭﺳﻠﻢ : ﺍﺫﺍ ﺳﻠﻢ ﻋﻠﻴﻜﻢ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﻜﺘﺎﺏ ﻓﻘﻮﻟﻮﺍ : ﻭﻋﻠﻴﻜﻢ ‏(ﻣﺘﻔﻖ
ﻋﻠﻴﻪ )

ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ

প্রশ্ন::যদি কোনো মহিলার স্বামী মারা যায় সেই মহিলার কি নাকের পাথর (স্বর্ণের অলংকার) হাতের বালা পড়তে পারবে।

স্বামী মারা যায় সেই মহিলার কি নাকের
পাথর (স্বর্ণের অলংকার) হাতের
বালা পড়তে পারবে।

উত্তর
ﻭﻋﻠﻴﻜﻢ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻭﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺑﺮﻛﺎﺗﻪ
ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ
স্বামীর মৃত্যুর পর ইদ্দত শেষ হবার আগ পর্যন্ত
কোন প্রকার সাজগুজ বা অলংকার পরিধান
করা জায়েজ নয়।তাই চুড়ি, চেইন
ইত্যাদি কোন কিছুই পড়া যাবে না।
ইদ্দত শেষ হবার পর জায়েজ সব ধরণের
অংলংকার পরিধান করা ও সাজগুজ
করা জায়েজ আছে।
স্বামী মৃত্যুবরণকারী মহিলার ইদ্দতের
সময়সীমা হল ৪মাস ১০দিন।
এ চার মাস দশদিন পর্যন্ত সাজগুজ
এবং অলংকার পরিধান নিষেধ। এ
সময়সীমা শেষ হয়ে গেলে আর এ
নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে না। তখন
পরিধান করতে পারবে। {তাবয়ীনুল
হাকায়েক-৩/২৬৬}
ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳُﺘَﻮَﻓَّﻮْﻥَ ﻣِﻨﻜُﻢْ ﻭَﻳَﺬَﺭُﻭﻥَ ﺃَﺯْﻭَﺍﺟًﺎ ﻳَﺘَﺮَﺑَّﺼْﻦَ ﺑِﺄَﻧﻔُﺴِﻬِﻦَّ ﺃَﺭْﺑَﻌَﺔَ
ﺃَﺷْﻬُﺮٍ ﻭَﻋَﺸْﺮًﺍۖ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺑَﻠَﻐْﻦَ ﺃَﺟَﻠَﻬُﻦَّ ﻓَﻠَﺎ ﺟُﻨَﺎﺡَ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﻓِﻴﻤَﺎ ﻓَﻌَﻠْﻦَ ﻓِﻲ
ﺃَﻧﻔُﺴِﻬِﻦَّ ﺑِﺎﻟْﻤَﻌْﺮُﻭﻑِۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑِﻤَﺎ ﺗَﻌْﻤَﻠُﻮﻥَ ﺧَﺒِﻴﺮٌ ‏[ ٢ : ٢٣٤ ]
আর তোমাদের মধ্যে যারা মৃত্যুবরণ
করবে এবং নিজেদের
স্ত্রীদেরকে ছেড়ে যাবে, তখন
সে স্ত্রীদের কর্তব্য হলো নিজেকে চার
মাস দশ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করিয়ে রাখা।
তারপর যখন ইদ্দত পূর্ণ করে নেবে, তখন নিজের
ব্যাপারে নীতি সঙ্গত
ব্যবস্থা নিলে কোন পাপ নেই। আর
তোমাদের যাবতীয় কাজের ব্যাপারেই
আল্লাহর অবগতি রয়েছে।
(সূরা বাকারা-২৩৪}
ﻋَﻦْ ﺃُﻡِّ ﻋَﻄِﻴَّﺔَ، ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲَّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻗَﺎﻝَ : ‏« ﻟَﺎ ﺗُﺤِﺪُّ
ﺍﻟْﻤَﺮْﺃَﺓُ ﻓَﻮْﻕَ ﺛَﻠَﺎﺙٍ ﺇِﻟَّﺎ ﻋَﻠَﻰ ﺯَﻭْﺝٍ، ﻓَﺈِﻧَّﻬَﺎ ﺗُﺤِﺪُّ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺭْﺑَﻌَﺔَ ﺃَﺷْﻬُﺮٍ
ﻭَﻋَﺸْﺮًﺍ، ﻭَﻟَﺎ ﺗَﻠْﺒَﺲُ ﺛَﻮْﺑًﺎ ﻣَﺼْﺒُﻮﻏًﺎ، ﺇِﻟَّﺎ ﺛَﻮْﺏَ ﻋَﺼْﺐٍ، ﻭَﻟَﺎ ﺗَﻜْﺘَﺤِﻞُ، ﻭَﻟَﺎ
ﺗَﻤَﺲُّ ﻃِﻴﺒًﺎ ﺇِﻟَّﺎ ﺃَﺩْﻧَﻰ ﻃُﻬْﺮَﺗِﻬَﺎ ﺇِﺫَﺍ ﻃَﻬُﺮَﺕْ ﻣِﻦْ ﻣَﺤِﻴﻀِﻬَﺎ ﺑِﻨُﺒْﺬَﺓٍ ﻣِﻦْ
ﻗُﺴْﻂٍ، ﺃَﻭْ ﺃَﻇْﻔَﺎﺭٍ
উম্মে আতিয়্যা রাঃ হতে বর্ণিত।রাসূল
সাঃ ইরশাদ করেছেন, কোন স্ত্রীলোক
স্বামী ব্যতিত অন্য কারো মৃত্যুতে তিন
দিনের অধিক শোক প্রকাশ করবে না। অবশ্য
স্বামীর মৃত্যুতে চার মাস দশদিন শোক পালন
করবে। আর এ সময় কোন রঙ্গিন কাপড় পরিধান
করবে না। সাদা কাপড় ছাড়া। আর
সুরমা ব্যবহার করবে না, এবং কোনরূপ
সুগন্ধি দ্রব্য ব্যবহার করবে না। অবশ্য হায়েজ
হতে পবিত্র হওয়ার পর সামান্য সুগন্ধি বস্তু
ব্যবহার করতে পারে। {সুনানে আবু দাউদ,
হাদীস নং-২৩০২}
ﻋَﻦْ ﺃُﻡِّ ﺳَﻠَﻤَﺔَ، ﺯَﻭْﺝِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ، ﻋَﻦِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻَﻠَّﻰ
ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺃَﻧَّﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ‏« ﺍﻟْﻤُﺘَﻮَﻓَّﻰ ﻋَﻨْﻬَﺎ ﺯَﻭْﺟُﻬَﺎ ﻟَﺎ ﺗَﻠْﺒَﺲُ
ﺍﻟْﻤُﻌَﺼْﻔَﺮَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺜِّﻴَﺎﺏِ، ﻭَﻟَﺎ ﺍﻟْﻤُﻤَﺸَّﻘَﺔَ، ﻭَﻟَﺎ ﺍﻟْﺤُﻠِﻲَّ، ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺨْﺘَﻀِﺐُ، ﻭَﻟَﺎ
ﺗَﻜْﺘَﺤِﻞُ
রাসুল সাঃ এর স্ত্রী হযরত
উম্মে সালামা রাঃ হতে বর্ণিত। রাসূল
সাঃ ইরশাদ করেছেন যে স্ত্রীলোকের
স্বামী মৃত্যুবরণ করে সে যেন ইদ্দতকালীন
সময়ে রঙ্গিন এবং কারুকার্যমন্ডিত কাপড় ও
অলংকার পরিধান না করে। আর সে যেন
খিজাব ও সুরমা ব্যবহার না করে। {সুনানে আবু
দাউদ, হাদীস নং-২৩০৪}
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ

‘মাওলানা’ শব্দের গবেষণা……..

খোঁড়া গবেষকদের খোঁড়া গবেষণা ।
কয়দিন আগে এক তথা কথিত আহলে হাদিস
ভাইকে দেখলাম ‘মাওলানা’ শব্দের গবেষণা করতে। তার
দাবী হল আলেমদের জন্য সম্মানার্থে এই শব্দ ব্যাবহার
করা অযৌক্তিক। আসলে এরা উপমহাদেশের আলেমদের
যে কোন বিষয় নিয়ে নাক গলাতে ও তাদের যেকোনো বিষয়ের
উপর জাহালাত সুলভ আপত্তি তুলতে গৌরব বোধ করেন ।
যার কারনে একটু পড়াশুনা করেই তাদের সমালোচনা শুরু
করে দেয়। অথচ আমাদের দেশের অনেক আলেম আরবের
বিভিন্ন গবেষণা বোর্ডের সদস্য, কেও আবার নায়েবে রাইস
। যাক সে কথা। তার বক্তব্যের কিছু অংশ
তুলে ধরা হল-‘তাই দেখা যায় অর্থগত দিক দিয়ে হোক আর
শব্দগত দিক দিয়ে হোক, উভয় দিক থেকেই এই শব্দ ব্যবহার
করা যৌক্তিক নয় । আমাদের ভারতীয়
উপমহাদেশে ভাষার অজ্ঞতার জন্য অনেকে আলেমদের
সম্মান জানাতে গিয়ে এসব শব্দ ব্যবহার করে থাকেন ।
যাই হোক অধিকাংশ লোকজন যেহেতু আরবী জানেনা,
তাই এর প্রচলন ও খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায় । কিন্তু আরব
দেশে কোন আলেম তাদের নামের আগে এই শব্দ ব্যবহার
করেন না । তাই এর পরিবর্তে আমরা সম্মান সুচক শব্দ
‘শাইখ’ ব্যবহার করতে পারি যা এখনও আরব দেশে প্রচলন
রয়েছে।’ বাহ, সে আমাদের বাংলাদেশর আলেমদের
ভাষায় অজ্ঞ বলছে । তার নিজের পায়ের
তলে যে মাটি নেই সেই খবর নেই । আসল কথা হল এই শব্দ
কুরান-হাদিসের অনেক জায়গায় সম্মানিত ব্যাক্তি,
চিন্তাবিদ ও আলেমেদের জন্যও ব্যাবহার করা হয়েছে।
(সে নিজেই শব্দটির বিশ্লেষণ করেছে এভাবে- ‘ ﻣﻮﻟﻲ শব্দটির
অর্থ হলঃ
১- প্রভু, রক্ষক, মালিক, কর্তা, অবিভাবক ইত্যাদি ।
২- সহোচর, বন্ধু ।)
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লামের যোগ থেকেই
সম্মানিত ব্যাক্তি, চিন্তাবিদ, ফকীহ-মুহাদ্দিস ও
আলেমেদের জন্যও এই শব্দ ব্যাবহার হয়ে এসেছে। দেখুন ১-
আল্লাহ কুরআনে এই শব্দ ব্যাক্তির উপর ব্যাবহার
করেছেন-
ﻭَﺿَﺮَﺏَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻣَﺜَﻼ ﺭَﺟُﻠَﻴْﻦِ ﺃَﺣَﺪُﻫُﻤَﺎ ﺃَﺑْﻜَﻢُ ﻻ ﻳَﻘْﺪِﺭُ ﻋَﻠَﻰ ﺷَﻲْﺀٍ ﻭَﻫُﻮَ
ﻛَﻞٌّ ﻋَﻠَﻰ ﻣَﻮْﻻﻩُ ﺃَﻳْﻨَﻤَﺎ ﻳُﻮَﺟِّﻬْﻪُ ﻻ ﻳَﺄْﺕِ ﺑِﺨَﻴْﺮٍ ﻫَﻞْ ﻳَﺴْﺘَﻮِﻱ ﻫُﻮَ ﻭَﻣَﻦْ
ﻳَﺄْﻣُﺮُ ﺑِﺎﻟْﻌَﺪْﻝِ ﻭَﻫُﻮَ ﻋَﻠَﻰ ﺻِﺮَﺍﻁٍ ﻣُﺴْﺘَﻘِﻴﻢٍ ‏(76 ) }
(অনুবাদ) আল্লাহ আরেকটি দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন,
দুব্যাক্তির একজন বোবা কোন কাজ করতে পারেনা ।
সে তার ‘মাওলা’র (কর্তা) উপর বোঝা ।
যে দিকে তাকে পাঠায় কোন সঠিক কাজ করে আসেনা ।
সে সমান হবে ঐ ব্যাক্তির, যে ন্যায় বিচারের আদেশ
করে ও সরল পথে আছে ? (সুরা নাহল ৭৬)
এখানে আল্লাহ মনিবকে গোলামের মাওলা বলেছেন।
২-অন্যত্র এসেছে – ﻳَﻮْﻡَ ﻟَﺎ ﻳُﻐْﻨِﻲ ﻣَﻮْﻟًﻰ ﻋَﻦْ ﻣَﻮْﻟًﻰ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻭَﻟَﺎ ﻫُﻢْ
ﻳُﻨْﺼَﺮُﻭﻥَ
অনুবাদ- সেদিন কোন মাওলা (বন্ধু) অপর কোন
মাওলা (বন্ধুর) উপকারে আসবেনা। আর
তারা সাহায্য প্রাপ্তও হবেনা। (সুরা দুখান ৪৪)
তাহলে কি আল্লাহ মুশরিক ?
৩-রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম হযরত
যায়েদ ইবনে হারেসা রা. কে “মাওলানা” শব্দে সম্বোধন
করেছেন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম
যায়েদ রা. কে বলেন- ﺃﻧﺖ ﺃﺧﻮﻧﺎ ﻭﻣﻮﻻﻧﺎ .
(সহীহ বুখারি, হাদিস ২৫৫২)
৪-একবার আনাস ইবনে মালেক রা.
কে একটা মাসআলা জিজ্ঞাস করা হলে তিনি বলেন,
মাওলানা হাসান বসরীকে জিজ্ঞাসা কর ।
ﺃﻧﺲ ﺑﻦ ﻣﺎﻟﻚ ﺳﺌﻞ ﻋﻦ ﻣﺴﺄﻟﺔ ﻓﻘﺎﻝ : ﻋﻠﻴﻜﻢ ﺑﻤﻮﻻﻧﺎ ﺍﻟﺤﺴﻦ
ﻓﺄﺳﺄﻟﻮﻩ ،ﻓﻘﺎﻟﻮﺍ : ﻧﺴﺄﻟﻚ ﻳﺎ ﺃﺑﺎ ﺣﻤﺰﺓ ﻭﺗﻘﻮﻝ : ﺳﻠﻮﺍ ﻣﻮﻻﻧﺎ
ﺍﻟﺤﺴﻦ ، ﻓﻘﺎﻝ :
ﺇﻧﺎ ﺳﻤﻌﻨﺎ ﻭﺳﻤﻊ ﻓﻨﺴﻴﻨﺎ ﻭﺣﻔﻆ
মুসান্নাফ ইবনে আবি সাইবা ১০/১১৬
৫-কাসেম রাহ. বলেন, আবু যায়েদাহ
‘মাওলানা’ (আমাদের বন্ধু)।
ﻋﻦ ﺍﻟﻘﺎﺳﻢ ﻗﺎﻝ : ﺃﺳﻠﻢ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻲ ﻭﺻﻔﺎﺀ ﺃﺣﺪﻫﻢ ﺃﺑﻮ ﺯﺍﺋﺪﺓ
ﻣﻮﻻﻧﺎ .
মুসান্নাফ ইবনে আবি সাইবা ৫/১৮০ সনদ সহীহ
৬-রাহবা নামক স্থানে আলী রা.-এর কাছে একটি দল
এসে বলল- মাওলানা! আসসালামু আলাইক।
ﺟﺎﺀ ﺭﻫﻂ ﺇﻟﻰ ﻋﻠﻲ ﺑﺎﻟﺮﺣﺒﺔ ﻗﺎﻟﻮﺍ : ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻋﻠﻴﻚ ﻳﺎ ﻣﻮﻻﻧﺎ ﻭﺭﺟﺎﻝ
ﺃﺣﻤﺪ ﺛﻘﺎﺕ , ﺇﺳﻨﺎﺩﻩ ﺻﺤﻴﺢ
(মাজমাউজ জাওয়াইদ ১৪৬১০) সনদ সহীহ
৭-অনেক হাদিসের সনদে রাবীর নামের
সাথে ‘মাওলানা’ শব্দ আছে । যেমন দেখুন
মুসনাদে আহমাদের একটি হাদীসের সনদ দেখুন-
– ﺣﺪﺛﻨﺎ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺣﺪﺛﻨﻲ ﺃﺑﻰ ﺛﻨﺎ ﻭﻛﻴﻊ ﺛﻨﺎ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻌﺰﻳﺰ ﻗﺎﻝ ﺛﻨﺎ
ﻫﻼﻝ ﻣﻮﻻﻧﺎ ﻋﻦ ﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﺑﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻌﺰﻳﺰ ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﺟﻌﻔﺮ
ﻋﻦ ﺃﻣﻪ ﺃﺳﻤﺎﺀ ﺑﻨﺖ ﻋﻤﻴﺲ ﻗﺎﻟﺖ ﻋﻠﻤﻨﻲ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ
ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻛﻠﻤﺎﺕ ﺃﻗﻮﻟﻬﺎ ﻋﻨﺪ ﺍﻟﻜﺮﺏ ﺍﻟﻠﻪ ﺭﺑﻲ ﻻ ﺃﺷﺮﻙ ﺑﻪ
ﺷﻴﺌﺎ ‏) ﺣﺪﻳﺚ ﺣﺴﻦ (
কথায় কথায় আরবদেরকে দলীল হিসাবে টানেন । আরব
কি শরীয়তের দলীল ? শাইখ শব্দের ব্যাবহার কখনই
ছিলনা। তবে যায়েজ আছে । উত্তম মাওলানা বলা ।
আল্লাহ আমাদের ফেতনায়ে আহলে হাদিস থেকে হেফাজত
করুন।